Bengali Class vII

পাগলা গণেশ প্রশ্ন উত্তর Teacj Sanjib

পাগলা গণেশ প্রশ্ন উত্তর Teacj Sanjib

পাগলা গণেশ
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

পাগলা গণেশ গল্পের উৎস,বিষয়বস্তু,নামকরণ,অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর এবং কিছু অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর এখানে আলোচনা করা হয়েছে।

পাগলা গণেশ উৎস

কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি নিয়ে লেখা শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গল্পগ্রন্থ ‘পাগলা গণেশ’। ‘পাগলা গণেশ’ গল্পটি ওই গ্রন্থের নাম

পাগলা গণেশ গল্পের বিষয়বস্তু:

বিষয়সংক্ষেপ

পাগলা-গণেশ-প্রশ্ন-উত্তর-Teacj-Sanjib

পৃথিবীতে এক ধরনের মলম আবিষ্কৃত হয়েছে, যা মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে ছাড়িয়ে উড়ান পথে মানুষকে নিয়ে যাচ্ছে। নানান ধরনের উড়ান যন্ত্রে উড়ে গিয়ে মানুষ ৩৫৮৯ সালে সূর্যের শেষ দুটো গ্রহও আবিষ্কার করে ফেলেছে। অনেকে মহাকাশের দূর দিগন্তে পাড়ি দিয়ে একশো-দেড়শো বছর পরে ফিরছে।
পৃথিবীতে মানুষ মৃত্যুহীন হয়ে গেছে। এই মানুষেরা গত দেড়শো বছরে পৃথিবীতে কোনো শিশুর জন্ম দেখেনি। পৃথিবী থেকে নান্দনিক সকল বিষয় উধাও হয়ে গেছে। মানুষ বুঁদ হয়ে আছে কেবল বিজ্ঞান নিয়ে ।

পাগলা গণেশ একে বাড়াবাড়ি মনে করেন। তিনি মৃত্যুঞ্জয় টনিক সেবন করে জীবনের শেষ প্রান্তকে বাঁধ দিয়ে ফেলেছেন। সুকুমার শিল্পবিরোধী আন্দোলন দেখেছেন তিনি। তিনি বেঁচে থাকার দীর্ঘ ক্লান্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য হিমালয়ে নিপাট নর্জনতার সন্ধান করছেন। হিমালয়ও তাকে তা দিতে পারছে না।

গণেশ কবিতা লিখছেন, গান গাইছেন, ছবি আঁকছেন। আর বজ্ঞানের অবিরাম সাধনায় যারা মগ্ন তারা গণেশের এমন কাজকে অকেজো বলে অবহেলা করছে। তাই গণেশ পৃথিবীর ভারসাম্যের কথা ভাবেন। নিজের পারিবারিক জীবনও তিনি ভুলে গেছেন।

বউ-ছেলেমেয়ে কারো মুখ তিনি মনে করতে পারেন না। বহু বছর ধরে তারাও মহাজ্যোতিষ্কমণ্ডলে এক-একজন কৃতী বিজ্ঞানী। তারা আর আসে না।

গণেশ কবিতা লিখছিলেন। লেখা পাতাগুলো তিনি বাতাসে উড়িয়ে দিচ্ছিলেন। একজন পুলিশ আকাশপথে ধামা থেকে নেমে এসে চিনতে পেরেছিল-গণেশবাবু তার স্যার, সায়েন্স কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক। পুলিশটি একখানা পাতা কুড়িয়ে নিয়ে পড়ে কিছু বুঝতে না পারলেও নিজের প্রিয় শৈশবকে ছুঁতে পেরেছিল।

নতুন করে শৈশবকে অনুভব করার আনন্দ খুঁজে পেয়েছিল সে। সে তার মাকে আর বউকেও এনেছিল। সেদিন একটা নান্দনিকচর্চার ছোটোখাটো আসর হয়েছিল গণেশের ডেরায়। সে তার পুলিশ বন্ধুদের আনতে শুরু করে। তারপর গণেশের ডেরায় লোক আসা বাড়তে থাকে।

সপ্তাহখানেক পরে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব এসে গণেশের কাণ্ডটাকে বিজ্ঞানবিরুদ্ধ ঘোষণা করে জানায় পৃথিবীর লোক গান গাইছে, কবিতা লিখছে, ছবি আঁকছে। গণেশ তখন তৃপ্তির হাসি হেসে তার প্রসন্নতাকে উজাড় করে দিয়ে বলেন, ‘তাহলে আর ভয় নেই। দুনিয়াটা বেঁচে যাবে…।’

নামকরণ

সাহিত্যিক মাত্রেই তাঁর সৃজিত সাহিত্যনির্মিতির নামকরণ করেন এবং তা করা হয় যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে, কেন-না নামকরণ বা শিরোনামই সংশ্লিষ্ট সাহিত্যশৈলীটিকে প্রথম পরিচিত করে তোলে পাঠকচক্ষে।
সেদিক থেকে বিবেচনা করলে নামকরণ হল সাহিত্য ও পাঠকের মধ্যে সংযোগসেতু। গল্পের ক্ষেত্রে নামকরণে করা হয়ে থাকে কোন বিশিষ্ট চরিত্র, সংশ্লিষ্ট কোনো ভাববাহী ঘটনা, কিংবা কোনো ব্যঞ্জনা অথবা বক্তব্যবিষয়ের প্রতীকতা প্রকাশ করে।

