জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর ছোট অতি সংক্ষিপ্ত teacj sanjib
জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর ছোট অতি সংক্ষিপ্ত teacj sanjib
জ্ঞানচক্ষু গল্পের গুরুত্বপূর্ণ ছোট প্রশ্ন উত্তর গুলি আলোচনা করা হয়েছে।
ছোট প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ।। “সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়।”— শোরগোলের কারণ কী?
উত্তর : তপনের বাড়ির লোক স্বচক্ষে দেখতে পায় তপনের লেখা গল্প পত্রিকায় ছাপার অক্ষরে বেরিয়েছে। তাই বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়।
প্রশ্নঃ।। কোন কথাটা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়লো?
উত্তর : তপনের মেসো তপনের লেখা গল্পটি একটু-আধটু > ‘কারেকশান’ করে দিয়েছে বলে পত্রিকায় বেরিয়েছে। এই কথাটি ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছিল।
প্রশ্ন ।। “তপন তোমার গল্প দিব্যি হয়েছে।”— মেসো কেন তপনকে এরকম কথা বলেছিলেন?
উত্তর : আসলে মেসোমশাই নতুন বিয়ের শ্বশুরবাড়ির ছেলেকে খুশি করতেই বলেছিলেন।
প্রশ্ন ) “কাজেই গল্প জিনিসটা যে কী সেটা জানতে তো বাকি নেই।”—তপনের এই জানা হয়ে উঠেছিল কীভাবে?
উত্তর : কারণ গল্প জিনিসটা যে কী সেটা তপনের জানা হয়ে উঠেছিল ছেলেবেলা থেকে সে যেমন অনেক গল্প শুনেছে তেমনি অনেক গল্পও পড়েছে।
প্রশ্ন ) ছোটোমাসির বিয়েতে মামাবাড়িতে আসার সময় তপনের যা তপনকে তার পড়াশোনার কোন্ সরঞ্জাম নিতে বাধ্য করেছিলেন?
উত্তর: ছোটোমাসির বিয়েতে মামার বাড়িতে আসার সময় হোমটাদের খাতা সঙ্গে নিতে বাধ্য করেছিলেন তপনের মা।
জ্ঞানচক্ষু
প্রশ্নঃ ) প্রথম গল্প লেখার পর তপনের নিজস্ব কী অনুভূতি হয়েছিল?
উত্তর : প্রথম গল্প লেখার পর তপনের গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল এবং মাথার চুল খাড়া হয়ে গিয়েছিল।
প্রশ্ন ) “আর দুদ্দাড়িয়ে নীচে নেমে এসেছোটোমাসিকেই বলে বসে”তপন তার ছোটোমাসিকে কী বলেছিল?
উত্তর : ‘জ্ঞানচক্ষ’ গল্পের প্রধান চরিত্র তখন তার ছোটোমাসিকে বলেছিল, “ছোটোমাসি একটা গল্প লিখেছি।”
প্রশ্নঃ।। ‘‘আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম।”—কীসের চেষ্টার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে উদ্ধৃত এই অংশে তপনের মতো গল্প লেখার চেষ্টার কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্নঃ।। “বারে, চমৎকার লিখেছে তো।”—এই বক্তব্যটি কাদের?
উত্তর : তপনদের বাড়ির সকলেই যারা তার গল্পে চোখ বুলিয়েছে, তারা উক্তিটি করেছে।
প্রশ্ন ।। তপনের গল্প ছাপার অক্ষরে বের হওয়ার পিছনে কার অবদান ছিল?
উত্তর : তপনের গল্প ছাপার অক্ষরে বের হওয়ার পিছনে ওর ছোটো মেসোমশাইয়ের অবদান ছিল।
জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন ।। “আজ আর অন্য কথা নেই, শুধু তপনের গল্পের কথা। এ ছাড়াও আর একটি কথা ছিল।”—সেটা কী?
