সবার আমি ছাত্র প্রশ্ন উত্তর Teacj Sanjib

সবার আমি ছাত্র প্রশ্ন উত্তর Teacj Sanjib

কবিতা ঃ সবার আমি ছাত্র

ঃ কবি সুনির্মল বসু

সবার আমি ছাত্র কবিতার সারাংশ,প্রশ্ন উত্তর,এবং অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হয়েছে।

সবার আমি ছাত্র কবিতার সারাংশ:

সবার-আমি-ছাত্র-প্রশ্ন-উত্তর-Teacj-Sanjib
সারমর্ম : কবির কাছে এই বিশ্বভুবন একটি পাঠশালা। নিজেকে সেই শিক্ষালয়ের একজন ছাত্র বলে তিনি মনে করেন। পৃথিবীর সকল বস্তু থেকে তিনি দিবারাত্র শিক্ষা গ্রহণ করেন, আকাশ হওয়ার শিক্ষা দিয়েছে, বাতাস তাঁকে শিখিয়েছে কর্মী হতে। পাহাড়ের কাছ থেকে তিনি তার সমান হতে শিখেছেন।

খোলা মাঠ যেন তাকে দিলখোলা হবার উপদেশ দেয়। সূর্যের কাছ থেকে তিনি তেজে জ্বলতে থাকার শিক্ষা, চাঁদ কবিকে শেখায় মিষ্টি হেসে মধুর কথা বলতে। সাগরকে দেখে নিজের তিনি রত্ন আকর বা রত্নের খনি গড়ে তুলতে উৎসাহ লাভ করেন। নদীর কাছ থেকে কবি লাভ বেগে এগিয়ে চলার শিক্ষা। মাটি কবিকে শিক্ষা দেয় সহ্যশক্তি অর্জন করতে, পাথর তাকে নিজের হতে দীক্ষা দেয়।

ঝরনা তার কলতানে কবির মনে গান জাগায়, শ্যামবনানী অর্থাৎ সবুজ গাছপালা অন্তরের সরসতা। সারা পৃথিবী জুড়েই কবির এই পাঠশালা বিরাজ করছে। কবি সবারই ছাত্র, দিনরাত এই বিশ্ব প্রকৃতির কাছ থেকে নতুন নতুন জিনিস শিখছেন। বিশ্ব প্রকৃতির এই বিরাট খাতার প্রতি পাঠ্য, কৌতূহলী মন নিয়ে কবি তা শিখেই চলেছেন।

সবার আমি ছাত্র প্রশ্ন উত্তর class 4 :

হাতে কলমে : অনুশীলনী প্রশ্ন ও উত্তর

১. সুনির্মল বসুর লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো। উঃ। সুনির্মল বসুর লেখা দুটি বইয়ের নাম ছানাবড়া, বীর শিকারি।

২. তিনি ১৯৫৬ সালে কী পদক পেয়েছিলেন? উঃ। তিনি ১৯৫৬ সালে ‘ভুবনেশ্বরী পদক’ পেয়েছিলেন।

৩. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :

৩.১ কার উপদেশে কবি দিলখোলা হন? উঃ। খোলামাঠের কাছ থেকে উপদেশ পেয়ে কবি দিলখোলা হন।

৩.২ পাষাণ কবিকে কী শিক্ষা দিয়েছিল? উঃ। পাষাণ কবিকে আপন কাজে কঠোর হতে শিক্ষা দিয়েছিল।

৩.৩ কবি কার কাছ থেকে কী ভিক্ষা পেলেন? উঃ। কবি শ্যামবনানী অর্থাৎ সবুজ বনজঙ্গলের কাছ থেকে সরসতা ভিক্ষা পেলেন।

. ৩.৪ কে কবিকে মধুর কথা বলতে শেখাল? উঃ। চাঁদ কবিকে মধুর কথা বলতে শেখাল ৷

৩.৫ নদীর কাছ থেকে কী শিক্ষা পাওয়া যায়? উঃ। নদীর কাছ থেকে আপন বেগে চলার শিক্ষা পাওয়া যায়।

৪. সন্ধি করে লেখো ঃ রত্ন+আকর=রত্নাকর। মেঘ+আলোক = মেঘালোক। কমলা+আসনা=কমলাসনা।

৫. সমার্থক শব্দ লেখো ঃ চাঁদ—চন্দ্ৰ, শশী, ইন্দু, বিধূ। সূর্য—তপন, ভানু, দিবাকর, রবি। পাহাড়—শৈল, গিরি, নগ। বায়ু—হাওয়া, বাতাস, সমীর, পবন। নদী—সরিৎ, প্রবাহিনী, তটিনী। পৃথিবী—ভুবন, বিশ্ব, ধরা, জগৎ। সাগর—সমুদ্র, সিন্ধু, জলধি, অর্ণব।

