কুতুব মিনারের কথা গল্পের বিষয়বস্তু || এবং প্রশ্ন উত্তর
কুতুব মিনারের কথা গল্পের বিষয়বস্তু || এবং প্রশ্ন উত্তর
কুতুব মিনারের কথা
সৈয়দ মুজতবা আলি
কুতুব মিনারের কথা
কুতুব মিনারের কথা গল্পের বিষয়বস্তু || এবং প্রশ্ন উত্তর, হাতেকলমে, অতিসংক্ষিপ্ত ,রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হযেছে এখানে।
কুতুব মিনারের কথা বিষয়সংক্ষেপ:
পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মিনার ‘কুতুবমিনার’, যা এককথায় তুলনারহিত। কারণ স্থাপত্যশিল্পের পীঠস্থান ইরান-তুরানেও এমন স্থাপত্যের নিদর্শন নেই এবং ইংরেজরাও এ কথা স্বীকার করেছেন। সুতরাং মিনার স্থাপত্যের ব্যাপারে কুতুবমিনারই হল প্রথম বা শেষ পরীক্ষানিরীক্ষাস্থল।
পাঁচটি তলবিশিষ্ট এই মিনারটির চতুর্থ ও পঞ্চম তলের তথ্য অপ্রতুল। বজ্রাঘাতে এই তলদ্বয় নষ্ট হয়ে গেল, ফিরোজ তুঘলক তা মেরামত করেন মার্বেলে। ইমারত এই এমনই স্থাপত্য, যা ঋজু-খাড়া এক স্তম্ভ। তাই এর মধ্যে শৈল্পিক সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটানো খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবুও পাঁচতলা এই ইটে নির্মিত পৃথিবীর সর্বোচ্চ মিনারটি শিল্পগত দিক থেকে কত শ্রেষ্ঠ, তা বোঝা যায় এর গঠনকৌশলে।
এর প্রথমে তলাতে রয়েছে ‘বাঁশি’ ও ‘কোণ’-এর পরপর সাজানো নকশা। দ্বিতীয় তলাতে কেবল ‘বাঁশি’, তৃতীয় তলাতে শুধু ‘কোণ’ আর সমূহ মিনারটি আবর্তিত হয়ে রয়েছে সারি সারি লতাপাতা, পুষ্পসমাহার ও চক্রের নকশায়। এই স্থাপত্যকর্মটি নির্মাণের ক্ষেত্রে হিন্দু-মুসলমান উভয় শিল্প বা স্থাপত্যশিল্পের মিলন ঘটতে দেখা যায়।
এই মিনার তৈরির ক্ষেত্রে যে ব্যাপারটি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, তা হল – প্রপর্শন (Proportion) বা সামঞ্জস্য। সুতরাং স্থাপত্যশিল্পের চরম নিদর্শন এই মিনারটি এতটাই মজবুত ও শিল্পসাফল্য পেয়েছিল, যা আটশত বছরেও অটুট। বহু সম্রাট মিনার গড়লেও কুতুবের মতো এমন মিনার গড়তে কেউ সাহস করেননি। এই স্থাপত্যের কাছে ইংরেজদের সেক্রেটারিয়েট, রাজভবন, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালও স্থান পায় না।
আলাউদ্দিন খলজি কুতুবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একটি দৃষ্টান্তমূলক মিনার তৈরির চেষ্টা করেছিলেন বটে, কিন্তু স্থাপত্যশিল্পের মতানুযায়ী তা ছিল ত্রুটিপূর্ণ, তা ছাড়া কাঠামো তৈরির পূর্বেই তাঁর মৃত্যু হলে কাজটি থমকে যায়। তবে ঐতিহাসিক নিদর্শনে মসজিদ, সমাধি বা অন্যান্য ইমারতসুলভ স্থাপত্যে মিনার বা মিনারিকা অনেক তৈরি হতে দেখা গিয়েছে বটে, কিন্তু তা অনেকাংশেই অসফল ।
কুতুবের মতো মিনার গড়ার সাহস আর কারও না দেখানোর কারণ, তুল্যমূল্য বিচার হত তাতে এবং কোনোটিই কুতুবের ধারেকাছে পৌঁছোতে পারত না। তাজমহল, হুমায়ুনের সমাধি ইত্যাদি নির্মাণের ক্ষেত্রেই যেন কুতুবের কাছে বশ্যতা স্বীকারের প্রবণতা আছে।
গুজরাটের আহমদাবাদ কুতুবের অনুকরণে সৃজিত একটি মিনারিকা চোখে পড়ে, তবে তা উল্লেখযোগ্য নয়। কেন-না মিনারিকার অলংকরণে সেখানে মেয়েদের কঙ্কন-বলয়ের প্রভাব কাজ করেছিল। যেটি আহমদাবাদের রানি বেগম সিপ্রির মসজিদে দেখা যায়। এই মিনারিকাটি ভূপর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও, কোনোদিক থেকেই এর সঙ্গে কুতুবের তুলনা চলে না ।
নামকরণ
সাহিত্যে নামকরণ বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দাবি করে, কেন-না আত্মপ্রকাশের ক্ষেত্রে সাহিত্য নির্মিতিগুলির অর্থবহ ও তাৎপর্যমণ্ডিত হয়ে প্রকাশিত হওয়াকে যথার্থভবে ধরে রাখে নামকরণ। তাই সকল সাহিত্যকারই চান নামকরণ হোক বিষয়ানুগ।
নামকরণের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়, ভাবব্যঞ্জনা—
কোনো বার্তা, প্রধান চরিত্র বা প্রধান ঘটনার অভিব্যক্তিকে। নামকরণ আগ্রহী পাঠকের দৃষ্টিকে পাঠ্যবস্তুর দিকে আকর্ষণ করে তাকে পাঠে সন্নিবিষ্ট করতে আরো আগ্রহী করে। এই নিরিখে বিচার করলে দেখা যায়,
পণ্ডিত-সাহিত্যিক তথা নিষ্ঠ প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলির ‘চতুরঙ্গ’ গ্রন্থের ‘দিল্লির স্থাপত্য’ প্রবন্ধের অংশবিশেষ পাঠ্য রচনাটির নামকরণ কতটা সঙ্গত ও সার্থক হয়েছে। বলাবাহুল্য এই রচনাংশের নামকরণ লেখককৃত নয়, ‘সাহিত্য মেলা’-র গ্রন্থ সংকলকগণই এই নামকরণ করেছেন।
লেখক প্রাজ্ঞজন, বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর আগ্রহ। তিনি গভীর { তথ্যানুসন্ধানী বলেও এই রচনাংশে বৈঠকি মেজাজে দিল্লির } এক অসমসাহসিক ও স্থাপত্যকলার শ্রেষ্ঠ নিদর্শনের ইতিনেতি { কুতুবউদ্দিন স্থাপত্যশিল্পের এক চরম নমুনা ‘কুতুবমিনার’।
এর গঠন প্রক্রিয়া, নির্মাণকৌশল, প্রতিষ্ঠার ইতিবৃত্ত, অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থাপত্যশিল্পের সঙ্গে তুলনামূলকতা নিয়ে লেখককে তথ্যনিষ্ঠ ও প্রাণবন্ত আলোচনা করতে দেখা যায় উক্ত রচনাংশে, লেখক অত্যন্ত গরিমার সঙ্গে দেখিয়েছেন সর্বব্যাপারে শ্রেষ্ঠত্বের ক্ষেত্রে কুতুবমিনার একক এবং এককভাবে নান্দনিক, যা কিনা সভ্যতার পূজারি ইংরেজদের স্থাপত্যকলাকে দূরে ঠেলে দিতে পেরেছে।
এই মিনারের বিকাশ-প্রতিষ্ঠার ইতিবৃত্তে যে হিন্দু-মুসলমান শিল্পচেতনা ও স্থাপত্যকলার অভূতপূর্ব মিলন ঘটেছে এ তথ্যও রচনাটিতে সম্যক প্রকাশিত হতে দেখা যায়, যা প্রমাণ করে জাতি ও ধর্মগত পার্থক্য থাকলেও, শিল্পগত দিকে হিন্দু-মুসলমানের ভাষা-সুর ও চেতনা কত অভিন্ন ছিল।
অতএব, সমগ্র রচনাটিতে লেখক যেহেতু মূল বর্ণিতব্য বিষয় করে তুলেছেন কুতুবমিনারের প্রসঙ্গকেই এবং তাঁর রচনায় ঘুরে-ফিরে কুতুব মিনারই সর্বাধিক প্রাধান্য পেয়ে কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। তাই নামকরণ নিঃসন্দেহে সার্থকতম হয়ে উঠেছে।
কুতুব মিনারের কথা প্রশ্ন উত্তর:হাতেকলমে
, অনধিক দুটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
[১.১] কোন্ সম্রাট অশোকস্তম্ভ’-কে দিল্লি নিয়ে এসেছিলেন ?
উত্তর তুঘলক বংশের অন্যতম প্রজাহিতৈষী সম্রাট, হেনরি এলিয়ট যাকে আকবরের সঙ্গে তুলনা করেছেন, সেই ফিরোজ শাহ তুঘলক অশোক স্তম্ভকে দিল্লি নিয়ে এসেছিলেন।
১.২) কুতুবমিনার নামটি কার নামানুসারে রাখা হয়েছে এবং কেন ?
উত্তর : কুতুবমিনার নামটি দাস বংশের অন্যতম সম্রাট কুতুবউদ্দিন আইবকের নামানুসারে হয়, কেন-না এটি ইলতুৎমিস শেষ করলেও শুরুটা কিন্তু করেছিলেন আইবক। আবার কুতুবউদ্দিন আইবকের গুরু কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকীকে স্মরণ করে কুতুবউদ্দিন এই মিনারটি তৈরি করতে চেয়েছিলেন তাই এরকম নাম।
১.৩) কুতুবের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য আর কে মিনার গড়তে চেষ্টা করেছিলেন?
উত্তর : কুতুবের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য খলজি বংশের অন্যতম দুঃসাহসী সম্রাট আলাউদ্দিন খলজি কুতুবের দ্বিগুণ ঘের দিয়ে দ্বিগুণ উঁচু একটি মিনার গড়তে চেয়েছিলেন।
[১.৪ মিনারেট বা মিনারিকা কী? মিনারের সঙ্গে এর পার্থক্য কোথায় ?
উত্তর মিনার হল সু-উচ্চতাবিশিষ্ট স্তম্ভ । মোচা বা শাঁখের মতো ঊর্ধ্বমুখী অবনত চূড়াকে বলে মিনারেট বা মিনারিকা ।
মিনারের সঙ্গে মিনারেট বা মিনারিকার মূল পার্থক্য চূড়ার উচ্চতার ক্ষেত্রে, অর্থাৎ মিনারেট মিনারের চেয়ে অনেক ছোটো হয় ।
১.৫] আহমদাবাদ শহরটি কোন্ রাজার নামানুসারে হয়েছে? এই শহরটি কোন্ রাজ্যের রাজধানী ?
উত্তর ‘আহমদাবাদ’ শহরটি সুলতান আহমেদের নামানুসারে হয়েছে।
আহমদাবাদ শহরটি গুজরাট রাজ্যের রাজধানী।
2.নীচে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও : কানিংহাম, ফার্গুসন, সৈয়দ আহমেদ।
উত্তর : কানিংহাম : আলেকজান্ডার কানিংহাম ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একাধারে প্রখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ ও ভাষাতত্ত্ববিদ। ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চাকরি নিয়ে এদেশে আসেন।
বিশ্বের প্রায় হারিয়ে যাওয়া ভাষা নিয়ে তাঁর গবেষণা ও সুচিন্তিত মতামত আধুনিক ভাষাবিদদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে অবসর নেওয়ার পর তিনি ভারত সরকার নিযুক্ত পরাতত্ত্ববিভাগের সার্ভেয়ার পদে কাজ করেন।
ফার্গুসন : বিখ্যাত ব্রিটিশ ঐতিহাসিক ও প্রত্নতত্ত্ববিদ জেমস ফার্গুসন ভারতের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করেছেন। এমনকি অজন্তা-ইলোরা গুহাচিত্র নিয়েও তাঁর গবেষণা ভারতের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে। ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে কিছু অফিসার এই অজন্তা গুহা দেখেন।
পরে ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে লেফট্যানেন্ট-ই আলেকজান্ডার ব্যক্তিগতভাবে নিজামের দরবারে বেড়াতে আসেন এবং এই গুহা সম্বন্ধে রয়েল এশিয়াটিক সোসাইটিকে জানান। ফার্গুসন এই ব্যাপারটি তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ডাইরেক্টরকে জানান এবং এই গুহাগুলিকে সংরক্ষণ করার অনুরোধ করেন।
সৈয়দ আহমেদ : দিল্লির এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে এই ইতিহাসবিদের জন্ম হয়। ভারতীয় ইসলামিক সংস্কৃতি ও সামাজিক আন্দোলনের অন্যতম এক নেতা এই ব্যক্তি ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ছিলেন আলিগড় আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। পুরাতত্ত্ব ও স্থাপত্য বিষয়ে তাঁর গবেষণা ভারত ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে। মুসলিম সমাজের সংস্কারসাধন-সহ পাণ্ডিত্যপূর্ণ নানা কর্মের জন্য তিনি ‘স্যার’ উপাধি লাভ করেন। ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যু হয়।
৩) কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ কুতুব মিনার পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মিনার’—এই উদ্ধৃতিটির আলোকে মিনারটির পাঁচটি বিশিষ্টতা উল্লেখ করো।
উত্তর কুতুবমিনারই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মিনার। এই সর্বশ্রেষ্ঠ মিনারের শিরোপা পাওয়ার পিছনে কতকগুলি বৈশিষ্ট্য আছে। সেগুলি হল—
এক, কুতুব সোজা বা খাড়া স্তম্ভ। এমন স্তম্ভে সৌন্দর্য সৃষ্টি করা কঠিনই। কিন্তু এক্ষেত্রে শিল্পীরা চমরভাবে সফল হয়েছেন। স্তম্ভটিকে কয়েকটি তলায় বিভক্ত করে এবং যথাসাধ্য সামঞ্জস্য রেখে প্রতিতলায় তাকে একটু করে ছোটো করে, গুটিকতক ব্যালকুনি লাগিয়ে মিনারটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।
দুই, পাঁচতলাবিশিষ্ট এই মিনারটির প্রথম তলায় আছে ‘বাঁশি’ ও ‘কোণ’-এর পরপর সাজানো নকশা।
তিন, দ্বিতীয় তলাতে আছে শুধু বাঁশি, আর তৃতীয় তলাতে শুধু কোণ, এর চতুর্থ ও পঞ্চম তলা বজ্রাঘাতে বিনষ্ট হয়ে যাওয়ায় তার শিল্পকর্ম সম্পর্কে বিশেষ জানা যায় না।
চার, সমগ্র মিনারটি লাল বেলে-পাথর দিয়ে নির্মিত। এই মিনারকে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করেছে।
পাঁচ, মিনারটি সৃজনের ক্ষেত্রে শিল্পীদের প্রপর্শন (Proportion) বা সামঞ্জস্য-ধারণা ছিল লক্ষ করার মতো। এতে স্থাপত্যরীতির হিন্দু-মুসলমান উভয় স্থাপত্যধারার মিশ্রণ লক্ষ করা যায়।
[৩.২] মিনারটির গঠনে হিন্দু-মুসলিম সাংস্কৃতিক মিলনের চেহারাটি কীভাবে ধরা পড়েছে, তা লেখো।
উত্তর : সুলতানি যুগের স্থাপত্যে হিন্দু ও মুসলিম স্থাপত্যরীতির সমন্বয় লক্ষ করা যায়, কারণ ভারতে ইসলামের আসার আগেই হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন স্থাপত্যের একটি বিশেষ ধারা ছিল। কুতুব মিনারের যে কারুকার্য তা হিন্দু-মুসলিম স্থাপত্যের এক অভূতপূর্ব মিলন। বাঁশি ও কোণের উপর দিয়ে সমস্ত মিনারটিকে কোমরবন্ধের মতো ঘিরে রয়েছে সারি সারি লতাপাতা, ফুলের মালা, চক্রের নকশা।
এগুলি জাতে হিন্দু এবং এর সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে আরবি লেখার সার সেগুলি জাতে মুসলমান । গোটা মিনারটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে মিনারটির পরিকল্পনা করেছেন মুসলমান এবং যাবতীয় কারুশিল্প ও খোদাই-এর কাজ করেছেন হিন্দু। ভারতবর্ষে মুসলমানদের সর্বপ্রথম সৃষ্টিকার্যে হিন্দু-মুসলমান মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে, যা আজও অটুট আছে অন্তত কলাশিল্পের ক্ষেত্রে।
[৩৩] কুতুবমিনারের শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলতে গিয়ে লেখক আর কোন্ কোন্ স্থাপত্যকীর্তির প্রসঙ্গ এনেছেন ?
উত্তর কুতুবমিনার যে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মিনার এ কথা যেমন লেখক বিভিন্ন ঐতিহাসিক সমালোচকদের দেওয়া তথ্য দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন, তেমনি তিনি স্থাপত্যশিল্পের অন্যতম পীঠস্থান ইরান-তুরানের প্রসঙ্গ এনেছেন ও ইংরেজদের স্বীকারোক্তির কথাও তুলে ধরেছেন।
এ ছাড়া তাজমহল, হুমায়ুনের সমাধিক্ষেত্র, আলাউদ্দিনের ব্যর্থ প্রয়াস, আহমদাবাদের রানি সিপ্রির মসজিদের প্রসঙ্গ এনেছেন। তা ছাড়া ইংরেজদের তৈরি দিল্লির সেক্রেটারিয়েট এবং কলকাতার রাজভবন ও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের কথাও বলা হয়েছে।
[৩৪] আলাউদ্দিন খলজি চেষ্টা করেও কুতুবমিনারের চেয়ে মহত্তর স্থাপত্য গড়তে পারেননি কেন?
উত্তর দিল্লির সুলতানি শাসনের অন্যতম দুঃসাহসী সম্রাট হলেন আলাউদ্দিন। উচ্চাকাঙ্ক্ষী এই সম্রাট নিজেকে খ্যাতির চূড়ায় স্থাপন করার জন্য এবং কুতুবমিনারকে টেক্কা দেওয়ার জন্য এর দ্বিগুণ ঘের দিয়ে তিনি আর-একটি মিনার গড়তে চেয়েছিলেন। যার উচ্চতা হবে কুতুবমিনারের দ্বিগুণ।
যে-কোনো বড়ো অট্টালিকার মাপের ক্ষেত্রে একটা সামঞ্জস্য থাকে এবং অট্টালিকাটি তৈরির সময় সেটি অক্ষরে অক্ষরে মানতে হয়, তা না হলে অট্টালিকার সৌন্দর্য ও স্থায়িত্ব দুই-ই বিপন্ন হয়। আলাউদ্দিনের স্বপ্নের মিনারের বাস্তবতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। তা ছাড়া এটি সম্পন্ন হওয়ার আগেই তিনি মারা যান। তাই তাঁর চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
@@@
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নোত্তর
সঠিক উত্তর নির্বাচন করো
প্রশ্ন ) পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মিনার (তাজমহল/কুতুবমিনার/রাজভবন)।
উত্তর : কুতুবমিনার।
প্রশ্ন) ইরান বলতে বোঝায় (তুরস্ক/পারস্য/আরব) দেশকে৷
উত্তর: পারস্য।
প্রশ্ন) অশোক স্তম্ভ দিল্লিতে আনেন (ইংরেজরা/সিকন্দর লোদি/ফিরোজ তুঘলক)।
উত্তর• ফিরোজ তুঘলক
প্রশ্ন) মসজিদ, সমাধি কিংবা অন্য কোনো ইমারতের অঙ্গ হিসেবে যে মিনার থাকে, তাকে বলে—(স্তম্ভ/মিনারেট/কুতুবমিনার/শহির মিনার)
উত্তর: মিনারেট।
শূন্যস্থান পূরণ করো
প্ৰশ্ন
১. ইমারত মাত্রেরই একটা_____সাইজ আছে।
২.আপন______নিজস্ব ক্ষমতায় যে স্তম্ভ দাঁড়ায় তার নাম____।
৩. তাজের_____ভুবন বিখ্যাত।
৪.____যেন তাঁরই অনুপম হাতখানি নভোলোকের দিকে তুলে ধরেছেন।
উত্তর:
১.অপটিমাম।
২• মহিমায়, মিনার
3. মিনারিকা।
৪• রাজেশ্বরী সিপ্রি ।
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন
১. ইরান ও তুরান বলতে কোন্ দেশকে বোঝায় ?
উত্তর: ইরান’ বলতে পারস্য এবং ‘তুরান’ বলতে তুরস্ককে বোঝায় ৷
২.কুতুবমিনার কয় তলা ?
উত্তর: কুতুব মিনার পাঁচতলা ৷
৩.প্রথম তলার বিশেষত্ব কী ?
উত্তর: কুতুবমিনারের প্রথম তলা ‘বাঁশি’ও কোণের পর কোণ সাজানো নকশা দিয়ে তৈরি।
৪.চতুর্থ ও পঞ্চম তল পুনর্নির্মাণ করতে কে সাহায্য করেন?
উত্তর:কুতুবমিনারের চতুর্থ ও পঞ্চম তল পুনর্নির্মাণ করতে সাহায্য করেন তুঘলক বংশের অন্যতম প্রজাহিতৈষী সম্রাট ফিরোজ তুঘলক ।
৫.কুতুবমিনারের পঞ্চম তলাটি কে সংস্কার করেন ?
উত্তর: কুতুবমিনারের পঞ্চম তলাটি সংস্কার করেন সিকন্দর লোদি ।
৬. মিনার কাকে বলে ?
উত্তর: আপন মহিমায় নিজস্ব ক্ষমতায় যে সুউচ্চ স্তম্ভ দাঁড়ায় তার নাম মিনার ।
৭.মিনারেট কী ?
উত্তর: মিনারের চেয়ে ছোটো ছোটো চূড়াবিশিষ্ট স্তম্ভ বা থামকে মিনারেট বলে। এগুলি মন্দির বা মসজিদের মাথায় কখনও থাকে কখনও বা থাকে না।
##№##
৮: হুমায়ুনের সমাধি-নির্মাতাকে লেখক ‘ঘোড়েল ’ বলেছেন কেন?
উত্তর: ঘোড়েল’ অর্থাৎ অতিচালাক বা ধূর্ত। হুমায়ুনের সমাধি-নির্মাতাকে ঘোড়েল বলার কারণ, তিনি তার ইমারতটি সম্পূর্ণ মিনারিকা বর্জন করে বানিয়েছিলেন। )
৯.‘আহমদাবাদ’ নামটি কার নামানুসারে হয় ?
উত্তর: গুজরাটের রাজা আহমেদের নামানুসারে আহমদাবাদ নামটি হয় ।
১০. বর্তমান গুজরাটের রাজধানীর নাম কী ?
উত্তর: বর্তমান গুজরাটের রাজধানীর নাম আহমদাবাদ ।
একমুখী তথ্যানুসন্ধানী প্রশ্নোত্তর
দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর লেখো
১. কুতুবমিনারের প্রথম তলার সঙ্গে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার পার্থক্য কোথায় ?
উত্তরা কুতুবমিনারের প্রথম তলাতে যেখানে বাঁশি ও কোণের নকশা সেখানে দ্বিতীয় তলাতে শুধু বাঁশি এবং তৃতীয় তলাতে শুধু কোণের নকশা বিদ্যমান ।
২. রসিকজনের কৌতূহলের অন্ত নেই।’—কোন্ বিষয়ে, কেন রসিকজনের কৌতূহলের অন্ত নেই?
উত্তর কুতুবমিনারের শীর্ষদেশ অর্থাৎ শেষ দুটি ‘তলা’, চতুর্থ ও পঞ্চম তল সম্পর্কে রসিকজনের কৌতূহলের অন্ত নেই ।
সুউচ্চ বলেই হয়তো কুতুবের এই দুটি শেষ তলা বজ্রাঘাতে ভেঙে যায়। সহৃদয় রাজা ফিরোজ তুঘলক মার্বেল দিয়ে তা মেরামতও করে দেন। ফলে মিনারচূড়ায় মুকুটস্বরূপ এই শেষ তলা দুটির রূপ কেমন ছিল, সেসম্পর্কে রসিকজনের কৌতূহলের অন্ত নেই ৷
৩. কুতুবমিনারের চতুর্থ ও পঞ্চম তলাতে কী ছিল তা জানা যায়নি কেন?
উত্তর কুতুবমিনারের চতুর্থ ও পঞ্চম তলাতে কী ছিল তা জানা যায়নি কারণ—এই দুই তলা বজ্রাঘাতে ভেঙে যাওয়ায় সে দুটি ফিরোজ তুঘলক মার্বেল দিয়ে মেরামত করে দিয়েছিলেন।
৪. ‘প্রথম দিনেই তাদের যে মিলন হয়েছিল আজও সেটি অটুট আছে।’—‘প্রথম দিন’-এর সময়কালটি কখন ? সেসময় কোন্ ক্ষেত্রে কাদের মিলন হয়েছিল ? ১+২
উত্তর উদ্ধৃত অংশটিতে উল্লিখিত ‘প্রথম দিন’-এর কালখণ্ডটি আটশত বছর আগেকার।
সেসময় কলাসৃষ্টির ক্ষেত্রে, অর্থাৎ স্থাপত্য-নৃত্য-সংগীত ইত্যাদির প্রাঙ্গণে হিন্দু-মুসলমান এই শিল্পচেতনার মিলন হয়েছিল।
বোধমূলক প্রশ্নোত্তর
১.“কুতুব পাঁচতলার মিনার।”—কুতুবমিনার সম্পর্কে লেখকের মন্তব্যের সত্যতা প্রমাণ করো।
উত্তর দিল্লির স্থাপত্যশিল্পের বর্ণনা প্রসঙ্গে সুলেখক সৈয়দ মুজতবা আলি ‘কুতুব মিনার’-কে ‘পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মিনার’ আখ্যা দিয়েছেন। এর পাঁচটি ‘তলা’ যার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রথম তলাটিতে স্থপতি ও শিল্পীরা কেবল ‘বাঁশি’, ও ‘কোণ’-এর পরপর সাজানো নকশা রেখেছিলেন। এর দ্বিতীয় তলাটিতে ছিল শুধু ‘বাঁশি’। তৃতীয় তলটিতে ঠাঁই পেয়েছিল কেবলই ‘কোণ’। এত মিনারটির চতুর্থ ও পঞ্চম তলাদুটিতে কী ছিল, তার রূপ কেমন ছিল, তা আজ আর জানার কোনো উপায়ই নেই, কেন-না বজ্রাঘাতে তা ভেঙে যায়। তার উপর ফিরোজ তুঘলক সেখানে মার্বেল বসিয়ে মেরামত করে দেন বলে তা অন্যরূপ পায়। পঞ্চম তলটিতে আবার সিকন্দর লোদির হস্তক্ষেপ ছিল বলে, তার প্রকৃতরূপ কেমন ছিল তা জানা কোনোপ্রকারেই সম্ভব নয় ।
২. “কানিংহাম, ফার্গুসন, কার স্টিফেন, স্যার সৈয়দ
আহমেদ অনেক ভেবে-চিন্তেও এর কোনো উত্তর দিতে পারেননি।”—উপরোক্ত ব্যক্তিগণ কী উত্তর দিতে পারেনি? (পঠন সেতু) উত্তর স্থাপত্যের অন্যতম পীঠস্থান ইরান, তুরানে যা নেই এবং স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন তাজমহলকে পিছনে ফেলে কুতুবমিনারকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মিনার রূপে তুলে ধরার যে কলাকৌশল শিল্পী দেখিয়েছেন তা কোথা থেকে—অর্জন করেছিলেন, সে-বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি এই সমালোচকরা।
৩. “প্রপর্শনের এরকম চূড়ান্ত নিদর্শন পৃথিবীর আর কোনো মিনারে পাওয়া যায় না”— ‘প্রপর্শন’ শব্দটির অর্থ কী? কুতুবমিনারের ক্ষেত্রে তা কীভাবে রক্ষিত হয়েছে? +
উত্তর ‘প্রপর্শন’ শব্দটির অর্থ হল সংগতি বা সামঞ্জস্য ।
কুতুবমিনার তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড়ো বিষয় হল স্থপতির কল্পনাশক্তি। ইমারত তৈরি একরকম আর খাড়া স্তম্ভে সৌন্দর্য আনা অন্যরকম। এখানে শিল্পী সফল হয়েছে শুধুমাত্র কুতুবকে কয়েক তলাতে ভাগ করে, সামঞ্জস্য রেখে প্রতি তলায় তাকে একটু ছোটো করে গুটিকয়েক ব্যালকনি লাগিয়ে দিয়ে এবং মিনারের গায়ে কখনও ‘বাঁশি’ কখনও ‘কোণের’ নকশা কেটে। ‘প্রপর্শন’ বা ‘সংগতি’র এরকম চূড়ান্ত নিদর্শন পৃথিবীর আর কোনো মিনারে পাওয়া যায় না ।
৪ “একমাত্র তিনিই চেয়েছিলেন কুতুবের সঙ্গে পাল্লা দিতে।” —তিনি কে? কুতুবের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া তাঁর সম্ভব হয়নি কেন ?
উত্তর ‘তিনি’ হলেন সুলতানি যুগের খলজি বংশের অন্যতম সম্রাট আলাউদ্দিন খিলজি।
আলাউদ্দিন চেয়েছিলেন কুতুবমিনারের চেয়ে উচ্চতম মিনার বানাতে । তাই তিনি কুতুবের চেয়ে দ্বিগুণ ঘের দিয়ে একটা মিনার বানাতে শুরু করেন। ইতিমধ্যে আলাউদ্দিনের মৃত্যুর ফলে মিনারের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু যদিনা কাজ বন্ধ না হত তবে তার এই স্বপ্ন সফল হত কি না বলা মুশকিল। কারণ কোনো স্থাপত্যশিল্পের মূল সূত্র অপটিমাম সাইজটিই এক্ষেত্রে মানা হয়নি।
কুতুব মিনারের কথা প্রশ্ন উত্তর ক্লাস ৭ : রচনা ধর্মী প্রশ্নোত্তর
১.“কুতুবের পর পাঠান মোগল বিস্তর মিনারেট গড়েছে; কিন্তু সেগুলোও কুতুবের কাছে আসতে পারে না।”—উক্তিটির সত্যতা ব্যাখ্যা করো।
উত্তরা : সৈয়দ মুজতবা আলি তাঁর ‘কুতুব মিনারের কথা” রচনাংশে উদ্ধৃত কথাটি বলেছেন। কথাটির বিচারবিশ্লেষণ করতে গিয়ে প্রথমে মিনার ও মিনারেট বা মিনারিকার মধ্যে সাধারণ পার্থক্যটুকু বুঝতে হবে। খুব সোজা কথায় মিনার বলতে সুউচ্চ চূড়াযুক্ত ইমারতকে বোঝায় এবং স্বল্প উচ্চ চূড়াযুক্ত মিনারকে মিনারেট বা মিনারিকা বলা হয়।
পাঠান-মোগলদের যে মিনারেট তার চেয়ে সময়ের নিরিখে কুতুবমিনার আগে। সমালোচনা ও শৈলীর বিচারে কুতুবমিনার পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মিনার। তাই পরবর্তীকালে নির্মিত তাজমহল ও হুমায়ুনের সৌধ-নির্মাতারা নতমস্তকে কুতুবের কাছে বশ্যতা স্বীকার করে নিয়েছে।
তাই তারা মিনারেটগুলি নির্মাণের সময় এমন ন্যাড়াভাবে তৈরি করেছে যে, দর্শকের মনে অজান্তেও যেন মিনারেটগুলি দেখতে দেখতে কুতুবমিনারের কথা স্মরণে না আসে। যে তাজের সর্বাঙ্গে গয়নার ছড়াছড়ি তার চারটি মিনারিকার হাতে নোয়া পর্যন্ত নেই। হুমায়ুনের সমাধি-নির্মাতা আরও এক ধাপ এগিয়ে, মিনারিকা সম্পূর্ণ বর্জন করেছেন।
২.‘বোধ হয় ঠিক সেই কারণেই তার নিজস্ব মূল্য আছে।’—তার’বলতে কী বোঝানো হয়েছে? কোন্ কারণে তার নিজস্ব মূল্য আছে?
উত্তর ‘তার’ বলতে এখানে গুজরাটের রাজা আহমেদের দ্বারা নির্মিত বেগম রানি সিপ্রির মসজিদের কথা বলা হয়েছে।
মিনারের ক্ষেত্রে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত কুতুবমিনার। কুতুবমিনারের পরবর্তী সময়ে যারাই যে মিনার তৈরি করতে গিয়েছে তাতেই কুতুবের ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে; এমনকি মিনারেট বা মিনারিকা তৈরির ক্ষেত্রেও। রবীন্দ্রনাথের ব্যাপকতা কাটিয়ে যেমন বাংলা সাহিত্যের কবি-সাহিত্যিকেরা বেরিয়ে আসতে পারছিলেন না অনেকটা সেরকম।
রানি সিপ্রির মসজিদ এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। দিল্লি-আগ্রার বহুদূরে গুজরাটে অবস্থিত মিনারিকাটির কুতুবের সঙ্গে কোনো মিল নেই। সেজন্যই এর একটা আলাদা মূল্য আছে এবং সেইজন্যই মসজিদটির মধুরদর্শন ভূপর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। রাজপুত রমণীদের মতো বিচিত্র আকার ও বিচিত্র দর্শনের অসংখ্য বলয়বন্ধন পরে মিনারিকাটি আপন মহিমায় ভাস্বর ।