উত্তর : আর-একটি কথা হলো তপনের নতুন মেসোমশাইয়ের মহত্ত্বের কথা।
জ্ঞানচক্ষু গল্প
** প্রশ্নঃ ।। “বুকের রক্ত ছলকে উঠে তপনের।”—কখন তপনের এরকম অবস্থা হয়?
উত্তর : তপনের ছোটোমাসি আর মেসো একদিন বেড়াতে এলে হাতে এক সংখ্যা ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা যখন তপন দেখে তখন তার বুকের রক্ত ছলকে ওঠে।
***প্রশ্ন ) “একটু ‘কারেকশান’ করে ইয়ে করে দিলে ছাপাতে দেওয়া চলে।”-কে, কী ছাপানোর কথা বলেছেন?
উত্তর : বিখ্যাত গল্পকার আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের লেখা গল্প তার লেখক নতুন ছোটোমেসো পত্রিকায় ছাপানোর কথা বলেছেন।
***প্রশ্নঃ ) “সূচিপত্রেও নাম রয়েছে।”—সূচিপত্রে কী লেখা ছিল?
উত্তর : ‘জ্ঞানচক্ষু’গল্পের কিশোর তপনের লেখা গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সেই পত্রিকায় সূচিপত্রে লেখা ছিল‘প্রথম দিন’ (গল্প) শ্ৰীতপন কুমার রায়।
প্রশ্নঃ।। ‘এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের।’—তপনের সন্দেহটি কী?
উত্তর : তপনের সন্দেহের বিষয়টি ছিল লেখকরাও কী তার বাবা, ছোটোমামা ও ছোটোকাকুর মতো সাধারণ মানুষ।
প্রশ্নঃ।। তপন তার বাবা, ছোটোমামা ও মেজোকাকুর মতো নতুন লেখক মেসোমশাইয়ের মধ্যে কী কী মিল খুঁজে পেয়েছিল?
– উত্তর : লেখকরূপী মেসোমশাইও তপনের বাবা-মামাকাকুর মতো দাড়ি কামান, সিগারেট খান, খেতে বসে অর্ধেক খাবার তুলে দেন, চানের সময় চান করেন, ঘুমের সময় ঘুমোন এবং খবরের কাগজ পড়েন ও সিনেমাও দেখেন।
প্রশ্ন ।। মামার বাড়িতে তপন কী উপলক্ষ্যে এসেছে?
উত্তর : ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের প্রধান চরিত্র তপন তার ছোটোমাসির বিয়ে উপলক্ষ্যে মামার বাড়িতে এসেছে।
প্রশ্নঃ।। তপনের লেখা গল্পের বিষয় কী ছিল?
উত্তর : তপনের লেখা গল্পের বিষয় ছিল ওর (বিদ্যালয়ে) ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতি।
প্রশ্নঃ।। তপনের ছোটোমাসি তপনের চেয়ে কত বছরের বড়ো?
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের ছোটোমাসি তপনের চেয়ে বয়সে আট (৮) বছরের বড়ো।
জ্ঞানচক্ষু গল্প প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন ।। তপনের মাসি কীভাবে হইচই বাধিয়েছিল?
উত্তর : তপনের নতুন মেসোমশাইয়ের দিবানিদ্রা ভাঙিয়ে ওর মাসি হইচই বাধিয়েছিল।
প্রশ্ন ।। “তপন প্রথমটা ভাবে ঠাট্টা”—কখন তপনের মনের এই ভাবনা দূর হয়?
উত্তর : যখন তপন তার নতুন মেসোর মুখে কারুণ্যের ছাপ লক্ষ করে, তখন তিনি ঠাট্টা করছেন কিনা এই ভাবনা দূর হয়।
প্রশ্ন ।। বিয়ের পর তপনের ছোটোমাসির হাব-ভাব কেমন হয়েছিল?
উত্তর : বিয়ের পর তপনের ছোটোমাসির হাব-ভাব একটু মুরুব্বি মুরুব্বি রকমের হয়েছিল।
প্রশ্ন ) “তাই এই ভয়ানক আনন্দের খবরটা ছোটোমাসিকে সর্বাগ্রে দিয়ে বসে।”—আনন্দের খবর কোন্টি ছিল?