‘পাগলা গণেশ’ গল্পের নামকরণটি নির্মিত হয়েছে ‘পাগলা’ ও ‘গণেশ’ শব্দদুটির অসাধারণ ব্যঞ্জনা নিয়ে এবং গল্পের কাহিনিরসের সঙ্গে শব্দদুটির অনন্য সংযুক্তিসাধন করে। বলাবাহুল্য গল্পের চমকপ্রদ বিষয়বস্তুটি এখানে নামকরণের প্রসঙ্গটিকে নিঃসন্দেহে সহায়তা দান করেছে। দেখা যায় ‘গণেশ’ শব্দটি পৌরাণিক।

এর বিশেষণরূপে ‘পাগলা’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে নামকরণে। ফলত নামকরণে একটি দ্বিমাত্রিক বৈচিত্র্য এসেছে নিঃসন্দেহে। মহাভারতের লিপিকার গণেশের মতোই উক্ত গল্পের প্রধান তথা কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘গণেশ’-ও রচনাকার, তিনি কবিতা লেখেন, ভাস্কর্য করেন, গান গেয়ে ওঠেন।

গল্পে দেখা যায় ৩৫৮৯ সালের প্রেক্ষাপটে যখন কবিতাগান-কবি-কথাসাহিত্য-নাটক ইত্যাদি বিষয়চর্চা ‘নিতান্ত পাগলামি’,

দয়া-মায়া-করুণা-ভালোবাসা কেবলই ‘অনাবশ্যক ভাবাবেগ’, তখন এককভাবে বিজ্ঞানচর্চার ঊর্ধ্বে উঠে মানবিক কাজ করতে চেয়েছিলেন গণেশ।
বিজ্ঞানের অসম্ভব রকমের এককভাবে বাড়াবাড়িরও যে একটা সীমা থাকা উচিত এই বিশ্বাস নিয়ে পাগলের মতো মানবমনের সুকুমার শিল্পবোধগুলিকে চৰ্চিত রাখায় তৎপর হন গণেশ, অথচ তখন প্রতিটি মানুষই বুঁদ হয়ে আছে বিজ্ঞানে, সব মানুষই কম বেশি বিজ্ঞানকর্মে লিপ্ত। বিজ্ঞান বাদে অন্য কোনো চর্চাই তখন থেমে গেছে।

মানবমনের সুকুমার বৃত্তিগুলি মরতে বসেছে। এমনকি মানুষ আর প্রকৃতির অঙ্গনে গিয়েও একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করতে চায় না। গণেশ নিশ্চিত জানেন, কালের চাকার গতিকে একা তিনি উলটো দিকে ঘোরাতে পারবেন না। তবুও তিনি হিমালয়ের নির্জন গিরিগুহায় আশ্রয় নিয়ে সময়ের স্রোতকে নিজ ভাবনার অনুকূলে আনায় সচেষ্ট হন।

অতএব রোমাঞ্চকর এই কল্পবিজ্ঞান গল্পে গণেশের একক এবং সাধু প্রচেষ্টাটিকেই পাগলামির নামান্তর হয়ে প্রকাশিত হতে দেখা যায়। গণেশ নামক ব্যক্তিটির সঙ্গে তার এই পাগলপনা নিবিড়ভাবে সংযুক্ত হয়ে গল্পের নামকরণটিকে অসাধারণ চমৎকারিত্ব দান করেছে বলে এই নামকরণটি সার্থক হয়েছে।

পাগলা গণেশ অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর:

হাতেকলমে

সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :

১.১ ‘পাগলা গণেশ’ একটি (বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞান/রূপকথা) বিষয়ক গল্প।

উত্তর কল্পবিজ্ঞান।

১.২‘অবজার্ভেটরি’-র বাংলা প্রতিশব্দ (পরীক্ষাগার/ গবেষণাগার/নিরীক্ষণাগার)।

উত্তর নিরীক্ষণাগার।

১.৩ সভ্যসমাজ থেকে দূরে পালিয়ে গিয়ে গণেশ (হিমালয়ের গিরিগুহায়/গভীর জঙ্গলে/মহাকাশে) আশ্রয় নিয়েছিলেন।

উত্তর হিমালয়ের গিরিগুহায়।

১.৪ গল্পের তথ্য অনুসারে মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কার হয়েছিল (৩৫৮৯/৩৪৩৯/৩৫০০) সালে।

উত্তর ৩৪৩৯ সালে।

সংক্ষেপে উত্তর দাও

২.১ “সালটা ৩৫৮৯।”— এই সময়ের মধ্যে পৃথিবীতে কোন্ কোন্ নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কথা গল্পে বলা হয়েছে? উত্তর শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘পাগলা গণেশ’ গল্পটি একটি কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি। আলোচ্য গল্পে ৩৫৮৯ সাল নাগাদ পৃথিবীতে কেমন অবস্থা তৈরি হতে পারে তারই ইঙ্গিত দিয়েছেন লেখক। উক্ত সময়ে নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ঘটবে পৃথিবীতে।

যেমন – ওই সময়ের মধ্যে মাধ্যাকর্ষণ প্রতিরোধকারী মলম আবিষ্কৃত হবে, যার ফলে পৃথিবীতে নানারকম উড়ানযন্ত্র আবিষ্কারের হিড়িক পড়ে যাবে। মানুষ মৃত্যুঞ্জয়ী টনিক আবিষ্কার করবে, সূর্যের আরও দুটি গ্রহ আবিষ্কৃত হবে এবং জানা যাবে যে সূর্যের আর কোনো গ্রহ নেই। ইতিমধ্যে চাঁদ, মঙ্গল, শুক্র গ্রহে মানুষ ল্যাবরেটরি স্থাপন করবে।

২.২ “ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না।”—‘অনাবশ্যক ভাবাবেগ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? তাকে সত্যিই তোমার ‘অনাবশ্যক’ বলে মনে হয় কি?

উত্তর:- প্রশ্নোক্ত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘পাগলা গণেশ’ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। ‘অনাবশ্যক ভাবাবেগ’ বলতে কিছু শিল্পসৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। যেমন—কবিতা, গান, ছবি আঁকা, কথাসাহিত্য, নাটক, সিনেমা প্রভৃতির চর্চা।

। আলোচ্য গল্পে লেখক ৩৫৮৯ সালের যে সময়ের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন, সেই সময়ে মানুষ বিজ্ঞান ছাড়া অন্য কিছুর চর্চাই

করবে না হয়তো, তাই তাদের কাছে মনের আবেগের কোনো মূল্য থাকবে না। তাই শিল্পেরও কোনো মর্যাদা থাকবে না। কিন্তু আমার মনে হয় মনের আবেগ হারিয়ে গেলে পৃথিবীটা মরুভূমির মতোই রুক্ষ হয়ে পড়বে। পৃথিবীকে তথা মানুষকে তো বাঁচিয়ে রাখবে মনের আবেগ। কবিতা, গান, ছবি আঁকা প্রভৃতি চর্চা করলে, এগুলির মধ্যে মানুষ বেঁচে থাকার আনন্দ খুঁজে পাবে। তাই কবিতা, গান, আঁকা প্রভৃতির চর্চাকে ‘অনাবশ্যক’ মনে করি না।

২.৩ “চর্চার অভাবে মানুষের মনে আর ওসবের উদ্রেক হয় না।”—মানুষের মন থেকে কোন্ কোন্ অনুভূতিগুলি হারিয়ে গেছে?

উত্তর:- প্রশ্নোক্ত অংশটি সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি ‘পাগলা গণেশ’ থেকে নেওয়া হয়েছে। মানুষের মন থেকে হারিয়ে গেছে সৌন্দর্য, দয়া-মায়া-করুণা প্রভৃতির অনুভূতি। এইসব অনুভূতিগুলির আর প্রয়োজন না থাকায়, মানুষের জীবনে এসবের চর্চাও আর হয় না।

[ ২.৪ “ব্যতিক্রম অবশ্য এক আধজন আছে।”—ব্যতিক্রমী মানুষটি কে? কীভাবে তিনি ব্যতিক্রম’ হয়ে উঠেছিলেন?

উত্তর:- প্রশ্নোক্ত অংশটি সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘পাগলা গণেশ’ নামক কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে ব্যতিক্রমী মানুষটি হলেন স্বয়ং পাগলা গণেশ।

গল্পে বর্ণিত ৩৫৯৮ সালেরও ১৫০ বছর পূর্বে যখন ‘মৃত্যুঞ্জয় টনিক’ আবিষ্কৃত হয়, তখন অন্য অনেকের মতো গণেশও তার ৫০ বছর বয়সে তা পান করেন এবং তার আর মৃত্যু হয় না। প্রায় সমসময় থেকেই শিল্পবিরোধী আন্দোলনও শুরু হয়। মানুষের কাছে তখন থেকেই বিজ্ঞান হয়ে ওঠে চর্চার একমাত্র বিষয়।

চর্চার বিষয় থেকে অনিবার্যভাবে বাদ পড়ে যায় সাহিত্য, শিল্প, সংগীত । বিষয়গুলিকে মানুষ অনাবশ্যক বলে বিবেচিত করে। সমকালীন ঘটনার এই গতিপ্রকৃতি গণেশের পছন্দ হয় না। বিজ্ঞানের বাড়াবাড়িরও যে একটা সীমা থাকা দরকার এ তার মনে হয়।

তাই একক প্রচেষ্টায় কালের গতিকে উলটো দিকে ফেরানোর ব্যর্থ চেষ্টা না করে গণেশ আশ্রয় নেন সভ্যসমাজ থেকে দূরে হিমালয়ের গিরিগুহায়। একান্ত নির্জনে ব্যতিক্রমী প্রচেষ্টায় গণেশ শুরু করে কবিতাচর্চা, গান গাওয়া, ছবি আঁকার সাধনা। এভাবেই তিনি বেগের যুগে আবেগনির্ভরতার পথে, যুগবিরুদ্ধ কাজ করে ব্যতিক্রমী হয়ে ওঠেন।

২.৫“ও মশাই, অমন বিকট শব্দ করছেন কেন?”—কার উদ্দেশে কারা এ কথা বলেছিল? কোন্ কাজকে তারা ‘বিকট শব্দ’ মনে করেছিল?

উত্তর প্রশ্নোক্ত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘পাগলা গণেশ’ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। কথাগুলি বলা হয়েছিল পাগলা গণেশের উদ্দেশে। দুটি পাখাওয়ালা লোক কথাগুলি বলেছিল। পাগলা গণেশের গানের গলা ভালোই ছিল। একদিন সন্ধেবেলা তিনি গলা ছেড়ে গান গাইতে শুরু করেন।

সেইসময় দুটো লোক আকাশযানে চড়ে লাসা থেকে ইসলামাবাদ উড়ে যাচ্ছিল, যেতে যেতে তাদের কানে পাগলা গণেশের গানের শব্দ পৌঁছোয়। তারা গণেশের গানের কোনো অর্থ বা আবেগ বুঝতে পারে না, তাই তারা বিরক্ত হয়। তাদের মনে হয় ওই গানের আওয়াজ বিকট শব্দ ছাড়া আর কিছুই নয়। অর্থাৎ ব্যতিক্রমী মানুষ পাগলা গণেশের গলা ছেড়ে গান গাওয়াকেই মানুষরা মনে করে বিকট শব্দ।

২.৬ “গণেশ তাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে।”—গণেশ কাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে? তাঁর এই ভুলে যাওয়ার কারণ কী বলে তোমার মনে হয়?

উত্তর:- প্রশ্নোক্ত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘পাগলা গণেশ’ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। গণেশের তিন ছেলে ও এক মেয়ে আছে। তাদের মুখশ্রী তিনি একেবারে ভুলে গেছেন। গণেশ নিজে যেমন কৃতী মানুষ, তেমনই তার ছেলেমেয়েরাও প্রত্যেকেই এক-একজন কৃতী বিজ্ঞানী। বিগত একশো বছর ধরে ছেলেমেয়েদের দেখতে না পাওয়ার জন্যই পাগলা গণেশ ছেলেমেয়েদের মুখশ্রী ভুলে গেছেন।

2.9 “গণেশকে সসম্ভ্রমে অভিবাদন করে বলল,”—কে, কী বলেছিল? তার এভাবে তাকে সম্মান জানানোর কারণটি কী?

উত্তর:- প্রশ্নোক্ত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘পাগলা গণেশ’ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। একজন পুলিশম্যান গণেশকে সম্ভ্রমের সঙ্গে অভিবাদন জানিয়ে বলেছিল—তিনি যে পাহাড়ময় এত কাগজ ছড়িয়ে দিচ্ছেন, তার কারণ কী? এটা কি নতুন কোনো বিষয়ে গবেষণা?

একদিন গণেশ যখন আপন মনে কবিতা লিখে বাতাসে ভাসিয়ে দিচ্ছিলেন, তখন আকাশ থেকে একটা পিপে মাটিতে নেমে আসে। তার মধ্য থেকে একজন পুলিশম্যান বেরিয়ে এসে গণেশকে ‘স্যার’ বলে অভিবাদন জানায়। গণেশ যখন কলকাতার সায়েন্স কলেজে মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স পড়াতেন, তখন তার ছাত্র ছিল ওই পুলিশম্যান। তাই মাস্টারমশাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই সে সসম্ভ্রমে তাকে ‘স্যার’ অভিবাদন জানিয়ে সম্মান জানিয়েছে।

[২.৮] “আমি পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি।”—বক্তা কীভাবে পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল? তার প্রয়াস শেষপর্যন্ত সফল হয়েছিল কি?

উত্তর :- প্রশ্নোক্ত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘পাগলা গণেশ’ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। উক্তিটির বক্তা হলেন গণেশ নিজেই। গণেশ ছবি এঁকে, কবিতা লিখে, গান গেয়ে পৃথিবীকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন।

গণেশের প্রয়াস যে শেষপর্যন্ত সফল হয়েছিল, গল্পশেষে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব গণেশের একক প্রচেষ্টার খবর পেয়ে তাঁর বিমান থেকে গণেশের ডেরায় নেমে যে উক্তি করেছিলেন, তাতেই সেই ইঙ্গিত রয়েছে। তিনি বলেছিলেন——লোকে গান গাইতে লেগেছে, কবিতা মকসো করছে, হিজিবিজি ছবি আঁকছে।’ অর্থাৎ গণেশের প্রয়াস যে ব্যর্থ হয়নি, তা নিঃসন্দেহে বোঝা যায়।

২.৯ “লোকটা অসহায়ভাবে মাথা নেড়ে বলল,” – এখানে কার কথা বলা হয়েছে? সে কী বলল? তার অসহায়ভাবে মাথা নাড়ার কারণ কী?

উত্তর:- শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘পাগলা গণেশ’ গল্পের উদ্ধৃত অংশে ‘লোকটা’ অর্থাৎ পুলিশম্যানের কথা বলা হয়েছে, যে একসময় পাগলা গণেশের ছাত্র ছিল।

সে গণেশের কবিতা পড়ে অসহায়ভাবে মাথা নেড়ে বলল তম মে কিছুই বুঝতে পারছে না। কোনোদিনই সে জিনিস পড়েনি। শিক্ষানিকেতনে এসব পড়ানো হত না।

আসলে উক্ত পুলিশম্যানের আমলে শিক্ষানি। কজনে কবিতা পড়ানো হত না। ফলে কবিতার মতো পুলিশমানির কোনো সম্পর্কই ছিল না। গণেশের কবিতা পড়ে সে কিছুই বুঝতে পারেনি। পণেশের কবিতার ভাব বা আবেদন তার মাথাতেই চোকেনি। এই কারণেই সে অসহায়ভাবে মাথা নেড়েছিল।

2.10. তিনজন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বসে রইল। এই তিনজন কারা। তাদের মুখভার কারণ কী?

উঃ- প্রশ্নোত্ত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘পাগলা গণেশ নামক কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোচ। অংশের তিনজন হলেন গণেশের প্রাক্তন ছাত্র পুলিশমানি, পুলিশম্যানের মা এবং স্ত্রী।

● পুলিশম্যান গণেশের কবিতা পাঠ করে কিছুই বুঝতে না পেরে চলে গেলেও পরের দিনই সে তার স্ত্রী এবং মা কে নিয়ে আসে পণেশের কাছে, পণেশের কবিতা শোনার জন্য। গণেশ তাদের দেখে খুশি হয় এবং তাদের কবিতা শোনায়।
তবে শুধু তাই নয়, গণেশ তাদের গান শোনায় এবং ছবিও দেখায়। গণেশের এই শিল্পকর্মে পুলিশম্যান, তার মা ও স্ত্রী মোহিত হয়ে পড়ে। তারা যেন কোনো অনাস্বাদিত বস্তুর রস আস্বাদন করতে থাকে। তাই তারা গণেশের কবিতা, গান শুনে এবং ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল।

৩| ‘পাগলা গণেশ’ গল্পের মুখ্য চরিত্র গণেশকে তোমার

প্রখ্যাত কথাশিল্পী শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ‘পাগলা গণেশ’ গল্পে গণেশ মুখ৷ তথা কেন্দ্রীয় চরিত্র। তিনি একাধারে অসাধারণ এবং ব্যতিক্রমী একটি চরিত্র। মৃত্যুঞ্জয় টনিক গণেশকে অমরতা স্থান করেছে। তিনি নিজে বিজ্ঞানের অধ্যাপক অথচ কেবল যুগের হুজুগে না চলে, নিছক বিজ্ঞানকমে নিজেকে ব্যাপৃত না রেখে, মানুষের মধ্যে উক্ত মানসবৃত্তিগুলির বিকাশে তিনি আন্তরিক সচেষ্ট হয়েছেন।

যুগধর্ম অনুযায়ী তখন পৃথিবীর সর্বত্র বিজ্ঞান ছাড়া আর যেন ভাবনার কোনো বিষয়ই নেই। গত ১৫০ বছরে বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। আবার পাশাপাশি সুকুমার শিল্পবিরোধী আন্দোলন’-ও চলছে। তাই মানবমন থেকে আবেগ, স্নেহ মায়া-মমতার মতো অনুভূতিগুলি যেমন হারিয়ে যাচ্ছে, তেমনই শিল্প-সাহিত্যসংস্কৃতির পাঠও চুকে যাচ্ছে। তার তখন মনে হয়েছিল– বিজ্ঞানের বাড়াবাড়িরও একটা সীমা থাকা কার।’

এমতাবস্থায় প্রায় একক প্রচেষ্টায় কবিতা গান আঁকা ইত্যাদির চর্চার জন্য গণেশ হিমালয়ের গিরিগুহায় ডেরা বাঁধেন। সেখানে কবিতা লিখে তিনি ভাসিয়ে দেন বাতাসে ভাবেন যদি পৌঁছোয়, যদি কেউ পড়ে। কখনও তিনি গান ছবি আঁকেন। এমন সৃষ্টিছাড়া কীতিকলাপ যার, তাকে । মনে হতেই পারে। কিন্তু গণেশ ‘পাগলা’ নন, যান্ত্রিক পৃথিবীর হৈ-হল্লার মাঝে নিঃসঙ্গ হলেও তোর পূজারি বিজ্ঞাননির্ভর মানুষ একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন।

তাই পারস্পরিক আবেগের সুত্রে মানুষ তিনি বিজ্ঞানের পাশে মানুষের সৃষ্টিশীলতা প্রতিষ্ঠা দিতে চেয়েছেন। একক যুদ্ধের মাধক মৌলিক মালেশ তাই এক সার্থক মানবচরিত্র হিসেবে অনুপ্রকাশ করেছেন। গল্পশেষে তাই রাষ্ট্রপুরেশ্বর মহাসচিব যখন আলাল লাকি গান গাইতে লেগেছে, কবিতা মকসো করছে হিজিবিজি ছবি আঁকছে। তখন গণেশের প্রাণময় উক্তি “মাঃ তাহলে সার জয় নেই। দুনিয়াটা বেঁচে যাবে!

৪। অর্থ অপরিবর্তিত রেখে নিম্নরেখাঙ্কিত শব্দগুলির পরিবর্তে নতুন শব্দ বসাও

৪.১ ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না।

উত্তর ওসব অপ্রয়োজনীয় ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না।

৪.২ কেউ ঠাট্টা বিদ্রুপ করল না।

উত্তর – কেউ রক্তারসিকতা করল না।

৪.৩ দুনিয়াটা বেঁচে যাবে।

উঃ জগৎ টা বঁচে যাবে।

৪.৪ | মহাসচিব তাঁর বিমান থেকে নামলেন গণেশের ডেরায়।

উত্তর মহাসচিব তাঁর উড়োজাহাজ থেকে নামলেন গণেশের আস্তানায়।

৪.৫ গনেশকে সসম্ভ্রমে অভিবাদন জানিয়ে বলল।

উত্তর গণেশকে সসম্মানে অভিবাদন জানিয়ে বলল।

|৪.৬/ লোক গান গাইতে লেগেছে কবিতা মকসো করছে।

উত্তর লোকে গান গাইতে লেগেছে, কবিতা চর্চা করছে।

(৪.৭) হিমালয় যে খুব নির্জন জয়গা, তা নয়।

উত্তর হিমালয় যে খুব জনহীন জায়গা, তা নয়।

(৪.৮) ধূর মশাই, এযে বিকেল শব্দ।

উত্তর ধুর মশাই, এ যে বিকট শব্দ।

৫I এককথায় লেখো :

মহান যে সচিব, প্রতিরোধ করে যে, গতিবেগ আছে যার মৃত্যুকে জয় করেছে যে, অন্ত নেই যান।

উত্তর

মহান যে সচিব -উঃ মহাসচিব

প্রতিরোধ করে যে -উঃ প্রতিরোধকারী

গতিবেগ আছে যার -উঃগতিশীল

মৃত্যুকে জয় করেছে যে- উঃ মৃত্যুঞ্জয়

অন্ত নেই যার – উঃ অনন্ত

৬. সন্ধি বিচ্ছেদ করো :

মাধ্যাকর্ষণ, আবিষ্কার, মৃত্যুঞ্জয় , অনাবশ্যক, গবেষণা, অন্তরীক্ষ,গনেশ,হিমালয়, নির্জন,গবেষণা গার,পরীক্ষা

মাধ্যাকর্ষণ= মাধ্য + আকর্ষণ
আবিষ্কার= আবিঃ + কার
মৃত্যুঞ্জয়= মৃত্যুম + জয়
অনাবশ্যক= অন + আবশ্যক
গবেষণা= গো+ এষণা
অন্তরীক্ষ= অন্ত: +ঈ‌‌‌ক্ষ
গনেশ= গণ + ঈশ্
হিমালয়=হিম+আলয়
নির্জন= নিঃ + জন।
পরীক্ষা= পরি + ঈ‌‌‌ক্ষা
গবেষণাগার= গো+ এষণা + আগার

৭. সমার্থক শব্দ লেখো :

কৃত্রিম = জাল, নকল, মেকি
পৃথিবী = বিশ্ব, জগৎ, ধরা
আন্দোলন= আলোড়ন, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ।

৮.নিম্নলিখিত বিশেষণগুলির পর উপযুক্ত বিশেষ্য বসাও এবং বাক্যরচনা করো :

বাক্য

কৃত্রিম-কৃত্রিম উপগ্রহ= কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে আমরা আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানতে পারি।

মেদুর-মেদুর মন= মেদুর মনের মানুষেরাই সাহিত্য কবিতা সৃষ্টি করতে পারে।

সুকুমার-সুকুমার বৃত্তি= গান গাওয়া, কবিতা লেখা ইত্যাদি হল সুকুমার বৃত্তি।

যান্ত্রিক-যান্ত্রিক জীবন= যান্ত্রিক জীবন কখনও সুখের হতে পারে না।

ফিরোজা-ফিরোজা আকাশ= ভোরের ফিরোজা আকাশে শুকতারা জ্বলজ্বল করছে।

মন্ত্রমুগ্ধ- মন্ত্রমুগ্ধ অবস্থা= ছোটো মেয়েটির নাচ দেখে আমাদের প্রত্যেকের মন্ত্রমুগ্ধ অবস্থা।

পাগলা গণেশ প্রশ্ন উত্তর mcq:

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর

নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নোত্তর

সঠিক উত্তর নির্বাচন করো

১.মাধ্যাকর্ষণ প্রতিরোধকারী (ইঞ্জেকশন / ট্যাবলেট/সিরাপ/মলম) আবিষ্কৃত হয়েছে।

উঃ মলম।

২.গত এক দেড়শো বছরের মধ্যে কেউ পৃথিবীতে শিশুর কান্না শোনেনি, কারণ ও সব মানুষই বেঁচে আছে বলে নতুন (বিজ্ঞান নিয়ে সকলে বুঁদ হয়ে আছে/প্রত্যেকেই কোনো না কোনো বিজ্ঞানের মানুষের জন্ম হচ্ছে না। বিজ্ঞানী/কবিতা, গান, ছবি আঁকা, কথাসাহিত্য, নাটক, সিনেমা এসব নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না/সব মানুষই বেঁচে আছে বলে নতুন মানুষের জন্ম হচ্ছে না।

উঃ সব মানুষই বেঁচে আছে বলে নতুন মানুষের জন্ম হচ্ছে না।

৩.‘অনাবশ্যক ভাবাবেগ’ বলতে (বিজ্ঞানচর্চা/শিল্পচর্চা/সাহিত্য-শিল্পচর্চার) কথা বলা হয়েছে।

উঃ সাহিত্য-শিল্পচর্চার কথা বলা বলা হচ্ছে।

৪.“ব্যতিক্রম অবশ্য এক আধজন আছে।”—ব্যতিক্রম চরিত্রটি কে? (পাগলা গণেশ নিজেই। /পাগলা গণেশের স্ত্রী/পাগলা গণেশের মেয়ের কথা বলা হচ্ছে)।

উঃ পাগলা গণেশ নিজেই।

৫.মৃত্যু ওয় টনিক আবিষ্কার হয়েছিল (পাগলা গণেশের দুশো বছর বয়সে / পাগলা গণেশের পঞ্চাশ বছর বয়সে/পাগলা গণেশের ষাট বছর বয়সে)।

উঃ পাগলা গণেশের পঞ্চাশ বছর বয়সে

৬.গণেশ লেখে (উপন্যাস/কবিতা/গল্প)।

উঃ কবিতা

৭.গণেশের কবিতা (আকাশ, বাতাস, প্রকৃতি/ছাত্র, ছাত্রের মা/পাঁচজন শ্রোতা) শুনবে বলে গণেশের বিশ্বাস।

উঃ আকাশ, বাতাস, প্রকৃতি

৮.অন্তহীন আয়ুতে গণেশের উপলব্ধি হল (মৃত্যুহীন জীবনের যন্ত্রণা/সুইসাইডের ইচ্ছা/মরা মানুষকে বাঁচিয়ে তোলা)।

উঃমৃত্যুহীন জীবনের যন্ত্রণা।

৯.“গণেশ তাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে।” কাদের? (ছাত্রদের/ছেলেমেয়েদের/ বিজ্ঞানীদের)।

উঃ ছেলেমেয়েদের।

১০.গণেশকে কবিতায় পেলে গণেশ (কবিতা সুর দিয়ে গান করে/অনেক কবিতা লেখে/কবিতা লেখার পাতা ভাসিয়ে দেয়)।

উঃ কবিতা লেখার পাতা ভাসিয়ে দেয়।

აა ‘এক সপ্তাহ পরে’ (রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব গণেশের ডেরায় নামলেন/সবাই ও রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব গণেশের হিজিবিজি ছবি আঁকছে/লোকে গান গাইতে লেগেছে)।

উঃ রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব গণেশের ডেরায় ডেরায় নেমেছেন।

১২ ‘পৃথিবী যে উচ্ছন্নে গেল।’—এই দুশ্চিন্তা হল (পাগলা গণেশের/এক ভদ্রমহিলার/ ও রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের।

উঃ রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের।

১৩.‘যাঃ তাহলে আর ভয় নেই।’— ভয় ছিল (গবেষণার / সুকুমার শিল্পে / পৃথিবী মরছে—এই মরে যাওয়াতে)।

উঃ পৃথিবী মরছে—এই মরে যাওয়াতে।

১৪ “গণেশ হোঃ হোঃ করে হেসে উঠে বলল” – ভাবদৃষ্টির পরিচয় হল (সাফল্য/ অবহেলা/খোঁচা দেওয়া)।

উঃ সাফল্য।

১৫.‘দুনিয়াটা বেঁচে যাবে…’—এই নিশ্চিন্ত ভাবটি হল (পাগলা গণেশের/মৃত্যুহীন ও পাগলা গণেশের। মানুষের/ রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের)।

উঃ পাগলা গণেশের

শূন্যস্থান পূরণ করো

১ মাধ্যাকর্ষণ প্রতিরোধকারী—আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে পৃথিবীতে নানারকম উড়ান যন্ত্র আবিষ্কারের একটা খুব—পড়ে গেছে।

উঃ মলম, হিড়িক।

২.গত দেড়শো বছরের মধ্যে কেউ পৃথিবীতে—শোনেনি।

উঃ শিশুর কান্না।

৩. দেড়শো বছর আগে.. .. শিল্পবিরোধী আন্দোলন শুরু হল।

উঃসুকুমার।

৪. বিজ্ঞানের—– একটা সীমা থাকা দরকার।
উঃ বাড়াবাড়ির ও

৫.সভ্য সমাজ থেকে দূরে থাকার জন্য —-একটা গিরিগুহায় আশ্রয় নিল।

উঃ হিমালয়ের।

৬.গণেশ বসে—-লিখছে।

উঃ কবিতা

৭. কবিতার পাতা—-ভাসিয়ে দিচ্ছি।

উঃ বাতাসে

৮.পৃথিবীর জনসংখ্যার…… রাখতে তা করা আবশ্যিক।
উঃ ভারসাম্য।

৯. দেড়শো বছর আগে তিনি অ্যান্ড্রোমিডা—রওনা হয়ে যান।

উঃ নক্ষত্রপুঞ্জে।

১০.লোকটা গণেশকে—করে চলে গেল।

উঃ অভিবাদন।

১১. তিনজন —- হয়ে বসে রইল।

উঃ মন্ত্রমুগ্ধ।

১২. এক সপ্তাহ পরে—মহাসচিব তাঁর বিমান থেকে নামলেন গণেশের ডেরায়।

উঃ রাষ্ট্রপুঞ্জের।

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :

১.‘পাগলা গণেশ’ গল্পটি কার লেখা?

উঃ পাগলা গণেশ’ গল্পটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখা।

২.‘পাগলা গণেশ’ গল্পটি লেখকের কোন্ গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?

উঃপাগলা গণেশ’ গল্পটি লেখকের ‘পাগলা গণেশ’ নামক গল্পগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

৩.‘পাগলা গণেশ’ গল্পটি কী ধরনের গল্প?

উঃ পাগলা গণেশ’ কল্পবিজ্ঞানের গল্প।

৪.মাধ্যাকর্ষণ প্রতিরোধকারী মলম আবিষ্কারের পর পৃথিবীতে কীসের হিড়িক পড়ে গেছে?

উঃ মাধ্যাকর্ষণ প্রতিরোধকারী মলম আবিষ্কারের পর পৃথিবীতে নানারকম উড়ান যন্ত্র আবিষ্কারের হিড়িক পড়ে গেছে।

৫ পাগলা গণেশের বয়স কত?

উঃ পাগলা গণেশের বয়স দুশো বছর।

৬.আজ থেকে দেড়শো বছর আগে কী আবিষ্কার হয়েছিল?

উঃ আজ থেকে দেড়শো বছর আগে মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কৃত হয়েছিল।

৭.গণেশ কেন অমর হয়ে গেল?

উঃমৃত্যুঞ্জয় টনিক সেবন করে গণেশ অমর হয়ে গেল।

৮.গণেশকে কীসের বাতিকে পেয়েছে?

উঃ গণেশকে কবিতা লিখে আকাশে উড়িয়ে দেওয়ার বাতিকে পেয়েছে।

৯.গণেশের ক-টি ছেলে ও ক-টি মেয়ে?

উঃ গণেশের তিন ছেলে ও এক মেয়ে।

১০ গণেশের স্ত্রী কোথায় কাজ করেন?

উঃগণেশের স্ত্রী ক্যালিফোর্নিয়া মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে কাজ করেন।

১১.গণেশ আগে কোথায়, কী পড়াতেন?

উঃগণেশ আগে কলকাতার সায়েন্স কলেজে মাইক্রো ইলেকট্রনিকস পড়াতেন।

১২ রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব গণেশের ডেরায় এসে কী বলেছিলেন?

উঃরাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব বলেছিলেন, ‘পৃথিবী যে উচ্ছন্নে গেল। লোকে গান গাইতে লেগেছে; কবিতা মকসো করছে, হিজিবিজি ছবি আঁকছে।’

দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর লেখো

১.‘পাগলা গণেশ’ গল্পে সভ্যতার কোন সমস্যার দিকে ইঙ্গিত রয়েছে?

উত্তর:- আলোচ্য ‘পাগলা গণেশ’ নামক কল্পবিজ্ঞানধর্মী গল্পে দেখা যায়, মানবসভ্যতা বিজ্ঞানের হাত ধরে সুদূর ভবিষ্যতে উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে বিজ্ঞানের বাড়াবাড়ি এবং মানবমনের সৃষ্টিশীলতার মৃত্যু হওয়ার সমস্যাটিকে ইঙ্গিতবাহী করে তোলা হয়েছে।

২.’পাগলা গণেশ’ গল্পে যেসকল উড়ানযন্ত্রের আছে সেগুলির পরিচয় দাও।

উত্তরা :-‘পাগলা গণেশ’ গল্পে মাধ্যাকর্ষণ প্রতিরোধী মলম আবিষ্কারের ফলে নানারকম উড়ানযন্ত্র আবিষ্কারের হিড়িক পড়ে যায়। সেগুলি হল— ডাইনিদের বাহন ডান্ডাওলা ঝাটার মতো, নারদের ঢেঁকির মতো, কার্পেটের মতো, কার্তিকের বাহন ময়ূরের মতো সব উড়ানযন্ত্র।

৩ “খামোখা সময় নষ্ট।”’—এমন ভাবনার কারণ কী? (পঠন সেতু)

উত্তরা ঘরে ঘরে মানুষ বিজ্ঞান নিয়ে এমন বুঁদ হয়ে আছে যে, প্রতি ঘরের প্রত্যেকেই কোনো-না-কোনো বিজ্ঞানী। ফলে বিজ্ঞান-চৰ্চা ছাড়া অন্য কোনো চর্চায় কেউ মাথা ঘামায় না। কবিতা, গান, ছবি আঁকা, কথাসাহিত্য, নাটক, সিনেমা এসব নিয়ে মাথা ঘামানো মানে খামোখা সময় নষ্ট করা। কারণ চারদিকে বিজ্ঞানচর্চার মধ্যে এসব চর্চা কোনো কাজে লাগে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *