অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলী এবং পদমর্যাদা আলােচনা কর | the powers and position of the Chief Minister of an Indian State.
অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলী এবং পদমর্যাদা আলােচনা কর | the powers and position of the Chief Minister of an Indian State.
অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলী এবং পদমর্যাদা
অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলী
“মুখ্যমন্ত্রীই কোন অঙ্গরাজ্যের প্রকৃত শাসক” —আললাচনা কর।
অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা: উত্তর : ভারতের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের মত সংসদীয় শাসনব্যবস্থা প্রচলিত। কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর ন্যায় রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হলেন প্রকৃত শাসক (real ruler)। মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্র করেই রাজ্য-রাজনীতি আবর্তিত হয়।
রাজ্য বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বা নেত্রীকে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নিয়ােগ করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে বিধানসভার সদস্য হতে হবে এমন কোন নিয়ম নেই; তিনি বিধান
পরিষদের সদস্য হতে পারেন। উদাহরণইরূপ ১৯৫২ সালে মাদ্রাজ রাজ্যে বিধানপরিষদের সদস্য চক্রবর্তী রাজা গোপালাচারী কে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নিয়ােগ করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলীকে নিম্নলিখিত কয়েকটি দিক থেকে আলােচনা করা হল :
(১) বিণনার নেতা হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী : মুখ্যমন্ত্রী হলেন রাজ্য বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা মোর্চার নেতা বা নত্রী। বিধানসভার অধিবেশন আহ্বান করা, স্থগিত রাখা, প্রয়ােজনে বিধানসভা ভেঙে দেওয়া প্রভৃতি বিষয়ে রাজ্যপালকে পরামর্শ দেওয়া, সরকারী নীতির ব্যাখ্যা ও সমর্থন, বিরোধী দলের আনীত অভিযােগ ও সমালােচনার উত্তরদান, সমালােচনায় বিব্রত কোনো মন্ত্রী বা দলীয় সদস্যকে সাহায্য করা, বিতর্কে অংশগ্রহণ, বিরােধী নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনীত হলে তার মােকাবিলা করা এই সব কাজ মুখ্যমন্ত্রী সম্পাদন করেন বিধানসভার নেতা বা নেত্রী হিসাবে। কোন বিষয়কে ত হবে বিং নভােয় কোন সঙ্কট দেখা দিলে মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যস্থতা খুবই কার্যকরী হতে দেখা যায়। এ ছাড়া, মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবার পূর্বে বিধানসভা ভেঙে দেবার জন্য অনুরোধ জানালে, রাজ্যপাল বিধানসভা ভেঙে দিতে পারেন।
(২) সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী : মুখ্যমন্ত্রী হলেন সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বা নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর দক্ষতা, বিচক্ষণতা ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতার ওপর তাঁর দলের ভাবমূর্তি নির্ভর করে । দলের নেতা বা নেত্রী হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাজ হল দলীয় শৃঙ্খলা ও সংহতি রক্ষা করা,বিধান সভার ভিতরে ও বাইরে দলীয় কর্মসূচীকে যথাসম্ভব প্রচার করা ও কার্যে রূপায়িত করা জনসমক্ষে উপস্থিত হয়ে এবং প্রচার মাধ্যমগুলির সাহায্য নিয়ে দলের ভাবমূর্তি ভৰা ইত্যাদি দলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য তাকে জনমত অনুধাবন করতে হয় এবং জরে ধনরে ঠিকমত উপলব্ধি করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। দলের মধ্যে যাতে কোনো উপদলীয় বিরােধের সৃষ্টি না হয় সেদিকেও তাঁকে নজর রাখতে হয়।
(৩) মন্ত্রিপরিষদের নেতা হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী : মুখ্যমন্ত্রী শুধু দলের নেতা নন, তিনি ও নেতা। তার পরামর্শক্রমেই রাজ্যপাল মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের নিয়ােগ হবেন, রেব পর বণ্টন, প্রয়ােজনে পুনর্বণ্টন করেন। মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক আহান করেন এবং বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করাও মঠুর হতম নহি। তিনি যে কোন মন্ত্রীকে পদচ্যুত করার জন্য রাজ্যপালকে পরামর্শ নিয়ে নে র পদত্যাগ করলে মন্ত্রিসভার পতন ঘটে। মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক প্রসঙ্গে বলা হয় যে, তিনি হলেন সমপর্যায়ভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অগ্রগণ্য কিন্তু কার্যক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী যে ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী, তাতে এই বর্ণনার দ্বারা তাঁর পদমর্যাদা ও ক্ষমতা উপযুক্তভাবে ব্যক্ত হয় না। বস্তুতপক্ষে তিনি হলেন :
মন্ত্রিপরিষদের কেন্দ্রবিন্দু এবং তাকে কেন্দ্র করেই মন্ত্রিসভার উত্থানপতন ঘটে থাকে। যেকোন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী অপেক্ষাকৃত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলােচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এইসব কারণেই মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের “ক্যাবিনেট তােরণের প্রধান স্তম্ভ” (Keystone of the cabinet arch) বলা হয়ে থাকে।
(৪) রাজ্যপালের পরামর্শদাতা হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী : মুখ্যমন্ত্রী হলেন রাজ্যপালের প্রধান পরামর্শদাতা। সংবিধান অনুসারে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে নিযুক্ত করলেও এ ব্যাপারে রাজ্যপালের ক্ষমতা মূলত আনুষ্ঠানিক। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রীদের যােগসূত্র হিসাবে কাজ করেন। মন্ত্রিপরিষদের যাবতীয় সিদ্ধান্ত এবং রাজ্যের শাসন কার্য পরিচালনা ও আইনের প্রস্তাব সম্পর্কিত যাবতীয় সিদ্ধান্ত এবং রাজ্যের শাসন কার্য পরিচালনা ও আইনের প্রস্তাব সম্পর্কিত যাবতীয় সংবাদ রাজ্যপালকে জানানাে মুখ্যমন্ত্রীর কর্তব্য।
এ ছাড়া রাজ্যপাল কোন মন্ত্রীর কোন ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তকে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে পেশ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে পারেন। সংসদীয় শাসনব্যবস্থার রীতি মেনে রাজ্যপালগণ সাধারণত মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করেন। তবে রাজ্যপাল যখন স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রয়ােগ করেন, তখন তাকে মুখ্যমন্ত্রীর তথা মন্ত্রিপরিষদের পরামর্শ নিতে হয় না।
প্রসঙ্গত উল্লেখযােগ্য, রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী উভয়েই যদি সম রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী হন তা হলে তাদের মধ্যে সম্পর্ক সাধারণভাবে ভাল হয়; আর যদি তারা ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী হন, তা হলে তাদের মধ্যে বিরােধ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কখনও কখনও এই বিরােধ প্রত্যক্ষ সংঘর্ষের আকার নিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ এব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল অনন্তপ্ৰসাদ শর্মার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সংঘর্ষের বিষয়টি উল্লেখ করা যেতে পারে।
অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলী এবং পদমর্যাদা
(৫) কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্কের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা : কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সংযোেগ স্থাপিত হয় প্রধানত মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে। ভারতবর্ষ একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় দেশ হলে কি হবে, অনেক ব্যাপারেই রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয়। রাজ্যের আর্থিক পরিকল্পনা রূপায়ণ থেকে আরম্ভ করে বন্যা, খরা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয় মােকাবিলা করতে যে বাড়তি অর্থের প্রয়ােজন, সে ব্যাপারে কেন্দ্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করা বর্তমানে প্রতিটি মুখ্যমন্ত্রীর একটি রুটীন মাফিক কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ছাড়া কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের পুনর্বিন্যাস-এর সমর্থনে জনমত গঠন করা, এ বিষয়ে বিভিন্ন রাজ্য সরকারের মধ্যে একটা সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গী গড়ে তােলা এবং নির্দিষ্ট কর্মসূচী রচনা করা ইত্যাদি ব্যাপারে যে-কোন জনদরদী তথা প্রভাবশালী মুখ্যমন্ত্রীকে যথেষ্ট সময় দিতে হয়। এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য।
(৬) সবশেষে, মুখ্যমন্ত্রী হলেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতীক। রাজ্যের বড় রকমের সঙ্কটে জনগণ মুখ্যমন্ত্রীর দিকেই তাকিয়ে থাকে। এ ছাড়া শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানগুলির সংগঠন, শিল্প-বাণিজ্য সংগঠন, শ্রমিক ও পেশাদারি সংগঠন সমূহের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়। মুখ্যমন্ত্রী বেতার, দূরদর্শন, জনসভা প্রভৃতির মাধ্যমে জনসংযােগ রক্ষার কাজ করেন।
ভারতের অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদমর্যাদা
পদমর্যাদা : উপরের আলােচনা থেকে সহজেই অনুমেয় যে রাজ্য-রাজনীতিতে মুখ্যমন্ত্রী বিশাল ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের অধিকারী। তিনি রাজ্যের প্রকৃত শাসক এবং প্রশাসন ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু। তবে মনে রাখতে হবে যে, সব মুখ্যমন্ত্রী সমান ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের অধিকারী হন না। একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কতখানি ক্ষমতা ও পদমর্যাদার অধিকারী হবেন তা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, যেমন—নিজ দলের শৃঙ্খলা ও সংহতি, দলের মধ্যে কোন উপদলীয় বিরােধ আছে কিনা, কেন্দ্র ও রাজ্যে একই দল ক্ষমতায় আসীন কিনা, কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যসরকার সমমতাদর্শে আস্থাশীল কিনা, রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক সহযোগিতামূলক কিনা, কোয়ালিশন মন্ত্রিসভার মুখ্যমন্ত্রী কিনা, কেন্দ্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সম্পর্ক সহজ ও স্বাভাবিক কিনা এবং সর্বোপরি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত যােগ্যতা ও গুণাবলী। মুখ্যমন্ত্রী যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বা নেত্রী হন এবং তার ওপর কেন্দ্রে যদি সেই দলেরই সরকার থাকে তা হলে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে নিজের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার কাজটি সহজ হয়, কারণ একদিকে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের এবং রাজ্যপালের আনুকূল্য পান এবং অন্যদিকে নিজের দলের সমর্থন পান।
আবার কেন্দ্রে যে দলের সরকার রয়েছে রাজ্যে যদি তার বিরােধী দলের সরকার থাকে তাহলে বিধানসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে ততখানি ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের অধিকারী হওয়া সম্ভব হয়না, কারণ এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যপাল উভয়ের বিরাগভাজন হয়ে তাঁকে কাজ করতে হয়।
আর মুখ্যমন্ত্রী যদি কেন্দ্র-বিরােধী কোয়ালিশন মন্ত্রিসভার মুখ্যমন্ত্রী হন, তাহলে তাঁর অবস্থা আরও সঙ্গীন হয়ে দাঁড়ায়, কারণ একদিকে রাজ্যপালের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতার ভয়, অন্যদিকে কোয়ালিশন ভেঙে যাওয়ার ভয় তাঁকে সর্বদাই বিব্রত রাখে। এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের সম্মিলিত মাের্চা সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অজয় কুমার মুখােপাধ্যায়ের উদাহরণটি তুলে ধরে যেতে পারে। না কেন্দ্রীয় সরকার না স্বীয় মন্ত্রিসভা—কোনটাকেই ঠিকভাবে সামলাতে না পেরে অবশেষে অসহায়ভাবে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে তিনি অনশন শুরু করেন।
তবে একথা সত্যি যে মুখ্যমন্ত্রী যদি যােগ্য, বিচক্ষণ, সাহসী ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হন, তা হলে তিনি যে কোন প্রতিকূল অবস্থাকে কাটিয়ে উঠে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা ব্যানার্জি এব্যাপারে একটি জ্বলন্ত উদাহরণ।
অতি সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীদের ক্ষমতা ও পদমর্যাদায় ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। একদিকে দেখা যাচ্ছে বর্তমানকালের মুখ্যমন্ত্রীরা আগের তুলনায় অনেক বেশি জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের সুযােগ পাচ্ছেন। বর্তমানে জাতীয় নীতি নির্ধারণে অথবা জাতীয় সংকট মােকাবিলায় প্রায়শই মুখ্যমন্ত্রীদের ডাকা হচ্ছে এবং তাদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী পদের গুরুত্বহীনতাও প্রকাশ পাচ্ছে। এ ব্যাপারে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী রাবরী দেবীর কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। নামে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হলেও কার্যত তিনি কী সেকথা সকলেই জানেন।