উত্তর : জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রধান চরিত্র তপন একটি গল্প লিখেছিল। সেই গল্প লেখার খবরের কথা এখানে বলা হয়েছে।
প্রশ্নঃ।। মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা– উক্তিটি কার
উত্তর : উদ্ধৃত এই অংশটি আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের ছোটোমাসির উক্তি।
প্রশ্নঃ।। মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা”— উপযুক্ত কাজটি কী?
উত্তর : তপনের গল্প পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করাকে মেসোর উপযুক্ত কাজ বলেছে ওর ছোটোমাসি।
প্রশ্ন ।। তপনের পুরো নাম কী ছিল?
উত্তর : জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের পুরো নাম ছিল তপন কুমার রায়।
প্রশ্ন ।। গল্প লেখার পর বাড়িতে তপনের কী নাম হয়েছিল?
উত্তর : গল্প লেখার পর বাড়িতে তপনের নাম হয়েছিল ‘কবি, সাহিত্যিক, কথাশিল্পী।
গল্পের প্রশ্ন উত্তর mcq
প্রশ্ন ।। “পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে।”— অলৌকিক ঘটনাটি কী?
উত্তর : তপন কুমার রায়ের লেখা গল্প ছাপার অক্ষরে বেরিয়ে হাজার হাজার ছেলের হাতে ঘোরার কাহিনি।
প্রশ্নঃ।। তপনের মেসোমশাই কোন্ পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন?
উত্তর : তপনের মেসোমশাই ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন।
প্রশ্ন ।। তপনের লেখা প্রথম গল্পটির নাম কী ছিল?
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের লেখা প্রথম গল্পের নাম ছিল–‘প্রথম দিন’।
প্রশ্নঃ।। “এটা খুব ভালো”—বক্তা কোন্ বিষয়টাকে খুব ভালো বলেছেন?
উত্তর : তপন গল্প লিখতে বসে রাজা রানির গল্প, খুন-জখম, অ্যাক্সিডেন্ট কিংবা না খেতে পেয়ে মরে যাওয়ার গল্প লেখেনি। লিখেছে ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতির বিষয়, এটা খুব ভালো।
প্রশ্ন ।। “রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই” ‘—এ কথার অর্থ কী?
উত্তর : উদ্ধৃতিটি একটি প্রচলিত প্রবাদ বচন, যার অর্থ হলো গুণের কদর জানেন শুধু গুণী ব্যক্তি। নতুন মেসো যেহেতু একজন লেখক সেহেতু তিনি তপনের লেখাটির মূল্য বুঝবেন।
প্রশ্নঃ।। তপনের লেখা প্রথম গল্পটি পড়ে নতুন মেসো কী বলেন?
উত্তর : তপনের লেখা প্রথম গল্পটি পড়ে নতুন মেসো বলেন যে তপনের হাত আছে এবং চোখও আছে। লিখতে বসেও ওর ভরতি হওয়া প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি নিয়ে লিখেছে, এটা খুব ভালো।
প্রশ্নঃ।। তপনের মাথার চুল খাড়া হয়ে ওঠার কারণ কি
উত্তর : নতুন মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত তপন স্তব্ধ দুপুরে একাসনে বসে একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলেছিল। এই গল্প লেখার রোমাঞ্চে তার মাথার চুল খাড়া হয়ে উঠেছিল।
প্রশ্নঃ।। “গল্পটা ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।”—উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আহ্লাদিত না হতে পারার কারণ কী?
উত্তর : ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপা হলেও সকলেই তপনের প্রতিভার তুলনায় নতুন মেসোর অবদানটাকেই বড়ো করে দেখতে থাকে তাই যে আহ্লাদটা হওয়ার কথা ছিল তা আর জাগেনি।
জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন উত্তর 2023
প্রশ্ন ।। “তপনকে যেন আর কখনো না শুনতে হয়”কোন্ কথা না শুনতে হয়?
উত্তর : তপনকে যেন এ কথা আর কখনও শুনতে না হয়, “অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে”।
প্রশ্নঃ।। ‘সন্ধ্যাতারা’য় তপনের গল্প ছেপে বেরোতে ওর মেজোকাকু কী বলেছেন?
উত্তর : তপনের গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছেপে বেরোলে ওর মেজোকাকু বলেন, “তা ওরকম একটি লেখক মেসো থাকা মন্দ নয়। আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম।”
প্রশ্নঃ।। “তপন আর পড়তে পারে না।”—কেন পড়তে পারে না?
উত্তর : তপন তার নিজের নামে প্রকাশিত গল্পটি পড়তে গিয়ে দেখে কারেকশানের নামে গল্পটাকে নতুন করে লিখেছেন নতুন মেসো। এই গল্পে তপনের অস্তিত্ব নেই। তাই সে পড়তে পারে না।
*** প্রশ্নঃ ।। তপনের গল্প পড়ে ছোটোমাসি কী বলেছিল?
উত্তর : তপনের গল্প পড়ে ছোটোমাসি বলেছিল যে সে বেশ লিখেছে এবং জানতে চেয়েছিল কোনোখান থেকে টুকলিফাই করেছে কিনা।
প্রশ্নঃ ।। তপনের সন্দেহ ছিল কোন বিষয়ে
উত্তর : অনেক গল্প শুনে এবং পড়ে লেখকদের সম্পর্কে তপনের মনে একটা আজগুবি ধারণা গড়ে উঠেছিল। তারা ওর বাবা, ছোটোমামা বা মেজোকাকুর মতো মানুষ কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ ছিল।
প্রশ্নঃ ।। “তিনি নাকি বই লেখেন”—কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের মূল চরিত্র তপনের ছোটোমাসির বিয়ে হয়েছিল যে অধ্যাপকের সঙ্গে তিনি একজন লেখক, তাঁর অনেক বই ছাপাও হয়েছে। এখানে তাঁরই কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্নঃ।। তপনের নতুন মেসোমশাই কী করেন?
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের তপনের নতুন মেসোমশাই যেমন একজন কলেজের প্রফেসর, তেমনি আবার একজন লেখকও।
“এইসব মালমশলা নিয়ে বসে” – কোন্ মালমশলার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর : তপনের ছোটোমেসো জানিয়েছেন যে, তার বয়সি ছেলেমেয়েরা গল্প লিখতে গেলে রাজারানির গল্প লেখে নতুবা খুন, জখম, অ্যাক্সিডেন্ট কিংবা না খেতে পেয়ে মরে যাওয়া ইত্যাদি মালমশলা নিয়ে বসে।
জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ।। লেখকদের সম্পর্কে তপনের কী ধারণা ছিল?
উত্তর : অনেক গল্প পড়ে পড়ে লেখকদের ক্ষমতায় বিস্মিত তপনের মনে হতো যে তাঁরা সাধারণ কোনো মানুষ নন। তাঁরা যেন আকাশ থেকে পড়া জাতীয় কোনো জীব।
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ।। “ছোটোমাসি একটা গল্প লিখেছি”—বক্তা কী গল্প লিখেছিল?
উত্তর : উদ্ধৃতাংশটুকুর বক্তা তপন নতুন মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে যে গল্পটি লিখেছিল তার শিরোনাম ছিল ‘প্রথম দিন’।
প্রশ্নঃ।। “ওমা এ তো বেশ লিখেছিস রে”—কে, কাকে এ কথা বলেছে?
উত্তর : জ্ঞানচক্ষু গল্পের মূল চরিত্র তপনের ছোটোমাসি তপনকে এ কথা বলেছে।
প্রশ্নঃ ।। “আরে বাবা খেপছিস কেন?”—উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কেন খেপেছিল?
উত্তর : উদ্দিষ্ট ব্যক্তির অর্থাৎ, তপনের লেখা গল্প পড়ে বক্তা জানতে চেয়েছিল যে সে কোনোখান থেকে টুকলিফাই করেছে কিনা। অপমানজনক এই জিজ্ঞাসায় তপন খেপে গিয়েছিল।
প্রশ্ন ।। “যেন নেশায় পেয়েছে’—কাকে, কোন্ নেশায় পেয়েছিল?
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের মূল চরিত্র তপনকে গল্প লেখার নেশায় পেয়েছিল।
প্রশ্নঃ ।। “বাবা, তোর পেটে পেটে এত!”—কে, কেন এ প্ন কথা বলেছেন?
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর জ্ঞানচক্ষু গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের মা তপনকে এ কথা বলেছেন।
প্রশ্নঃ ।। “তপন লজ্জায় ভেঙে পড়তে যায়।”- তপনের লজ্জার কারণ কী?
উত্তর : তপন তার নামে প্রকাশিত গল্পটি পড়তে গিয়ে দ্যাখে কারেকশানের নামে ছোটোমেসো গল্পটাকে এতটাই বদলে দিয়েছেন যে গল্পে তার অস্তিত্ব প্রায় নেই। তাই নিজের নামে অন্যের গল্প পড়তে হয়েছে বলেই লজ্জা।
প্রশ্নঃ।। ‘তাই জানত না।’—কে, কী জানত না?
উত্তর : জ্ঞানচক্ষু গল্পের মূল চরিত্র তপন জানত না যে সত্যিকারের কোনো লেখককে কাছ থেকে কখনও দেখা যায়।
প্রশ্ন ।। তপন কী উপলক্ষ্যে মামার বাড়িতে এসেছিল?
উত্তর : জ্ঞানচক্ষু গল্পের মূল চরিত্র তপন তার ছোটোমাসির বিয়ে উপলক্ষ্যে মামার বাড়িতে এসেছিল।
জ্ঞানচক্ষু আশাপূর্ণা দেবী
প্রশ্ন ।। “শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন,”—তপন কী সংকল্প করে?
উত্তর : জ্ঞানচক্ষু গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন তার চরম দুঃখের মুহূর্তে সংকল্প করে সে যদি কখনও তার লেখা গল্প ছাপতে দেয় তবে নিজে গিয়ে দেবে। এতে তার কাঁচা লেখা ছাপা না হলে না হবে।
প্রশ্ন ।। “আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।”—কেন দিনটা সবচেয়ে দুঃখের দিন?
উত্তর : মায়ের নির্দেশে তার নিজের নামে প্রকাশিত গল্পটি পড়তে গিয়ে তপন দেখে যে কারেকশানের নামে গল্পটিকে নতুন করে লেখা হয়েছে। ফলে তাকে পড়তে হয়েছে নিজের নামে প্রকাশিত অন্যের গল্প। তাই দিনটি দুঃখের দিন।
প্রশ্ন ।। “তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই।”—কীসের চেয়ে দুঃখের কিছু নেই?
উত্তর : নিজের নামে প্রকাশিত গল্প পড়তে বসে যদি অন্যের লেখা লাইন পড়তে হয়, যদি শুনতে হয় অমুক লেখাটা ছাপিয়ে দিয়েছে তাহলে তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই বলে মনে হয়েছে তপনের।
প্রশ্নঃ ।। “তবে তপনেরই বা লেখক হতে বাধা কী?” -তপনের লেখক হতে বাধা নেই কেন?
উত্তর : নতুন মেসোকে দেখে তপন বুঝতে পারে যে লেখকেরা আকাশ থেকে পড়া জাতীয় কোনো জীব নয়, তারা সাধারণ মানুষ। সুতরাং তপনেরও লেখক হতে কোনো বাধা নেই।
প্রশ্নঃ ।। এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা।’—কোন্ ঘটনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : উদ্ধৃতাংশে ঘটনা বলতে তপনের ছোটোমাসি আর মেসোর হাতে এক সংখ্যা ‘সন্ধ্যাতারা’ নিয়ে তপনদের বাড়িতে আসার ঘটনাকে বোঝানো হয়েছে।