৬. বাক্য রচনা করো ঃ

উদার—অমরবাবু ভারী ভালো ও উদার মনের মানুষ।

মহান—বিদ্যাসাগর মহাশয় মহান ব্যক্তি ছিলেন।

মন্ত্রণা—প্রধানমন্ত্রী রাজাকে রাজ্য পরিচালনায় মন্ত্রণা দেন।

সহিয়্রতা—মানুষের সহিতা থাকার প্রয়োজন।

সন্দেহ—লোকটির চালচলন দেখে সন্দেহ হয়।

কৌতূহল—সব বিষয়ে বেশি কৌতূহল দেখানো ঠিক নয়।

শিক্ষা—প্রকৃত শিক্ষা মানুষকে এগিয়ে চলতে শেখায়। নানা ঝরনা।

৭. নীচের বিশেষণ শব্দগুলির বিশেষ্যরূপ লেখো :

কর্মী – কর্ম
মৌন – মৌনতা
মধুর- মধু
কঠোর – কঠোরতা
বিরাট – বিশালতা

৮. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলির বিশেষণ রূপ লেখো :

শিক্ষা – শিক্ষিত
মন্ত্ৰ – মন্ত্রণা
বায়ু – বায়বীয়
মাঠ – মেঠো
তেজ – তেজি

৯. কবিতা থেকে সর্বনাম শব্দগুলি খুঁজে নিয়ে লেখো ঃ (অন্তত ৫টি) উঃ। সে, আমি, তাহার, আমায়, তার।

১০. গদ্যরূপ লেখো :

ঝরনা— পাহাড়ি পথের শোভা বাড়ায় ছোটো বড়ো

১০.১ কর্মী হবার মন্ত্র আমি বায়ুর কাছে পাইরে’। উঃ। কর্মী হবার মন্ত্র আমি বায়ুর কাছে পাই।

১০.২ ‘সূর্য আমায় মন্ত্রণা দেয় আপন তেজে জ্বলতে’। উঃ। সূর্য আমায় আপন তেজে জ্বলার মন্ত্রণা দেয়।

১০.৩ ইঙ্গিতেতার শিখায়সাগর, অন্তর হোকরত্নআকর’।উঃ। সাগর তার ইঙ্গিতে শেখায় যে অন্তর রত্নআকর হয়ে উঠুক।

১০.৪ ‘শ্যামবনানী সরসতা আমায় দিল ভিক্ষা’। উঃ। শ্যামবনানী আমায় সরসতা ভিক্ষা দিল।

১০.৫ ‘শিখছি সে সব কৌতূহলে সন্দেহ নাই মাত্র’। উঃ। কৌতূহলে সে সব শিখছি সন্দেহ মাত্র নাই।

সবার আমি ছাত্র :

১১. ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা’ বলতে কবিতায় কী বোঝানো হয়েছে?

উঃ । বিশাল এই পৃথিবীতে নানান ভাবের নানা জিনিস ছড়িয়ে রয়েছে। কবি দেখেছেন এদের প্রত্যেকের থেকেই আমাদের কিছু না কিছু শেখার আছে। যেভাবে আমরা পাঠশালায় জ্ঞানলাভ করে থাকি সেভাবেই এই বিশ্বপ্রকৃতির থেকে আমরা জ্ঞানলাভ করতে পারি। তাই এই বিশ্বপ্রকৃতি কবির কাছে পাঠশালা অর্থাৎ শিক্ষাঙ্গন। সারা বিশ্ব অর্থাৎ পৃথিবী জুড়েই এই পাঠশালা ছড়িয়ে রয়েছে। কবি সেই সব কিছুরই ছাত্র, তা থেকে তিনি দিবারাত্র শিখে চলেছেন।

১২. প্রকৃতির কার কাছ থেকে আমরা কীরূপ শিক্ষা পেতে পারি লেখো :

১. আকাশ উদার হবার শিক্ষা পেতে পারি।

২. বাতাস – একজন কর্মী হয়ে ওঠার মন্ত্র আমরা বায়ুর কাছে পেতে পারি।

৩. পাহাড় – তার মতো মৌন ও মহান হওয়ার শিক্ষা পেতে পারি।

৪. সূর্য – নিজের তেজে বা শক্তিতে জ্বলে ওঠার শিক্ষা পেতে পারি।

৫. খোলামাঠ – তার মতো দিলখোলা হওয়ার শিক্ষা দেয়।

৬. চাঁদ মিষ্টি হাসা এবং মধুর কথা বলার শিক্ষা পেতে পারি।

১৩. প্রকৃতির আরও কিছু উপাদানের কথা তুমি লেখো আর তাদের থেকে কী শিক্ষা তুমি নিতে পারো তা উল্লেখ করো।

উঃ। তৃণ বা ঘাস—তৃণ বা ঘাসের কাছ থেকে নিজের সম্মান বজায় রেখেও কীভাবে নম্র ও বিনয়ী থাকা যায় তা শিখতে পারি।

ফুল—ফুল শেখায় নিজের গুণ অর্থাৎ সৌরভ বা সুবাস কীভাবে সমানভাবে সকলকে বিতরণ করা যায়।

১৪. এমন একজন মানুষের কথা লেখো যার কাছ থেকে অহরহ তুমি অনেক কিছু শেখো।

উঃ। অজয় মিত্র আমার দেখা এমন একজন মানুষ যাঁর কাছ থেকে আমি অহরহ অনেক কিছু শিখে থাকি। তিনি আমার প্রতিবেশী এবং বয়স্ক মানুষ। তিনি জীবনে এগিয়েচলা ও মাথা উঁচু করে বাঁচবারজন্য নানারকম সুপরামর্শ আমায় দিয়ে থাকেন।

সবার আমি ছাত্র পাঠ মূল্যায়নের জন্য অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর

অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

১. কোন্ মন্ত্রণা সূর্যের কাছ থেকে পাওয়া যায়? উঃ। সূর্যের কাছ থেকে আপন তেজে জ্বলার অর্থাৎ নিজের শক্তিতে বলশালী হয়ে ওঠার শিক্ষা পাওয়া যায়।

২. কবি কোথাকার ছাত্র? উঃ। কবি বিশ্ব পাঠশালা অর্থাৎ প্রকৃতির ছাত্র।

৩. কর্মী হবার মন্ত্র কী?

উঃ। কর্মী হবার মন্ত্র হল কাজে দক্ষ হবার উপদেশ।

৪. কবিতাটিতে কার সহজ গানের কথা বলা হয়েছে?

উঃ। কবিতাটিতে ঝরনার সহজ গানের কথা বলা হয়েছে।

৫. ‘শ্যামবনানী’ বলতে কী বোঝ?

উঃ। শ্যামবনানী বলতে সবুজ গাছপালায় ঘেরা ছোটো বনকে বোঝায়।

৬. চাঁদের হাসি কেমন?

উঃ। চাঁদের হাসি মিষ্টি-মধুর।

৭. সাগর ইঙ্গিতে আমাদের কী শেখায়?

উঃ। সাগর ইঙ্গিতে আমাদের শেখায় কীভাবে আমাদের অন্তরকে রত্নের আকর বা খনি করে তুলতে পারি।

৮. কবি পৃথিবীকে কীভাবে বর্ণনা করেছেন?

উঃ। কবির মতে এই পৃথিবীটা একটি বিশাল পাঠ্য বই। তার প্রতি পাতায় রয়েছে নানা শেখার জিনিস। ।

৯. বায়ুর কাছ থেকে কী শেখা যায় ? উঃ। নিরলস ও দক্ষ কর্মী হবার মন্ত্র আমরা বায়ুর কাছ থেকে শিখি।

সবার আমি ছাত্র সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর:

১. কোন্ জিনিসগুলি আমরা সূর্য ও চাঁদের কাছ থেকে শিখতে পারি বলে কবি মনে করেন? উঃ। কবি মনে করেন সূর্য তার নিজের তেজ অর্থাৎ শক্তি দিয়ে যেভাবে আপনি আলোকিত হয়ে ওঠে এবং সকলকে সেই আলো পৌঁছে দেয়। কবি চান তিনি নিজের শক্তিতে অপরের পাশে দাঁড়াতে। কবির মতে চাঁদ স্নিগ্ধ, তার আলোও মধুর। তাই তার কাছে থেকে মিষ্টতা ও মধুর বাক্য বলা শেখা যায়।

২. মাটি কীভাবে আমাদের সহিষ্বতার শিক্ষা দিতে পারে বলে কবি মনে করেন? উঃ। মাটির ওপর মানুষ ও অন্যান্য জীবন্ত প্রাণীরা যা খুশি করে বেড়ায়। মাটি কিন্তু কিছুই বলে না। সে নীরবে সব কিছু সহ্য করে চলে। মাটির এই সহিষ্ণুতা বা সহনশীলতা কবি মনে মনে অনুভব করেছেন। তাই কবি মাটির কাছ থেকে এই সহ্যক্ষমতা বা ধৈর্যশীল হবার শিক্ষা পেতে চেয়েছেন।

৩. হই যেন ভাই মৌন মহান’—কে, কেন মৌন মহান হতে চান? উঃ। কবি উঁচু পাহাড়ের মতো মৌন মহান হতে চাইছেন।

পাহাড় তার আপন গরিমা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে। উচ্চতায় সে আকাশকে ছুঁয়ে ফেললেও তার মধ্যে কোনো অহংকার নেই। নীরব থেকে বহু যুগ ধরে সে তার বিশাল আকার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। পাহাড়ের এই বিশালতা এবং মৌনতা কবির মনকে স্পর্শ করেছে। তাই তিনি পাহাড়ের মতো মৌন ও মহান হবার শিক্ষা পেতে চান। তিনিও চান যেন তাঁর মনে কোনো অহংকারের ভাব না আসে। নীরব থেকেই তিনি যেন আপন কাজ করে যেতে পারেন।

৪. ‘গান জাগাল আমার প্রাণে’—কে কবির মনে কীভাবে গান জাগিয়েছে?

উঃ। ঝরনা কবির মনে গান জাগিয়েছে।

গান মানুষের মনে আনন্দ এনে দেয়। মানুষ যখন গান গায় তখন তার মন আনন্দে ভরে ওঠে। ঝরনাও যখন পাহাড় বেয়ে আপন মনে কলতান করতে করতে নেমে আসে, তখন শোনা যায় এক আনন্দের সুর। সেই সুরের শব্দ কবির মনে গানের ঢেউ তোলে। কবিও তার কাছে শিখে নেন আপন মনে গান গেয়ে ওঠার শিক্ষা।

৫. ‘শিখছি সে সব কৌতূহলে/সন্দেহ নেই মাত্র। -কে কৌতূহলে কী শিখছেন বুঝিয়ে দাও। উঃ। সুনির্মল বসুর ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় কবি মনে করেন এই পৃথিবী যেন এক বিরাট পাঠশালা আর বিশ্বপ্রকৃতির খাতার পাতায় যে সব পাঠ্য রয়েছে কবি আপন কৌতূহলে দিবারাত্র যে সব শিখে চলেছেন। কবির এতে কোনো সন্দেহ নেই।

সবার আমি ছাত্র কবিতা: নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

১. শূন্যস্থানে কবিতার সঠিক শব্দ বসাও ঃ (ক) আমায় -দেয়, আপন জ্বলতে। (গ) মাটির কাছে । (ঙ) পেলাম আমি সবার আমি খোলা মাঠের তার শিখায় সাগর, দিলখোলা হই তাহার সহজ গানে গান । (ছ) এই পৃথিবীর বিশ্বজোড়া পাঠশালা পাতায়। (জ) সে সব কৌতূহলে নাই মাত্র। -1 (4) হোক রত্ন আকর। (ঘ) আমার প্রাণে। (চ) যে সব পাতায় খাতায়

উঃ। (ক) উপদেশে, তাইরে। (খ) সূর্য, মন্ত্রণা, তেজে। (গ) ইঙ্গিতে, অন্তর। (ঘ) সহিম্বুতা, শিক্ষা। (ঙ) ঝরনা, জাগাল। (চ) মোর, ছাত্র। (ছ) বিরাট, পাঠ্য। (জ) শিখছি, সন্দেহ। ২. সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :

(ক) আকাশ আমায় (ভিক্ষা/শিক্ষা/দীক্ষা) দিল। (খ)(পাযাণ/ঝরনা/চাঁদ) শিখাল হাসতে মিঠে। (গ) ঝরনা তাহার সহজ গানে জাগাল আমার (মনে/কানে/প্রাণে)।(ঘ) এই পৃথিবীরবিরাট (পাতায়/খাতায়/মাথায়)।(ঙ)(ভঙ্গীতে/ইঙ্গিতে/সংগীতে) তার শিখায় সাগর। (চ) পাহাড় শিখায় তাহার (প্রমাণ/সমান/সম্মান) হই যেন ভাই মৌন মহান ৷

উঃ। (ক) শিক্ষা। (খ)। চাঁদ। (গ) প্রাণে। (ঘ) খাতায়। (ঙ) ইঙ্গিতে। (চ) সমান।

৩. এলোমেলো অক্ষরগুলি সাজিয়ে নিয়ে অর্থপূর্ণ শব্দ তৈরি করো ঃ

সরতাস, পালাশাঠ, উদেপশে, রাদিবাত্র, কৌলেতূহ।

উঃ। সরতাস—সরসতা। গলা পাঠশালা। উদেপশে—উপদেশে। রাদিবাত্র—দিবারাত্র। কৌলেতূহ—কৌতূহলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *