ভার্সাই চুক্তি বা ভার্সাই সন্ধি(১৯১৯) প্রশ্ন উত্তর ইতিহাস
ভার্সাই চুক্তি বা ভার্সাই সন্ধি(১৯১৯) প্রশ্ন উত্তর ইতিহাস
ভার্সাই সন্ধিতে (১৯১৯ খ্রি.) উইলসনের চোদ্দো দফা শর্তের কোন্ কোন্ দিকগুলি অগ্রাহ্য করা হয়?
ভার্সাই সন্ধিতে (১৯১৯ খ্রি.)উইলসনের চোদ্দো দফা শর্তের অগ্রাহ্য
উত্তর
মার্কিন রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসন বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রের প্রসার, ইউরােপের যথাযথ পুনর্গঠন প্রভৃতি উদ্দেশ্যে তাঁর চোদ্দো দফা নীতিতে বিভিন্ন আদর্শবাদের কথা বলেন।
ভার্সাই সন্ধিতে উইলসনের আদর্শবাদের লঙ্ঘন
এই চোদ্দো দফার শর্ত মেনে জার্মানি আত্মসমর্পণ করলেও যুদ্ধের পর মিত্রশক্তি জার্মানির সঙ্গে স্বাক্ষরিত ভার্সাই সন্ধিতে উইলসনের বহু আদর্শবাদ লঙ্ঘন করে। যেমন—
[1] ক্ষতিপূরণ : উইলসনের চোদ্দো দফা নীতিতে জার্মানিকে ক্ষতিপূরণ দানের কোনাে কথা বলা হয়নি। যুদ্ধে পরাজিত জার্মানি এমনিতেই নিঃস্ব ও দুর্ভিক্ষ পীড়িত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভার্সাই সন্ধির দ্বারা জার্মানির ওপর বিরাট অঙ্কের ক্ষতিপূরণের বােঝা চাপানাে হয়।
[2] গােপন চুক্তি : চোদ্দো দফা শর্তে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গােপন চুক্তি ও কূটনীতি বর্জনের কথা বলা হলেও ভার্সাই সন্ধিতে গােপন চুক্তির বিষয়ে কোনাে আপত্তি করা হয়নি।
[3] নৌ-চলাচল : নিজের উপকূল সংলগ্ন সমুদ্র ছাড়া বহিঃসমুদ্র যুদ্ধ বা শান্তির সময় সকল দেশের কাছে উন্মুক্ত রাখার কথা বলা হলেও ভার্সাই সন্ধিতে জার্মানিকে সে সুযােগ দেওয়া হয়নি।
[4] শুল্ক-প্রাচীর; শুল্ক-প্রাচীর তুলে দিয়ে এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক বাধাবিঘ্ন দূর করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সকলকে সমান সুযােগ দেওয়ার কথা চোদ্দো দফা শর্তে বলা হলেও ভার্সাই সন্ধিতে তা মান্য করা হয়নি।
[5] নিরস্ত্রীকরণ ; চোদ্দো দফা শর্তে সকল শক্তির নিরস্ত্রীকরণের কথা বলা হলেও ভার্সাই সন্ধির দ্বারা মিত্রশক্তির অস্ত্র হ্রাস করা হয়নি। এর দ্বারা শুধু জার্মানির অস্ত্রশস্ত্র হ্রাস করা হয়।
[6] এক জাতি, এক রাষ্ট্র: চোদ্দো দফা শর্তে এক জাতি, এক রাষ্ট্র নীতি ঘােষণা করা হলেও জার্মানির ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি।
উপসংহার: প্যারিসের শান্তি সম্মেলনে বিশ্ব মানচিত্র পুনর্গঠনের ফলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নানা জটিলতা দেখা দেয় যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম কারণ। ঐতিহাসিক এরিক হবসবমের মতে, সম্মেলনের আগে ও পরে ইউরােপের জাতীয় সীমানা অনুযায়ী কোনাে রাজনৈতিক মানচিত্র প্রণয়নের চেষ্টা করা হয়নি।
6 ভার্সাই সন্ধির (১৯১৯ খ্রি.) অর্থনৈতিক শর্তগুলি উল্লেখ করাে। অথবা, ভার্সাই চুক্তি (১৯১৯ খ্রি.) কীভাবে জার্মান অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেয় ?
ভার্সাই সন্ধির (১৯১৯ খ্রি.) অর্থনৈতিক শর্ত:
উত্তর
ইঙ্গ-ফরাসি শক্তির নেতৃত্বাধীন মিত্রশক্তি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জয়লাভের পর পরাজিত জার্মানির ওপর ভার্সাই সন্ধি (২৮ জুন, ১৯১৯ খ্রি.) চাপিয়ে দেয়।
ভার্সাই সন্ধির অর্থনৈতিক শর্তাবলি
ভার্সাই সন্ধিতে জার্মানির ওপর চরম জবরদস্তিমূলক অর্থনৈতিক শর্তাদি চাপিয়ে দেওয়া হয়। শর্তাদিতে বলা হয় যে—
[1] আর্থিক ক্ষতিপূরণ : জার্মানি যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ বাবদ মিত্রপক্ষকে ৬৬০ কোটি পাউন্ড বা ৫৪বিলিয়ন ডলার অর্থ দিতে বাধ্য থাকবে।
[2] সার অঞ্চল দখল : কয়লাসমৃদ্ধ জার্মানির সার অঞল পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য ফ্রান্সের অধীনে থাকবে। সিদ্ধান্ত হয় যে, এই অঞল কোন্ রাষ্ট্রে যুক্ত হবে তা ১৫ বছর পর এখানকার জনগণের ভােটের ভিত্তিতে ঠিক হবে।
: [3] সম্পদ দখল: জার্মানি বিশেষ ধরনের কয়লা, লােহা, রবার, কাঠসহ বেশ কয়েকটি খনিজ পদার্থ পরবর্তী দশ বছরের জন্য ফ্রান্স, ইটালি, বেলজিয়াম ও লাক্সেমবার্গকে সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে।
[4] নৌশক্তি দখল : জার্মানির অধিকাংশ যুদ্ধজাহাজ ইংল্যান্ড এবং বাণিজ্যজাহাজ ফ্রান্স দখল করে নেবে।
[5] যানবাহন দখল : জার্মানি ১.৫ লক্ষ মােটরগাড়ি এবং ৫ হাজার রেলইঞ্জিন মিত্রপক্ষের দেশগুলিকে সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে।
[6] বাজার দখল : জার্মানির বাজারে মিত্রশক্তির দেশগুলির কলকারখানায় উৎপন্ন পণ্য বিক্রির জন্য মিত্রপক্ষকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
[7] নদীপথ দখল : জার্মানির এলবা, ওডার, রাইন, ড্যানিয়ুব প্রভৃতি নদী আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
[৪] বিশেষ অধিকার ত্যাগ : তুরস্ক, বালগেরিয়া, মিশর, মরক্কো, সাইবেরিয়া, শ্যাম প্রভৃতি স্থানে জার্মানি তার সম্পত্তি ও বিশেষ অধিকার’ ত্যাগ করবে।
উপসংহার: ভার্সাই সন্ধির অর্থনৈতিক শর্তগুলি দ্বারা জার্মানির অর্থনীতিকে সম্পূর্ণভাবে প করে ফেলা হয়। স্বভাবতই জার্মানি প্রথম থেকেই ভার্সাই সন্ধির শর্তগুলির বিরােধিতা শুরু করে। পরবর্তীকালে ভার্সাই সন্ধির অপমানকর শর্তের বিরােধিতা করেই জার্মানিতে হিটলারের উত্থান ঘটে। বলা হয়ে থাকে, ভার্সাই সন্ধির শর্তগুলির মধ্যেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বীজ নিহিত ছিল।
প্রশ্নঃ ভার্সাই সন্ধির অর্থনৈতিক শর্তাবলির ত্রুটিবিচ্যুতি কী ছিল? অথবা, ভার্সাই সন্ধির অথনৈতিক শর্তাদির সমালােচনা করাে।
ভার্সাই সন্ধির অর্থনৈতিক শর্তাবলির ত্রুটিবিচ্যুতি
উতর
এম বিশ্বযুদ্ধে জয়লাভের পর মিত্রপক্ষ পরাজিত জার্মানির ওপর জবরদস্তিমূলক ভার্সাই সন্ধি চাপিয়ে দেয়।
ভাসাই সন্ধির অর্থনৈতিক শর্তাদির ত্রুটিবিচ্যুতি
ভার্সাই সন্ধিতে জার্মানির ওপর অবাস্তব ও চরম অনুদার অর্থনৈতিক শর্তাদি চাপানাে হয়। যেমন—
: [1] বৈষম্যমূলক ব্যবহার : ভার্সাই সন্ধির দ্বারা সামগ্রিকভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত জার্মানির সঙ্গে বৈষম্যমূলক ব্যবহার করা হয়। ঐতিহাসিক ল্যাংসামের মতে, ভার্সাই সন্ধির দ্বারা জার্মানির কাছ থেকে প্রায় ২৫ হাজার বর্গমাইল ভূখণ্ড, ৭০ লক্ষ জনসমষ্টি, ১৫ শতাংশ কৃষিজমি, ১২ শতাংশ গবাদি পশু, ১০ শতাংশ বড়াে শিল্প কেড়ে নেওয়া হয়।
[2] খনিজ সম্পদ : [i] জার্মানির কয়লাসমৃদ্ধ সার অল আগামী ১৫ বছরের জন্য ফ্রান্সের দখলে আনা হয়। [ii] এ ছাড়া অন্যান্য কয়েকটি বিশেষ খনিজ সম্পদ ফ্রান্স, ইটালি প্রভৃতি দেশকে সরবরাহে জার্মানিকে বাধ্য করা হয়।
[2] ক্ষতিপূরণের বােঝা: যুদ্ধ-বিধ্বস্ত জার্মানিতে খাদ্যাভাব, বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি প্রভৃতি চরম আকার ধারণ করেছিল। এই পরিস্থিতিতে মিত্রপক্ষ জার্মানির ওপর ৬৬০ কোটি পাউন্ড ক্ষতিপূরণের বােঝা চাপিয়ে দিলে জার্মানির পক্ষে তা পরিশােধ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
উপসংহার: ভার্সাই সন্ধির দ্বারা জার্মানির উপর চাপানাে ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশােধের সামর্থ্য জার্মানির ছিল না। এর ফলে জার্মানি চুক্তি ভেঙে দুত বেড়িয়ে আসার চেষ্টায় ছিল। ঐতিহাসিক রাইকারের মূল্যায়ন এই সন্ধির নৈতিক ও বাস্তব উভয় দিকই ত্রুটিপূর্ণ।
জেনে রাখো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল ভাসাই সন্ধিকে এক বিরাট অর্থহীন ও অবাস্তব সন্ধি বলে সমালােচনা করেছেন।
প্রশ্নঃ ভার্সাই সন্ধির অবিচারগুলি কী ছিল? অথবা, ভার্সাই সন্ধির সমালােচনা করাে।
ভার্সাই সন্ধি ‘জবরদস্তিমূলক সন্ধি:
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি পরাজিত হলে তার ওপর মিত্রশক্তি ভার্সাই সন্ধি। (১৯১৯খ্রি.) চাপিয়ে দেয়।
‘ জার্মানি ঐতিহাসিকগণ ভার্সাই সন্ধিকে ‘একতরফা’, ‘জবরদস্তিমূলক সখি’, ‘ম্যাকিয়াভেলির সাথ প্রভৃতি নামে অভিহিত করেছেন। কারণ
1] প্রতিহিংসা: ভার্সাই সন্ধির শতাদি রচনার সময় জার্মান প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনাে আলােচনা করা হয়নি। সন্ধি রচনাকালে মিত্রপক্ষ প্রতিহিংসার মনােভাব নিয়ে কাজ করে এবং যুক্তিহীনভাবে জার্মানির আপত্তিগুলি নাকচ করা হয় এবং জার্মানির ওপর বিমান আক্রমণের হুমকি দিয়ে জার্মান প্রতিনিধিদের সন্ধি স্বাক্ষরে বাধ্য করা হয়।
[2] অনুদারতা: যুদ্ধ সৃষ্টির জন্য একমাত্র জার্মানিই দায়ী ছিল না। অথচ এর জন্য একমাত্র জার্মানিকে দায়ী করে জার্মানির ওপর বিভিন্ন কঠোর শর্তচাপিয়ে দেওয়া হয়। তাই জার্মানি প্রথম থেকেই এই অপমানজনক সন্ধি ভাঙতে তৎপর হয়ে ওঠে।
[3] ন্যায়নীতি লঙ্ঘন: ন্যায়নীতি লঙ্ঘন করে জার্মানির ওপর চরম : অবিচার করা হয়। [i] মিত্রপক্ষের সামরিক শক্তি হ্রাস না করে শুধু জার্মানির সামরিক শক্তি হ্রাস করা হয়। [ii] জার্মানির উপনিবেশগুলি কেড়ে নেওয়া হয়। [iii] জাতীয়তাবাদ উপেক্ষা করে বহু জার্মান অঞ্চল অ-জার্মান রাজ্যগুলির সঙ্গে যুক্ত করা হয়।
: – [4] বৈষম্যমূলক অর্থনৈতিক শর্ত : জার্মানির অর্থনীতি পঙ্গু করার উদ্দেশ্যে মিত্রশক্তি—[i] জার্মানির ওপর ৬৬০ কোটি পাউন্ড ক্ষতিপূরণ চাপায়, [ii] জার্মানির কয়লাসমৃদ্ধ সার অঞল কেড়ে নেয়, [iii] জার্মানির বিভিন্ন খনিজ সম্পদ, পণ্যের বাজার ও জলপথ দখল করে নেয়।
উপসংহার: রাজহংসীকে উপবাসী রেখে তার কাছ থেকে স্বর্ণ ডিম প্রত্যাশা করা অবাস্তব। তেমনি যুদ্ধবিধ্বস্ত জার্মানিকে একতরফাভাবে যুদ্ধাপরাধী ঘােষণা করে তার উপর বিপুল পরিমাণ ক্ষতিপূরণের বােঝা চাপানােও মিত্রপক্ষের অদূরদর্শী পদক্ষেপ। এর ফলে জার্মানি এই সন্ধি ভাঙতে তৎপর হয়ে ওঠে।
প্রশ্নঃ *ভার্সাই সন্ধির (১৯১৯ খ্রি.) সপক্ষে যুক্তি দাও।
ভার্সাই সন্ধির (১৯১৯ খ্রি.) সপক্ষে যুক্তি :
উত্তর
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তিতে জার্মানি মিত্রশক্তির সঙ্গে চরম বৈষম্যমূলক ভার্সাই সন্ধি সাক্ষর করতে বাধ্য হয়। এই সন্ধি সমকালে এবং পরবর্তীকালে নানাভাবে সমালােচিত হলেও ডেভিড টমসন, গ্যাথর্ন হার্ডি প্রমুখ ঐতিহাসিক এই সন্ধির সমর্থনে বিভিন্ন যুক্তি দিয়েছেন। ভার্সাই সন্ধির সপক্ষে যুক্তি ভার্সাই সন্ধির সপক্ষে যুক্তিগুলি হল—
[1] ইতিহাসের নিয়ম : ইতিহাসের নিয়মেই দেখা যায়, বিজয়ী পক্ষ পরাজিত পক্ষের ওপর চিরকাল একতরফা চুক্তি চাপিয়ে দেয়। জার্মানি যুদ্ধে জয়ী হলে সেও পরাজিত পক্ষের প্রতি এরূপ আচরণই করত। ফ্রাঙ্কফার্টের সন্ধির (১৮৭১ খ্রি.) দ্বারা ফ্রান্সের প্রতি, ব্রেস্ট-লিটস্কের সন্ধির (১৯১৮ খ্রি.) দ্বারা রাশিয়ার প্রতি একই আচরণ করা হয়।
[2] ইউরােপবাসীর মনােভাব; যুদ্ধের পর জার্মানির প্রতি : ইউরােপবাসীর মনে এতটাই তীব্র ঘৃণার সার হয়েছিল যে সন্ধির রচয়িতাগণ সাধারণ মানুষের মনােভাবকে গুরুত্ব দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
[3] শক্তিসাম্য রক্ষা : যুদ্ধ-পরবর্তী ইউরােপে শক্তিসাম্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সন্ধির রচয়িতাগণ জার্মানির সামরিক শক্তি হ্রাস করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
[4] জাতীয়তাবাদের স্বীকৃতি : জাতীয়তাবাদের স্বীকৃতি দিয়ে প্রতিটি জাতির জন্য স্বাধীন জাতীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সন্ধির রচয়িতাদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল। এই উদ্দেশ্যে তাঁরা জার্মানির দখল করা বিভিন্ন অঞল কেড়ে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
[5] পূর্বাবস্থা বহাল : কেউ কেউ মনে করেন যে, ভার্সাই সন্ধির দ্বারা জার্মানির প্রকৃত ক্ষতি হয়নি। জার্মানির দখল করা অঞ্চলগুলি হাতছাড়া হলেও তার মূল শিল্পাঞ্চলগুলি বহাল থাকে।
উপসংহার: বিজয়ীর দৃষ্টিকোণ থেকে ভার্সাই সন্ধি প্রণয়ন অস্বাভাবিক কিছুই নয়। তবে এই সন্ধি দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য যথার্থ উদ্যোগ রচয়িতারা নেননি। তাই ঐতিহাসিক ডেভিড টমসন মন্তব্য করেছেন যে, এই সন্ধির রচয়িতাগণ “ভ্রান্ত স্থানে কঠোরতা এবং অবিজ্ঞােচিত উদারতা দেখান।”