Class v

বুনো হাঁস গল্পের প্রশ্ন উত্তর বুনো হাঁস লীলা মজুমদার প্রশ্ন উত্তর||

বুনো হাঁস গল্পের প্রশ্ন উত্তর বুনো হাঁস লীলা মজুমদার প্রশ্ন উত্তর||

গল্পঃ বুনো হাঁস
লেখিকা : লীলা মজুমদার

বুনো হাঁস গল্পের প্রশ্ন উত্তর, সারাংশ নামকরণ অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হয়েছে।

নামকরণ

গল্পটির বিষয়বস্তু বুনো হাঁস ও তাদের জীবনযাত্রা নিয়ে। গল্পে হিমালয় থেকে উড়ে
আসা একটি বুনো হাঁসের আহত হওয়া এবং তাঁর সঙ্গী অপর একটি হাঁসের তার সঙ্গে থাকা এবং জওয়ানদের তাদের সেবা করা, আবার সুস্থ হয়ে সময়মতো সঙ্গীদের সাথে একদিন হাঁসদুটির দেশে ফিরে যাওয়াই গল্পটির মূল বিষয়। যেহেতু গল্পটি হাঁস দুটির কয়েক দিনের জীবনযাত্রা নিয়ে লেখা তাই গল্পটির নামকরণ বুনোহাঁস সঠিক হয়েছে।

বুনো-হাঁস-গল্পের-প্রশ্ন-উত্তর-বুনো-হাঁস-লীলা-মজুমদার-প্রশ্ন-উত্তর

বুনো হাঁস গল্পের সারাংশ

সারসংক্ষেপ :

শীতের শেষে আকাশের দিকে চাইলে দেখা যায় দলে দলে হাঁস সারা শীতকাল গরম দেশে কাটিয়ে আবার উত্তরের দিকে হিমালয় পেরিয়ে দেশে ফিরে যাচ্ছে। ওরা এত উঁচুতে উড়ে যায় তার কোনো শব্দ হয় না কেবল ডানার শোঁ শোঁ শব্দ শোনা যায় । পৃথিবীর দক্ষিণের আধখানায় এখানকার গরমের সময় শীত থাকে আর এখানকার শীতের সময় গরম।

ওদের বেশি গরমও সয় না আবার বেশি শীতও সয় না। লাডাকের এক বরফ ঢাকা নির্জন স্থানে জওয়ানদের একটা ঘাঁটি ছিল। শীতের শুরুতে দলে দলে হাঁস মাথার উপর দিয়ে উড়ে দক্ষিণে যায় দেখে তাদের বাড়ির জন্য মন খারাপ করত। তারা বাড়ির কোনো খবরও পেত না। চিঠিপত্র তেমন এসে পৌঁছোত না।

শুধু রেডিয়োতেই যা একটু খবর পেত। একদিন তারা দেখল দুটো হাঁস দল ছেড়ে নেমে এল। পরে দেখা গেল একটা হাঁসের ডানা জখম হয়েছে । জওয়ানরা হাঁসটিকে তাবুতে নিয়ে এল। অন্য হাঁসটিও নিজেই তাবুতে এসে ঢুকল। তাদের মুরগি রাখার খাঁচায় হাঁসটিকে রাখল। আস্তে আস্তে হাঁসের ডানা সারল। হাঁসটি জওয়ানদের দেওয়া ভুট্টা, ভাত, ফলের কুচি এইসব খাবার খেয়ে সুস্থ হতে লাগল।

জওয়ানরা খুব আনন্দের সাথে হাঁসটার দেখাশোনা করত। ক্রমে হাঁসটা সেরে উঠল। একটু আধটু উড়তেও চেষ্টা করত। তারপর একদিন জওয়ানরা সকালের কাজ সেরে এসে দেখল শীতের শেষে ফিরতি হাঁসেদের সঙ্গে তারাও উড়ে গেছে। ইতিমধ্যে জওয়ানদেরও বাড়ি ফেরার সময় হয়ে এল।

বুনো হাঁস প্রশ্ন উত্তর:

হাতে-কলমে

বুনো হাঁস গল্পের অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর:

১. ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো :

১.১ আকাশের দিকে তাকালে তুমি দেখ— (ঘরবাড়ি/গাছপালা/পোকামাকড়/মেঘ-রোদ্দুর)।

উঃ। আকাশের দিকে তাকালে তুমি দেখ মেঘ-রোদ্দুর।

১.২ হিমালয় ছাড়া ভারতবর্ষের আরও একটি পর্বতের নাম হল- (কিলিমানজারো/আরাবল্লী/আন্দিজ/ রকি)।

উঃ। হিমালয় ছাড়া ভারতবর্ষের আরও একটি পর্বতের নাম হল আরাবল্লী।

১.৩ এক রকমের হাঁসের নাম হল – (সোনা/ কুনো/কালি/ বালি)-হাঁস।

উঃ। এক রকমের হাঁসের নাম হল বালি হাঁস । –

১.৪ পাখির ডানার(বোঁ বোঁ/শন শন/শোঁ শোঁ/ গাঁক গাঁক) শব্দ শোনা যায় ।

উঃ। পাখির ডানার শোঁ শোঁ শব্দ শোনা যায় ।

২. ‘ক’ এর সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো : উঃ। খ

ক। খ

বরফ শুরু
বুনো হিমানী
কুঁড়ি। বন্য
চঞ্চল কলি
আরম্ভ অধীর

উওর
বরফ হিমানী
বুনো বন্য
কুঁড়ি। কলি
চঞ্চল অধীর
আরম্ভ শুরু

 

৩. সঙ্গী— (ঙ্ + গ্)—এমন ‘ঙ্গ’ রয়েছে, এরকম পাঁচটি শব্দ লেখো :

উঃ। অঙ্গ, বঙ্গ, তোরঙ্গ, পতঙ্গ, বিহঙ্গ।

৪. ঘটনাক্রম সাজিয়ে লেখো :

৪.১ দেশে ফিরে ওরা বাসা বাঁধবে, বাচ্চা তুলবে।

৪.২ হাঁসের ডানা জখম হল ।

৪.৩ সারা শীত কেটে গেল।

৪.৪ বুনো হাঁস দক্ষিণ দিকে উড়ে যেত।

৪.৫ আরেকটা বুনো হাঁসও নেমে এসে এটার চারিদিকে উড়ে বেড়াচ্ছে

উওর:
। উঃ। ৪.৪ বুনো হাঁস দক্ষিণ দিকে উড়ে যেত। ৪.২ হাঁসের ডানা জখম হল। ৪.৫ আরেকটা বুনো হাঁসও নেমে এসে এটার চারিদিকে উড়ে বেড়াচ্ছে। ৪.৩ সারা শীত কেটে গেল। ৪.১ দেশে ফিরে ওরা বাসা বাঁধবে, বাচ্চা তুলবে

৫. শূন্যস্থান পূরণ করো :

৫.১ – একটা বরফে ঢাকা নির্জন জায়গাতে আমাদের ___ একটা ঘাঁটি ছিল।
উওর:- লাডাকে, জোয়ানদের।

৫.২ জোয়ানদের · রাখার খালি জায়গা ছিল। উঃ। মুরগি।

৫.৩ আস্তে আস্তে হাঁসের সারল।

উঃ। ডানা ।

৫.৪ দলে দলে। — – তিরের ফলার আকারে, কেবলই —-দিকে উড়ে চলেছে।

উঃ। বুনোহাঁস

৫.৫ __ গাছে পাতার আর ফুলের ___ ধরল।

উঃ। ন্যাড়া, কুঁড়ি।

৬. শব্দঝুড়ি থেকে বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো :

উঃ। বিশেষ্য।

জখম।
বরফ
লাডাক
সঙ্গী,
বেচারি,
তাবু

বিশেষণ

বুনো,
শীতকাল,
গরম,
নির্জন,
চঞ্চল।

৭. ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও :

৭.১ বাড়ির জন্য ওদের মন কেমন করত।
উঃ। বাড়ির জন্য ওদের মন কেমন করত।

৭.২ পাখিরা আবার আসতে আরম্ভ করল।
উঃ। পাখিরা আবার আসতে আরম্ভ করল।

৭.৩ দেশে ফিরে ওরা বাসা বাঁধবে।
উঃ। দেশে ফিরে ওরা বাসা বাঁধবে।

৭.৪ সেখানে বুনো হাঁসরা রইল।
উঃ। সেখানে বুনো হাঁসরা রইল।

৭.৫ নিরাপদে তাদের শীত কাটে।
উঃ। নিরাপদে তাদের শীত কাটে।

৮: বাক্য বাড়াও :

৮.১ একদিন একটা বুনো হাঁস দল ছেড়ে নেমে পড়ল। (কোথায় নেমে পড়ল ? )
উঃ। একদিন একটা বুনো হাঁস দল ছেড়ে নীচে ঝোপের উপর নেমে পড়ল।

৮.২ ওরা গরম দেশে শীত কাটিয়ে আবার ফিরে যাচ্ছে। (কোথায় এবং কখন ফিরে যাচ্ছে?)
উঃ। ওরা গরম দেশে শীত কাটিয়ে শীতের শেষে আবার নিজেদের দেশে ফিরে যাচ্ছে।

৮.৩ পাহাড়ের বরফ গলতে শুরু করল। (কোথাকার পাহাড়?) উঃ। নীচের পাহাড়ের বরফ গলতে শুরু করল।

৮.৪ আবার ঝোপঝাপ দেখা গেল। (কেমন ঝোপঝাপ?) উঃ। আবার সবুজ ঝোপঝাপ দেখা গেল।

৮.৫ গাছে পাতার আর ফুলের কুঁড়ি ধরল। (কেমন গাছে?) উঃ। ন্যাড়া গাছে পাতার আর ফুলের কুঁড়ি ধরল।

৯. বাক্য রচনা করো :

রেডিয়ো, চিঠিপত্র, থরথর, জোয়ান, তাঁবু।

রেডিয়ো—আমার দাদু রেডিয়োতে খবর শোনেন।

চিঠিপত্র—এখন আর কেউ সেভাবে চিঠিপত্র লেখেন না ।

থরথর—শীতে কুকুরছানাটি থরথর করে কাঁপছিল।

জোয়ান—যারা সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তারা হলেন জোয়ান বা জওয়ান।

তাঁবু—সেবার পাহাড়ি অঞ্চলে ঘুরতে গিয়ে আমরা তাঁবুতে ছিলাম।

১১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

১১.১ জোয়ানদের ঘাঁটি কোথায় ছিল? উঃ। লাডাকের একটা বরফে ঢাকা নির্জন পাহাড়ে জোয়ানদের ঘাঁটি ছিল।

১১.২ জোয়ানরা কী কাজ করে?

উঃ । জোয়ানরা দেশের নিরাপত্তা রক্ষা করে, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখে এবং দেশকে বাইরের শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করে।

১১.৩ দুটো বুনো হাঁস দলছুট হয়েছিল কেন ?

উঃ। একটা বুনো হাঁস ডানা জখম হওয়ায় নীচে নেমে পড়েছিল এবং তার সঙ্গী আর একটা বুনো হাঁস আহত বুনো হাঁসের পিছন পিছন এসেছিল। তাই বুনো হাঁস দুটো দলছুট হয়েছিল। খেত?

১১.৪ বুনো হাঁসেরা জোয়ানদের তাঁবুতে কী

উঃ। বুনো হাঁসেরা জোয়ানদের তাঁবুতে ভাত, ফলের কুচি, টিনের মাছ, ভুট্টা, তরকারি ইত্যাদি খেত।

১১.৫ হাঁসেরা আবার কোথায়, কখন ফিরে গেল ?

উঃ। হাঁসেরা আবার শীতের শেষে তাদের নিজেদের দেশে ফিরে গেল।

১১.৬ ‘এমনি করে সারা শীত দেখতে দেখতে কেটে গেল।’— কেমন করে সারা শীতকাল কাটল? এরপর কী ঘটনা ঘটল ?

উঃ। সারা শীতকাল বুনো হাঁস দুটি জোয়ানদের তাঁবুতে থেকে গেল। ওদের দেখাশুনো করা জোয়ানদের একটা আনন্দের কাজ হয়ে দাঁড়াল। আস্তে আস্তে আহত বুনো হাঁসের ডানা সারল। হাঁসটি একটু একটু করে উড়তে চেষ্টা করত। আহত হাঁসটি তাঁবুর ছাদ অবধি উঠে আবার ধুপ করে পড়ে যেত। এভাবেই সারা শীতকাল কাটল। তারপর একদিন জোয়ানরা সকালের কাজ সেরে ফিরে এসে দেখল হাঁস দুটি উড়ে চলে গেছে।

১২. কোনো পশু বা পাখির প্রতি তোমার সহমর্মিতার একটা ছোট্ট ঘটনার কথা লেখো।

উঃ। কয়েক বছর আগের কথা। তখন শীতকাল। সকালে আমি কোচিং থেকে পড়ে বাড়ি ফিরছি, এমন সময় বাড়ির কাছে রাস্তায় দেখি একটা ছোট্ট কুকুরছানা কোথা থেকে যেন এসে পড়েছে। আমি সেটিকে বাড়ি নিয়ে এলাম। খিদেতে বা ভয়ে ছানাটি কাঁদছিল। তাকে দুধ খাওয়ালাম। মা বলল, খুঁজে দেখ কোথায় ওর মা আছে, সেখানে দিয়ে আয়।

সেদিন সারাদিন ধরে খুঁজে জানতে পারলাম আমাদের পাশের পাড়ায় কুকুরছানাটির দলের অন্যরা থাকে। সেদিন রাত হয়ে যাওয়ায় আর গেলাম না। রাতে বাচ্চাটাকে খাইয়ে, কাপড় মুড়ি দিয়ে দিলাম। পরের দিন সকালে উঠে বাচ্চাটাকে নিয়ে গিয়ে ওর দলের কাছে দিয়ে এলাম। সেখানে কুকুরছানাটির মা-ও ছিল। বাচ্চাটা মায়ের কোল ঘেঁষে বসে দুধ খেতে লাগল। আমিও খুশি হয়ে বাড়ি ফিরে এলাম ।

১৩.১ লীলা মজুমদারের জন্ম কোন্ শহরে?

উঃ। লীলা মজুমদারের জন্ম কলকাতা শহরে।

১৩.২ তাঁর শৈশব কোথায় কেটেছে?

উঃ। তাঁর শৈশব কেটেছে শিলং পাহাড়ে।

১৩.৩ ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর দুটি বইয়ের নাম লেখো।

উঃ। ছোটোদের জন্য তাঁর লেখা দুটি বই হল—‘হলদে পাখির পালক’ ও ‘মাকু’।

বুনো হাঁস গল্পের পাঠ মূল্যায়নের জন্য অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর:

বুনো হাঁস গল্পের অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর ঃ

১. এখন আকাশের দিকে চাইলে কী দেখা যাবে?

উঃ। আকাশের দিকে চাইলে দেখা যাবে দলে দলে বুনো হাঁস উড়ে চলেছে উত্তর দিকে।

২. হাঁসেরা কীভাবে সার বেঁধে উড়ে যাচ্ছে?

উঃ। হাঁসেরা তিরের ফলার মতো আকারে সার বেঁধে উড়ে যাচ্ছে।

৩. পাখির ডানার কীরকম শব্দ শোনা যায়?

উঃ। পাখির ডানার শোঁ শোঁ শব্দ শোনা যায়।

৪. গল্পে হাঁসেরা কোথায় ফিরে যাচ্ছে?

উঃ। গল্পে হাঁসেরা গরম দেশে শীত কাটিয়ে নিজেদের দেশে ফিরে যাচ্ছে।

৫. কোনো কোনো হাঁসেরা কোন দিক থেকে আসে?

উঃ। কেউ কেউ হিমালয়ের উত্তর দিক থেকে বরফের পাহাড় পেরিয়ে আসে।

৬. অনেক হাঁসেরা কোথায় গিয়ে নামে?

উঃ। অনেক হাঁসেরা ভারতের মাটি পার হয়ে সমুদ্রের উপর দিয়ে উড়ে ছোটো ছোটো দ্বীপে গিয়ে নামে।

৭. ছোটো ছোটো দ্বীপে হাঁসেদের কেমন কাটে?

উঃ। ছোটো দ্বীপগুলোতে মানুষের বাস না থাকায় নিরাপদে হাঁসেদের শীত কাটে।

৮. পৃথিবীর দক্ষিণের আধখানায় আবহাওয়া কেমন হয় ?

উঃ। পৃথিবীর দক্ষিণের আধখানায় আমাদের শীতের সময় গরম আবার আমাদের গরমের সময় শীত ঋতু থাকে।

৯. জোয়ানদের ঘাঁটি কোথায় ছিল?

উঃ। লাডাকের একটা বরফ ঢাকা নির্জন জায়গাতে জোয়ানদের ঘাঁটি ছিল।

১০. জোয়ানরা কীসের মাধ্যমে খবর পেত?

উঃ। জোয়ানরা রেডিয়োর মাধ্যমে খবর পেত।

১১. কোন্ কাজ জোয়ানদের কাছে আনন্দের ছিল?

উঃ। হাঁসেদের দেখাশোনা করা জোয়ানদের কাছে আনন্দের কাজ ছিল।

১২. ‘বেচারি উড়তে পারছিল না’–কাকে বেচারি বলা হয়েছে?

উঃ। ডানা জখম হওয়া বুনো হাঁসটিকে বেচারি বলা হয়েছে।

১৩. বুনো হাঁসটি কোথায় নেমে কেমন করতে লাগল ?

উঃ। বুনো হাঁসটি ঝোপের ওপর নেমে থরথর করে কাঁপতে লাগল।

১৪. আহত হাঁসটি প্রথম প্রথম কতদূর উড়তে পারত?

উঃ। আহত হাঁসটি প্রথম প্রথম তাঁবুর ছাদ পর্যন্ত উড়তে পারত।

১৫. জোয়ানরা কখন হাঁসটিকে তাঁবুতে নিয়ে এসেছিল?

উঃ। বরফ পড়া শুরু হতেই জোয়ানরা গিয়ে হাঁসটিকে তাঁবুতে নিয়ে এসেছিল।

১৬. অন্য হাঁসটি তাঁবুতে কীভাবে এসেছিল?

উঃ। প্রথমে তেড়ে এলেও পরে অন্য হাঁসটি জোয়ানদের সঙ্গে নিজেই তাঁবুতে গিয়ে ঢুকেছিল।

১৭. সারা শীতকাল হাঁসগুলি কোথায় রইল?

উঃ। সারা শীতকাল হাঁসগুলি জোয়ানদের তাঁবুতে রইল।

১৮. কোথাকার বরফ গলতে শুরু করল ?

উঃ। নীচের পাহাড়ের বরফ গলতে শুরু করল।

১৯. বরফ গলার পর কী দেখা গেল ?

উঃ। বরফ গলার পর আবার সবুজ ঝোপঝাপ দেখা গেল।

২০. ন্যাড়া গাছে কী ধরল?

উঃ। ন্যাড়া গাছে পাতার ও ফুলের কুঁড়ি ধরল।

২১. জোয়ানদের কোন্ কাজটি আনন্দের হয়ে দাঁড়াল?

উঃ। বুনো হাঁসদুটির দেখাশোনা করা জোয়ানদের একটা আনন্দের কাজ হয়ে দাঁড়াল।

২২. হাঁস দুটি কখন চঞ্চল হয়ে উঠত?

উঃ। মাথার ওপর দিয়ে হাঁসের দল গেলেই হাঁস দুটি চঞ্চল হয়ে উঠত।

২৩. কাদের বাড়ি ফেরার সময় হয়ে এল?

উঃ। জোয়ানদের বাড়ি ফেরার সময় হয়ে এল।

২৪. এরপর পাখিরা কোনদিক থেকে আসতে আরম্ভ করল?

উঃ। এরপর পাখিরা দক্ষিণ থেকে উত্তরে আসতে আরম্ভ করল।

২৫. দেশে ফিরে পাখিরা কী করবে?

উঃ। দেশে ফিরে পাখিরা বাসা বাঁধবে, বাচ্চা তুলবে।

২৬. একদিন জোয়ানরা এসে কী দেখল?

উঃ। একদিন জোয়ানরা এসে দেখল হাঁসদুটি উড়ে চলে গেছে।

বুনো হাঁস গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :

১. ‘বুনো হাঁস’ গল্পে জোয়ানরা কীভাবে দিন কাটাত ?

উঃ। লাডাকে বরফ ঢাকা এক নির্জন জায়গাতে জোয়ানদের ঘাঁটি ছিল। শীতের শুরুতে যখন বুনো হাঁসের দল দক্ষিণ দিকে উড়ে যেত, তখন বাড়ির জন্য জোয়ানদের মন কেমন করত। কারণ লাডাকের ওই নির্জন ঘাঁটিতে চিঠিপত্র বিশেষ পৌঁছোত না। শুধু রেডিয়োতেই জোয়ানরা যা কিছু খবর পেত।

২. বুনো হাঁসেরা কোথা থেকে কীভাবে আসে ?

উঃ। বুনো হাঁসের দল কেউ কেউ হিমালয়ের উত্তর দিক থেকে বরফের পাহাড় পেরিয়ে আসে । অনেকে ভারতের মাটি পার হয়ে, সমুদ্রের ওপর দিয়ে উড়ে ছোটো ছোটো দ্বীপে গিয়ে নামে। সেখানে মানুষের বাস না থাকায় তারা নিরাপদে শীত কাটায়।

৩. জখম হাঁসটির পাশে তাঁর সঙ্গী হাঁসটি কীভাবে ছিল ?

উঃ। জোয়ানদের ঘাঁটির কাছে ডানা জখম হওয়ায় একটি বুনো হাঁস দল ছেড়ে ঝোপের ওপর নেমে থরথর করে কাঁপছিল। তার সঙ্গী আরেকটি বুনো হাঁসও নেমে এসে তার চারদিকে ঘুরে বেড়াতে লাগল। বরফ পড়া শুরু হতে জোয়ানরা যখন জখম হাঁসটিকে তাঁবুতে নিয়ে আসছিল তখন সঙ্গী হাঁসটি প্রথমে তেড়ে এলেও পরে নিজেই ওদের সঙ্গে তাঁবুতে ঢুকেছিল। সারা শীতকাল সঙ্গী হাঁসটি জখম হাঁসটির পাশে থেকে গিয়েছিল, ইচ্ছে করলেই সে উড়ে যেতে পারত কিন্তু সঙ্গীকে ছেড়ে সে যায়নি।

৪. ‘এমনি করে সারা শীত দেখতে দেখতে কেটে গেল।’ শীত কেটে যাবার পর কী হল ? উঃ। সারা শীতকাল কেটে যাবার পর নীচের পাহাড়ে বরফ গলতে শুরু করল। আবার সবুজ ঝোপঝাড় দেখা গেল । ন্যাড়া গাছে পাতার আর ফুলের কুঁড়ি ধরল। তারপর দক্ষিণ থেকে উত্তরে আবার পাখিরা আসতে আরম্ভ করল।

৫. হাঁসদুটি জোয়ানদের কাছে কীভাবে থাকত ?

উঃ । জোয়ানদের তাঁবুতে মুরগি রাখার খালি জায়গা ছিল। বুনো হাঁসদুটি সেখানে থাকত। টিনের মাছ, তরকারি, ভুট্টা, ভাত, ফলের কুচি এইসব খাবার তারা খেত। হাঁসদুটিকে দেখাশুনো করা জোয়ানদের কাছে একটা আনন্দের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

৬. “একদিন জোয়ানরা সকালের কাজ সেরে এসে দেখে হাঁসদুটি উড়ে চলে গেছে। জোয়ানদের বাড়ি ফেরার সময় হয়ে এল”। তোমার পাঠে লীলা মজুমদারের বুনো হাঁস গল্পের এই শেষ দুটি লাইন পড়ে কি তুমি লিখতে পার হাঁসেদের উড়ে যাওয়ার সঙ্গে জোয়ানদের বাড়ি ফেরার মধ্যে কী মিল রয়েছে? –

উঃ। হাঁসদুটি জখম হয়ে জোয়ানদের কাছে ছিল। হাঁসেরা তাদের দেশে যেতে চাইলেও পারছিল না। সুস্থ হতেই তারা ফিরে গেল। জোয়ানদেরও কাজ শেষ হয়ে গেলে তারাও নিজের বাড়ি ফিরে যাবে। কাজ সেরে নিজের বাসায় সব প্রাণীই ফিরে যায় এমনকি মানুষও এর থেকে আলাদা নয়। তাই হাঁস ও জোয়ান কাজ শেষে সময় হলে বাড়ি ফিরে যেতে চায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *