অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর দশম শ্রেণী বাংলা টেকজ সঞ্জীব

 অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর দশম শ্রেণী বাংলা টেকজ সঞ্জীব

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর

অস্ত্রের-বিরুদ্ধে-গান-কবিতার-প্রশ্ন-উত্তর-দশম-শ্রেণী-বাংলা-টেকজ-সঞ্জীব

 

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান

জয় গােস্বামী

 অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার  সারাংশ এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হয়েছে

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার উৎস

 

“অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতাটি ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত জয় গােস্বামীর পাতার পােষাক’ কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত। কবিতাটি এই গ্রন্থের ২০ সংখ্যক কবিতা।

 

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার বিষয়বস্তু

 

বিষয়-সংক্ষেপ

 

 :প্রখ্যাত কবি জয় গােস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতাটি যুদ্ধের বিরুদ্ধে ও শান্তির সপক্ষে কবিতা। কবি যুদ্ধবাজদের অস্ত্র ত্যাগ করে সেই অস্ত্র পায়ের কাছে রাখতে বলেছেন। যুদ্ধকে প্রতিহত করার জন্য হাজার মানুষের প্রতিনিধি হয়ে উঠে দাঁড়িয়ে এগিয়ে এসে ধাবমান বুলেটকে প্রতিরােধ করবেন। তিনি যুদ্ধের পােশাক বর্ম নয়, শান্তির পােশাক যা গানের বর্ম, তা পরেছেন। তিনি অস্ত্রের যােদ্ধা নন শান্তির যােদ্ধা।

 

 গান তার অল্পই জানা। গানের অল্প পুঁজি আঁকড়ে ধরে গানের গায়ের রক্ত মােছেন। গান হলাে শান্তির প্রতীক। শান্তির ওপর আঘাত অথবা রক্তের কলঙ্ক দাগ তিনি লাগতে দেন না। মাথার ওপর উড়ন্ত শকুন বা চিল হিংস্র মাংসাশী। তারা শান্তির দূত হতে পারে না। কবির শুধু একটা কোকিল, যার কণ্ঠের গান মধুক্ষরা, সে সহস্র উপায়ে শান্তির গানই বাঁধবে।

 

  যুদ্ধ নয়, শান্তি স্থাপনের মহৎ উদ্দেশ্যে কবির নির্দেশ যুদ্ধবাজরা অস্ত্র ত্যাগ করে পায়ের কাছে ফেলুক। গায়ের যুদ্ধের সাজ খুলে খালি গা হােক। তখন সে ঋষিবালকতুল্য নিস্পাপ, নিষ্কলুষ। মাথায় তার গোঁজা ময়ূরপালক। গান তাকে নিয়ে বেড়াবে নদী, দেশগাঁয়ে— তামাম বিশ্বে। বিশ্বময় পরম শান্তি। কাজেই গান ওরফে শান্তির পদপ্রান্তে যুদ্ধাস্ত্র বর্জিত হােক।

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার নামকরণের সার্থকতা

 

নামকরণ

 

 বর্তমান (একুশ শতক) বাংলা সাহিত্যে জয় গােস্বামী একজন খ্যাতনামা কবি-সাহিত্যিক। তাঁর লেখা আলােচ্য কবিতাটির নাম ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’। এখন আমরা দেখবাে, উক্ত নামকরণ যথাযথ হয়েছে কিনা।

 

নামকরণের সার্থকতা :

  কবিতার প্রথম স্তবকে দেখা যায়, কবি অস্ত্রবাজদের উদ্দেশ্যে বলছেন—‘অস্ত্র ফ্যালাে, অস্ত্র রাখাে পায়ে। পরিষ্কার অস্ত্র- বিরােধিতা। কবি একলা নন, তিনি হাজার হাজার মানুষের প্রতিনিধি হয়ে গিয়েছেন। তিনি এগিয়ে আসেন, বসে থাকা থেকে উঠে আসেন। হাত নাড়িয়ে ছোঁড়া বুলেটকে তাড়ান। অর্থাৎ, অস্ত্রধারী যােদ্ধাদের বিরুদ্ধে মহৎ প্রতিরােধ গড়ে তােলেন। কেননা, কবি গানের বর্ম পরেছেন বাইরে, অন্তরে। এই বর্মকে কোনাে অস্ত্রই ভেদ করতে পারে না।

 

দ্বিতীয় স্তবকে দেখি, হতে পারে গানের সম্বল সামান্যই। কিন্তু গানের মাধ্যমে এই রক্ত পাত নিশ্চয় মােছে। ওরা রক্তপিপাসু, স্বার্থলােভী শকুন বা চিল। কবির আছে একটা কোকিল। তার গান শান্তির বার্তা ছড়ায়। নিত্যনতুন যুদ্ধবন্ধের গান হবে গাওয়া। এখানেও যুদ্ধের বিপক্ষে কবি।

 

তৃতীয় স্তবকে কবি বলেছেন- অস্ত্রবাজরা অস্ত্র ফেলে দিক। গা থেকে বর্মা খুলক। সেও তখন হয়ে যাবে পবিত্র ঋষিবালকের মহিমময় গান। আহা, মাথা গোঁজা ময়ূরপালক কী সৌন্দর্যই না ছড়ায়। তখন ওই অস্ত্রহীন যোদ্ধা, আর ঋষিবালক সমান, গান একাকার। এইভাবে শান্তির গান ছড়াবে বিশ্বময়।

 

কবিতার সর্বাঙ্গে অস্ত্রের বিরুদ্দে গানের মহৎ ভূমিকা থাকায় কবিতার নামকরণ যথাযথ বলেই সিদ্ধান্ত করা যায়।

বড় প্ৰশ্ন

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার মূল বক্তব্য

 

প্রশ্ন>  ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার মূল বক্তব্য নিজের ভাষায় লেখাে। 

 

উত্তর : কবি জয় গােস্বামী বাংলা সাহিত্যে বিশ-একুশ শতকের এক বিশিষ্ট কবি। তাঁর লেখা ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’একটি কালজয়ী কবিতা। কবি অস্ত্রবাজ যুদ্ধবাজদের অস্ত্রকে পায়ে ফেলে রাখতে বলছেন। তিনি গানের বর্ম গায়ে পরেছেন। সকল আহত মানুষের প্রতীক হয়ে হাজার হাতে পায়ে এগিয়ে আসেন, উঠে দাঁড়ান, হাত নাড়িয়ে বুলেট তাড়ান। গানের সম্বল সামান্যই। কবি গানের স্পর্শে অস্ত্রাঘাতের রক্ত মােছেন। নিহত মানুষের শবের লােভে শকুন-চিলের মতাে স্বার্থলােভী অস্ত্রধারীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। কবির আছে নানা উপায়ে বাঁধা গানের কোকিল। কবি অস্ত্রধারীদের গা থেকে বর্ম খুলে খালি গা হয়ে দেখতে বলছেন। তখন সে দেখবে নিরস্ত্র গান খালি-গা ঋষিবালক হয়েছে—তার মাথায় ময়ূরপালকের দৃষ্টিলােভন মধুর সৌন্দর্য। তখন অস্ত্র ফেলে দেওয়াদের নিয়ে গান নদীতে, দেশগাঁয়ে প্রসন্ন নিরুদবেগে বেড়িয়ে বেড়াবে। নামবে শান্তি অতএব গানের কাছে অস্ত্র সমর্পিত হােক। 

 

 বড় প্ৰশ্ন উত্তর

 

প্রশ্নঃ।  অস্ত্র রাখাে গানের দুটি পায়ে ….’।কবির বক্তব্য বিশ্লেষণ করাে।

 

উওর : উদ্ধৃতিটি কবি জয় গােস্মামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতার অন্তিম পঙক্তির অংশবিশেষ। বলা যায়, অস্ত্রধারীর প্রতি বক্তব্যটি উক্ত কবিতার আশাবহ আবেদনকে মহিমান্বিত করে। কবি তাঁর উক্ত কবিতার প্রথমেই বললেন, ‘অস্ত্র ফ্যালাে, অস্ত্র রাখাে পায়ে। অর্থাৎ, অস্ত্রধারীকে অস্ত্র ফেলতে বলছেন, অস্ত্রকে পায়ে রাখতে বলছেন। চাইছেন, অস্ত্রের কার্যকারিতা বন্ধ হােক। এ থেকে বলা যায়, কবির মনে যে পূর্ব প্রশ্নটি উঠে এসেছে, তা হলাে, মানুষ যে—তার হাতে অস্ত্র কেন? অস্ত্র কী মানুষকে সুখ দেয়, শান্তি দেয়? নাকি অপূর্ব কোনাে নির্মাণকে সম্ভাবিত করে? তা নয়। তাই কবির নির্দেশ—‘অস্ত্র ফ্যালাে, অস্ত্র রাখাে পায়ে। কারণ, অস্ত্র যাবতীয় সৃষ্টিকে ধ্বংস করে। অপরিমাণ রক্তপাত ঘটায়। শিল্প, সভ্যতাকে বিনষ্ট করে। বিভীষিকা সৃষ্টি করে। একা কবি হাজারাের হাতে পায়ে এগিয়ে আসেন। উঠে দাঁড়িয়ে হাত নাড়িয়ে বুলেট তাড়ান। কেন-না, গানের বর্ম পরেছেন তিনি। অস্ত্র কী করবে তার ? কবি গানেই মুছে ফেলেন অস্ত্রাঘাতের রক্তক্ষত। অর্থাৎ, গানেই মুছে ফেলেন সকল অন্তর্বেদনা। মাথার ওপর অস্ত্রধারী শকুনচিলেদের ওড়াওড়ি। কিন্তু কবির আছে গানের কোকিল; যে নিরস্ত করবে ওদের।

 

তাই কবি বলেন, বর্ম খুলে ফেলে আদুড় গায়ে দাঁড়াতে। সে তখন গানের ঋষিবালক। প্রসন্ন শুচিসুন্দর, মাথায় গোঁজা আনন্দের ময়ূরপালক। তাহলে সেই গান ওই অস্ত্র খুলে ফেলাদের নিয়ে বেড়াবে নদীতে, দেশগায়ে, পৃথিবীময়। সেই পৃথিবী তখন গানময়, শান্তিময়, আনন্দময়। সেই পাওয়া কি সর্বশ্রেষ্ঠ পাওয়া নয় ? সর্বশ্রেষ্ঠ জয় নয় ? তাই কবির সার্থক আবেদন — ‘অস্ত্র ফ্যালাে, অস্ত্র রাখাে গানের দুটি পায়ে ….’। কী মহিমময় উচ্চারণ !

 

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর

 প্রশ্ন ।। ‘তােমায় নিয়ে বেড়াবে গান/নদীতে, দেশগাঁয়ে -কার কোন্ কবিতার অংশ? প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বক্তব্যটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও। 

 

অথবা, তােমায় নিয়ে বেড়াবে গান/নদীতে, দেশ-গাঁয়ে’ –এই মন্তব্যে গানের যে স্বভাবধর্মের প্রকাশ ঘটেছে তা নিজের ভাষায় লেখাে। 

উত্তর : বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় কবি জয় গােস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা থেকে উদ্ধৃতাংশটি উৎকলিত হয়েছে। ব্যক্তিজীবনে, জনজীবনে তথা সভ্যতায় গানের সীমাহীন অবদানের কথা বলতে গিয়ে কবির এই কাব্যিক উপস্থাপনা।

 

মানব-মনের ওপর গানের প্রভাব সুগভীর। গানের ঝরনাধারায় ধৌত হতে পারলে হৃদয়ের ক্ষত দূর হয়ে যায়। গানই পারে মানব-মনের গতিপ্রকৃতির ধারাকে বদলে দিতে। তাই তাে অস্ত্রশক্তি বৃদ্ধির অশুভ প্রতিযােগিতায় বিশ্ব যখন উন্মাদ, অস্ত্রের আস্ফালন যখন মানুষের শুভ বােধবুদ্ধিকে আচ্ছন্ন করে দিচ্ছে তখন কবি গনিকেই অস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রধান অবলম্বন হিসেবে গণ্য করেছেন। গানের শক্তি সীমাহীন। গানে আছে মানুষের শুভ চেতনা, সৃজনশীল সাকে জাগ্রত করার ক্ষমতা। সত্য-শিব-সুন্দরের রক্ষায় মানুষের বনয়ের প্রতিবাদী সত্তাকে জাগ্রত করার ক্ষমতা। গানকে হাতিয়ার বেই একদিন শিখিপুচ্ছ ঋষিবালক বাঁশির সুরে মাতিয়েছিলেন { ননুকে। গানই পারে স্বার্থান্ধ জীবনের স্বার্থের দ্বন্দ্বের জটিল জিল থেকে মানুষকে মুক্ত করতে। মানুষের হৃদয়ের ভর দু-পাপের উৎসকে ধুয়ে মুছে নির্মল করতে। নদী-সৈকতে ( পাপপার অবারিত সুন্দর প্রকৃতির তাঁচলতলে ভ্রমণের অনাবিল ( ইন নিয়ে নিয়ে যেতে। সুতরাং জীবনকে পরিপূর্ণ সৌন্দর্যে ভোগ করার প্রয়োজনে গানের দরিয়ায় ভাসতে হবে প্রাণের * ক্ষেত্রে কবির পরামর্শ—তা ফ্যালো, অস্ত্র রাখো গলার দুটি পায়ে …’। 

 

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতা প্রশ্ন উত্তর

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর

 

প্রশ্ন ।‘গান দাঁড়াল ঋষিবালক/মাথায় গোজা ময়ূরপালক’- গানকে ঋষিবালকের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কেন? ঋষিবালক রূপে গান কোন্ ভূমিকা পালন করবে?

 

 

উত্তর : কবি জয় গােস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা থেকে উ ধৃতাংশটি উৎকলিত হয়েছে। অস্ত্রবিরােধী এই কবিতায় কবি অস্ত্রের আস্ফালনের বিরুদ্ধে গানের বলিষ্ঠ ভূমিকাকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। গানকে শিখি পুচ্ছ ঋষিবালকের সঙ্গে তুলনা করে চমৎকার কাব্যোকর্ষতার পরিচয় দিয়েছেন কবি। ঋষিবালকটিকে যদি শ্রীকৃষরূপে কল্পনা করা যায় তাহলে তার কংসবধের অধ্যায়টিকে অস্ত্রের অশুভ আস্ফালনের বিরুদ্ধে গানের সাফল্য হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায়। বংশীধারী শ্ৰীকৃয় অসির বদলে বাঁশিকেই হাতে তুলে নিয়ে কংসের অত্যাচারে হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবীতে এসেছিলেন। অস্ত্রের বিরুদ্ধে গানের ভূমিকাও দৃঢ় কিন্তু মাধুর্যপূর্ণ।

 

হিংসায় উন্মত্ত অস্ত্রনির্ভর পৃথিবীতে গান ঋষিবালক রূপে বিরাট ভূমিকা পালন করবে। অস্ত্রের অশুভ বিস্তার মানব প্রবৃত্তির নীচতাকে বৃদ্ধি করে চলেছে। হিংসা, হানাহানি, রক্তপাতে জীবন নারকীয়, বীভৎস হয়ে উঠেছে। সমাজটা যেন ভাগাড় হয়ে উঠেছে। মাথার ওপর চক্কর কাটছে চিল-শকুনের দল। এই অবস্থায় শক্তি ও মাধুর্যের প্রতীক ঋষিবালকের আবির্ভাব এক বিরাট ভরসা। ঋষিবালকের অমৃতময় বংশীধ্বনির মতাে গান নির্মল ঝরনাধারায় স্নাত করবে মানুষকে। হিংসাকুটিল স্বার্থান্ধ মনােবৃত্তি ঘুচিয়ে জাগাবে শুভ চেতনা। সৃষ্টিশীল করবে হৃদয়কে। এভাবে অস্ত্রনির্ভর যুদ্ধক্লান্ত মানুষ প্রেম-মানবতায় পূর্ণ সহজ সরল, পবিত্র, অনাবিল এক জীবন স্রোতে শামিল হবে। কবির কথায়—‘তােমায় নিয়ে বেড়াবে গান । নদীতে, দেশগাঁয়ে।

 

 

প্রশ্ন ) কবি জয় গােস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় যুদ্ধবিরােধী মনােভাবের যে প্রকাশ ঘটেছে তা নিজের ভাষায় বিবৃত করাে। 

 

উওর :বিবেকী কবি জয় গােস্বামী পাতার পােষাক’ কাব্যগ্রন্থের ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’কবিতায় গানের নান্দনিক সৌন্দর্যের মধ্য দিয়ে যুদ্ধের ভয়াবহতাকে অতিক্রম করতে চেয়েছেন।

 

সাম্রাজ্যবাদী শক্তি অস্ত্রের আস্ফালনের সাহায্যে সভ্যতার গতিপ্রকৃতিকে স্তন্ধ করতে চায়। অন্যদিকে সৃষ্টির সম্ভাবনাকে বুকে নিয়ে গান মানুষের পৃথিবীতে সম্প্রীতি ও ভালােবাসার ছবি আঁকতে চায়। হৃদয়তন্ত্রীতে জন্ম নেওয়া গান অনন্ত শান্তির কথা বলে। 

 

অস্ত্রের ব্যবহার মানুষের কোমল প্রবৃত্তির অপমৃত্যু ঘটায়, তার হননশীল মনােভাবকে জাগ্রত করে। কবি সুনীল গঙ্গােপাধ্যায় জ্বলন্ত জিরাফ’কবিতায় তীক্ষ বিদ্রুপে তাই লেখেন

 

“পুলিশ এসে বলেছিলাে, এই নিয়ে সাতটা খুনের জন্য তুমি মােট তেরােটা ছুরি ভেঙেছে। ইস্পাতের এ-রকম অনটনের দিনে তােমার অমন বিলাসিত।”অন্যদিকে, গান মানুষের অন্তর প্রকৃতিকে নিস্পাপ করে, কলুষ মুক্ত করে। জয় তাই গানের পবিত্রতার কথা বলতে গিয়ে লেখেন-

 

“গান দাঁড়াল ঋষিবালক/মাথায় গোঁজা ময়ূর পালক।” কবি হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবীর পরিবর্তে এক শান্ত, সমাহিত, সুচেতনার পৃথিবী চান যেখানে রণ-রক্ত-সফলতা কখনােই শেষ সত্য হবে না। প্রকৃতির অমলিন পটভূমিতে গান তখন হবে মানবতার শ্রেষ্ঠ আশ্রয়

 

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন)  ‘অস্ত্র ফ্যালাে, অস্ত্র রাখাে পায়ে’-কবি কেন অস্ত্র ফেলে দিতে বলেছেন? কবির এই আবেদনের মধ্যে তার কোন মানসিকতা ধরা পড়েছে? 

 

উওর: কবি জয় গােস্বামী তার ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় অস্ত্রনির্ভর, ক্ষমতাদম্ভী মানুষদের কাছে অস্ত্র ত্যাগের আবেদন রেখেছেন। অস্ত্র হিংসা, হানাহানি এবং ধ্বংসের প্রতীক। মানুষের নিকৃষ্টতম প্রবৃত্তিকে উৎসাহিত করে অস্ত্র। জাগিয়ে তােলে ক্ষমতার দম্ভ। বিচ্ছিন্নতার বীজ বপন করে মানুষের মধ্যে বিভেদের প্রাচীর তুলে দেয়। শুভ চেতনা, সৌভ্রাতৃত্ব প্রভৃতি মানবিক গুণগুলিকে ধ্বংস করে মানুষকে পিশাচের পর্যায়ে নামিয়ে দেয়। হিংস্রতা বৃদ্ধি করে পৃথিবীর সংকটকে ঘনীভূত করে তােলে। এমন একটা নেতিবাচক উপাদানের জন্য অর্থব্যয়কে কবি অনর্থক বলে মনে করেন, তাই অস্ত্র ত্যাগের আবেদন রেখেছেন।

 

কবির এই আবেদনের মধ্যে যুদ্ধবিরােধী, মানবকল্যাণকামী মনােভাবের প্রকাশ ঘটেছে। পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান অস্ত্র প্রতিযােগিতায় কবি আতঙ্কিত। অস্ত্রনির্ভর স্বার্থান্ধ মানুষের পৈশাচিক তাণ্ডবের

 

পরিণতি কী হতে পারে তা তিনি উপলব্ধি করেছেন। তাই সভ্যতার শুভ চেতনা জাগ্রত করতে তিনি সচেষ্ট হয়েছেন। কবি দেখেছেন বিশ্বব্যাপী অস্ত্র প্রতিযােগিতায় ব্যয় হয়ে যাচ্ছে বিরাট অঙ্কের অর্থ অথচ দেশের সাধারণ নাগরিকের নিরন্ন, কর্মহীন অবস্থা। সামান্য গ্রাসাচ্ছাদনের সংস্থানটুকু হচ্ছে না। এ এক ক্ষমাহীন অবিমৃষ্যকারিতা। মানুষের শুভ চেতনা জাগ্রত করে তার সৃজনশীল সত্তাকে কবি উৎসাহিত করতে চান। তাই অস্ত্রের পরিবর্তে গানে তার আস্থা। গান হলাে প্রাণের ভাষা। গান শুভ চেতনা ও কল্যাণবােধকে জাগ্রত করে। মানবিক গুণগুলির বিকাশ ঘটায়। অস্ত্র গানের কণ্ঠরােধ করে, জীবনকে নারকীয় করে তােলে। কাজেই অস্ত্র ত্যাগের মধ্যেই আছে মানবের প্রকৃত কল্যাণ, আনন্দমুখর জীবনের সন্ধান।

 

 

প্রশ্ন ।। গান কীভাবে অস্ত্রের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে তা ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা অনুসারে লেখাে।

 

অথবা, ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি গানকে কীভাবে অস্ত্রের চেয়ে বেশি শক্তিশালী বলে প্রমাণ করেছেন?

 

উত্তর : কবি জয় গােস্বামী তার ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় অস্ত্রের অপরিসীম ধ্বংসক্ষমতার বিরুদ্ধে গানকেই হাতিয়ার করেছেন। প্রমাণ করেছেন গান অস্ত্রের চেয়ে বেশি শক্তিশালী।

 

অস্ত্র এবং গান চরিত্রগতভাবে পরস্পর বিপরীত মেরুতে অবস্থান করে। অস্ত্র হত্যা করে, আতংক সৃষ্টিকরে ধ্বংস করে। গান প্রাণে সুধা সঞ্চার করে। প্রেমের মন্ত্রে দীক্ষিত করে। সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করে। কবি দেখেছেন অস্ত্র হাতে নিয়ে মানুষ হিংস্রতার মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছে। হানাহানি, রক্তপাত, ধ্বংসযজ্ঞ চলছে নির্বিচারে। এই অবস্থায় হাত গুটিয়ে বসে থাকা শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। অস্ত্রের এই আস্ফালন, অস্ত্রধারীদের এই ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করা প্রয়ােজন। কবি জানেন অস্ত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করে অস্ত্রের আস্ফালন কমানাে যাবে না। অমানবিকতার বিরুদ্ধে অমানবিকতা কোনাে অস্ত্র নয়। আগুন দিয়ে আগুন নেভানাে যায় না। প্রয়ােজন শুভ বােধবুদ্ধির বিকাশ, প্রকৃত কল্যাণকর প্রয়াস। গানের ক্ষমতা অপরিসীম, গান প্রাণে সুধা সঞ্চার করে হৃদয়ের যাবতীয় দীনতা-দুর্বলতা, পাপকে ধুয়ে মুছে নির্মল করে। শুভ চেতনা, সৃজনশীলতা জাগ্রত করে। ঐক্যবদ্ধ করে বিচ্ছিন্ন মানুষদের। গানের বর্ম গায়ে পরে নিয়েই কবি অস্ত্রের বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়িয়েছেন— ‘আমি এখন হাজার হাতে পায়ে এগিয়ে আসি, উঠে দাঁড়াই/ হাত নাড়িয়ে বুলেট তাড়াই। বুলেট যেন মশা-মাছি। 

 

অস্ত্র যে রক্তক্ষরণ ঘটায়, যে ক্ষত সৃষ্টিকরে, গান তাতে দেয় স্লিং উপসমকারী মলমের প্রলেপ। গান খুব বেশি নয়, একটা, দুটো কিন্তু তার শক্তি অনেক। একটিমাত্র কোকিল সহস্র উপায়ে গান বেঁধে শকুন বা চিলের হিংস্রতাকে ভুলিয়ে দিতে পারে। গানই পারে হৃদয়কে ধৌত করে অনাবিল, সরল-সুন্দর জীবনের ধারায় বইয়ে দিতে। তাই গান অস্ত্রের চেয়ে বেশি শক্তিধর সর্বযুগে, সর্বকালে।

 

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতা

 

সংক্ষিপ্ত প্ৰশ্ন

 

প্রশ্নঃ। ‘রক্ত মুছি শুধু গানের গায়ে’—উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য লেখাে।

 

উত্তর : কবি জয় গােস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা থেকে উস্তৃত এই অংশে অস্ত্রের বিরুদ্ধে অর্থাৎ, হিংসার বিরুদ্ধে গানের মানবিক, প্রেমময় প্রতিবাদী অবস্থানকে তুলে ধরা হয়েছে।

 

অস্ত্রের প্রকৃতিতেই আছে হনন, জীঘাংসা, রক্তপাত, নারকীয়তা, কিন্তু গানে আছে প্রাণের সুধা। গানের সুরের ঝরনাধারায় স্নাত হৃদয়ে জাগে শুভ চেতনা, প্রেম, শান্তি, সৃজনশীলতা। অস্ত্রের আঘাতে যে রক্তক্ষরণ ঘটে, যে ক্ষতের সৃষ্টি হয় গানেই আছে তার প্রকৃত উপসম। গান ভুলিয়ে দিতে পারে যাবতীয় জীঘাংসা বৃত্তি এবং নরকের দুঃস্বপ্নগুলিকে।

 

প্রশ্নঃ।।  ‘মাথায় কত শকুল বা চিল’—উদ্ধৃতাংশটি ব্যাখ্যা করাে।

 

উওর : কবি জয় গােস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত এই অংশে শকুন বা চিল বলতে কবি স্বার্থান্ধ, অস্ত্রনির্ভর, যুদ্ধবাজ মানুষদের বুঝিয়েছেন।

 

 স্বার্থান্ধ, সুবিধাবাদী, লােভী, নিষ্ঠুর, অস্ত্রনির্ভর মানুষগুলি যাবতীয় মানবিক হৃদয় বৃত্তি, বােধ-বুদ্ধিকে বিসর্জন দিয়েছে। তারা যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলায় মেতে উঠে হেলায় পদদলিত করছে মানবকে তাদের একমাত্র লক্ষ্য যেনতেন উপায়ে স্বার্থ সিদ্ধি করা। তাদের এই ঘৃণ্য স্বার্থান্ধ হিংস্র প্রয়াসের চিত্রটি ভাগাড়ের ওপর মৃতভুক তীক্ষ নখ-চক্ষুবিশিষ্ট শকুনের চক্কর কাটার সঙ্গে তুলনীয়।

 

প্রশ্নঃ।। ‘আমার শুধু একটা কোকিল’-একটা কোকিল কোন্ ভুমিকা পালন করবে? 

 

উত্তর : কবি জয় গােস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত এই অংশে অস্ত্রের বিরুদ্ধে গানের অপরাজেয় ভূমিকা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়েছে।

 

অস্ত্র নৃশংসতার পরিচয় দিয়ে মানুষের শুভ চেতনাকে ধ্বংস করে তার প্রবৃত্তিগত নীচতার বিকাশ ঘটায়। মানুষকেশকুন বা চিলের মতাে মৃতভুক করে তােলে। কিন্তু কোকিলের গান বয়ে আনে বসন্তের বার্তা। তার ‘সহস্ৰ উপায়ে বাঁধা গান হৃদয়ে হৃদয়ে নির্মাণ করবে প্রেমের মন্দির। কোকিল সংখ্যায় অনেক না হলেও অনেক গভীরে প্রভাব ফেলবে তার গান। মানুষকে নীচতা, স্বার্থপরতা, নিষ্ঠুরতা ভুলিয়ে প্রাণের বসন্তের উৎসবে শামিল করবে।

 

প্রশ্ন ) বর্ম খুলে দ্যাখাে আদুড় গায়ে’-কবি কেন বর্ম বুলে আদুড় গায়ে দেখতে বলেছেন?

 

উত্তর : অস্ত্রনির্ভর আধুনিক সভ্যতায় ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ মানুষ অহংকারের বর্মে আচ্ছাদিত। ক্ষমতার দম্ভই সুকোমল মানবিক বৃত্তিগুলিকে ধ্বংস করে এক ধরনের যন্ত্র-জটিল জীবনে তাদের

 

অভ্যস্ত করে তােলে। এভাবেই সমাজে বেড়ে চলে অশুভ শক্তির দৌরাত্ম্য। মানবতাবাদী কবি এই দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে চান। অস্ত্রনির্ভর হিংসাশ্রয়ী মানুষকে তার অমৃতময় সত্তায় ফেরাতে চান। তার শাশ্বত অধ্যাত্ম আত্মাকে জাগ্রত করে সহজ সরল প্রকৃতির রাজ্যে বিচরণ করাতে চান। তাই বর্ম খুলে আদুড় গা হতে বলেন।

 

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান জয় গোস্বামী

 

প্রশ্নঃ।।  ‘গান দাঁড়াল ঋষিবালক/মাথায় গোঁজা ময়ূরপালক’—উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।

 

উত্তর : কবি জয় গােস্বামী তার ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় অস্ত্রের বিরুদ্ধে গানের প্রতিবাদী চরিত্রটি বিশ্লেষণের পাশাপাশি এর প্রকৃতিগত মাধুর্যকে কাব্যসুন্দর ভাষায় উপস্থাপিত করেছেন। গান বুলেটকে প্রতিরােধ করতে পারে। সহস্র সুরের ঝরনাধারায় মানব হৃদয়কে ধৌত করে তাকে স্নিগ্ধ, সতেজ এবং স্বতঃস্ফূর্ত করতে পারে। জাগ্রত করতে পারে এক শাশ্বত অধ্যাত্মবােধ। এক্ষেত্রে গান যেন শিখিপুচ্ছ ঋষিবালকের বিকল্প হয়ে দাঁড়ায়, যে তার মধুর বংশীধ্বনিতে মাতিয়ে দেয় বিশ্বভুবন।

 

প্রশ্ন ) তােমায় নিয়ে বেড়াবে গান/নদীতে, দেশগাঁয়ে’ —এই অংশটিতে কবি কী বলতে চেয়েছেন?

 

উত্তর : কবি জয় গােস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় মানবজীবনে গানের সুগভীর প্রভাবের কথা বলা হয়েছে। বিস্তার করতে পারে। কবি অস্ত্র ত্যাগ করে গানের জাদুর জগতে অস্ত্রনির্ভর, ক্ষমতাদম্ভী, হিংসাশ্রয়ী মানুষের মনেও গান মায়াজাল প্রবেশের আহ্বান জানিয়েছেন। গানের সুরের ঝরনাধারায় হৃদয়কে স্নাত করালে মানুষ তুচ্ছ জাগতিক ঘটনা বা বিষয়ের উর্ধ্বে উঠে মানসভ্রমণের অতুলনীয় আনন্দ পাবে। গান শিখিপুচ্ছ ঋষিবালকের বেশে সঙ্গী হয়ে সহজ সরল অনাবিল এক প্রাকৃতিক জগতে নিয়ে যাবে। প্রকৃতির সঙ্গে রচনা করে দেবে সহজ বন্ধুত্ব।

 

**প্রশ্ন ) “অস্ত্র ফ্যালাে, …..? কবির একথা বলার কারণ কী?

 

 

উত্তর : ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা থেকে নেওয়া আলােচ্য অংশে কবি প্রাণঘাতী লালসার প্রতীক অস্ত্রকে পায়ে ফেলে রাখার কথা বলেছেন।

 

অস্ত্র ভয়াল এবং ভয়ংকর। অস্ত্র হাতে নিয়ে মানুষ নিজেকে শক্তিধর মনে করে। আর এই অস্ত্রকে প্রয়ােগ করার জন্য সে তখন উদগ্রীব হয়ে ওঠে। মানুষের সার্বিক বিনাশসাধনে অস্ত্র কার্যকরী ভূমিকা নিতে উত্যত হয়। সাধারণের জীবনহানি, রক্তপাত সংঘটিত হয়। কবির মতে, মানুষের হাতের অস্ত্র সভ্যতার বিষস্বরূপ। সভ্যতার সর্বাঙ্গে এই বিষ প্রয়ােগ হলে তার ধ্বংস অনিবার্য হয়ে ওঠে। কবি তাই অস্ত্র ত্যাগ করে নিজের মনের মহৎ গুণকে উন্মেষের আহ্বান জানিয়েছেন। অস্ত্রকে সমর্পণ করতে বলেছেন।

 

প্রশ্ন। ‘গানের বর্ম আজ পরেছিগায়ে’-কোকবিতার অংশ? পঙক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে। –

 

উত্তর : জয় গােস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা থেকে উদ্ধৃতাংশটুকু উৎকলিত হয়েছে।

 

অস্ত্রশক্তির অশুভ আস্ফালনের বিরুদ্ধে কবি গানকে আত্মরক্ষার বর্ম হিসেবে গ্রহণ করেছেন। নীচ স্বার্থবুদ্ধি, ক্ষমতার দম্ভ এবং পাশবিক নৃশংসতাই হলাে অস্ত্রের উৎস। অস্ত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করলে জীবন নারকীয় হয়ে ওঠে। তাই অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান। গান মানব হৃদয়ের সমস্ত ভয়, ভুল, পাপের উৎসকে ধুয়ে মুছে জাগ্রত করে শুভ চেতনা, সৃজনশীলতা। আবার গান প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে কণ্ঠে কণ্ঠে ধ্বনিত হয়ে সংঘবদ্ধ শক্তি গড়ে তােলে। 

 

) প্রশ্ন ‘হাত নাড়িয়ে বুলেট তাড়াই’-কবি হাত নাড়িয়ে কীভাবে বুলেট তাড়ান?

 

উওর : কবি জয় গােস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত এই অংশে কবি অস্ত্রের বিরুদ্ধে গানের ক্ষমতাকে প্রতিষ্ঠা করেছেন।

 

অস্ত্রের অশুভ আস্ফালনের বিরুদ্ধে, অমানবিক নৃশংসতার বিরুদ্ধে অস্ত্র যথার্থ প্রতিবাদ হতে পারে না। আগুন দিয়ে আগুন নেভানাে যায় না। তাই কবি গানকে বর্ম হিসেবে পরিধান করে, গানকেই করেছেন হাতিয়ার। গানের শক্তি তাঁর হৃদয়ের মর্মমূলে অকল্পনীয় শক্তির জোগান দিয়েছে। গানের ভাষায় প্রাণের সঙ্গে প্রাণকে জুড়ে দিয়ে যে সংঘবদ্ধ শক্তির জন্ম দিয়েছেন মনুষ্যত্বের ঘাতক অস্ত্রধারী তার কাছে তুচ্ছ। তাই কবি হাত নাড়িয়ে মশা-মাছির মতাে বুলেট তাড়ান।

 

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার ছোট প্ৰশ্ন উত্তর

 

ছোট প্ৰশ্ন

 

প্রশ্ন) ‘মাথায় গোঁজা ময়ূরপালক’—এখানে কার ইঙ্গিত করা হয়েছে?

 

উত্তর : কবি জয় গােস্বামী তার ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় মাথায় ময়ূরপালক গোঁজা ঋষিবালকের উল্লেখের মধ্য দিয়ে শিখি পুচ্ছ শ্রীকৃষ্ণুের ইঙ্গিত করেছেন।

 

প্রশ্ন) ‘তােমায় নিয়ে বেড়াবে গান’—কোথায় বেড়াবে?

 

উত্তর : ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত এই অংশে ‘তােমায়’ বলতে যে ব্যক্তির উল্লেখ করা হয়েছে তাকে। গান নদীতে অর্থাৎ, নদী-সৈকতে, দেশগাঁয়ে অর্থাৎ, সহজ সরল গ্রামজীবনে বেড়াবে।

 

প্রশ্নঃ।।  ‘আমার শুধু একটা কোকিল’—কোকিল কী করবে?

 

উত্তর : কোকিল বসন্তের দূত। শীতজর্জর প্রকৃতিতে বসন্ত আসে কোকিলের আহ্বানে। কবির যে কোকিলটি আছে সেটি সহস্র উপায়ে গান বাঁধবে। অর্থাৎ সুরের ঝরনাধারা ছােটাবে।

 

প্রশ্ন ) ‘গান দাঁড়াল’—গান কী রূপে দাঁড়াল?

 

উত্তর : কবি জয় গােস্বামী তার ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় গানকে ঋষিবালকের সঙ্গে তুলনা করেছেন। গান মাথায় ময়ূরপালক গোঁজা ঋষিবালকের বেশে দাঁড়িয়েছে।

 

প্রশ্ন) ‘গান দাঁড়াল ঋষিবালক’—ঋষিবালকের মধ্যে কার ছায়াপাত ঘটেছে?

 

উত্তর : কবি জয় গােস্বামী তার অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় যে শিখিপুচ্ছ ঋষিবালকের কল্পনা করেছেন তাতে যশােদানন্দন শ্রীকৃষ্ণুের ছায়াপাত ঘটেছে।

 

প্রশ্ন ) ‘অস্ত্র রাখাে গানের দুটি পায়ে….’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

 

উত্তর : গানের পায়ে অস্ত্র রাখাে বলতে কবি প্রেম ও শুভ চেতনার কাছে অস্ত্রনির্ভর হিংস্রতাকে নতজানু হতে বলেছেন।

 

প্রশ্ন ) ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় ‘গানের বর্ম গায়ে পরেছেন বলে কবি কী বােঝাতে চেয়েছেন?

 

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি গানের বর্ম গায়ে পরেছেন অর্থাৎ, সংগীতের ঝরনাধারায় শুচিত হয়ে কল্যাণমন্ত্রে দীক্ষা নিয়ে অস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিজ্ঞা-কঠোর মানসিকতা লাভ করেছেন।

 

প্রশ্ন ) অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় মােট কতগুলি স্তবক আছে?

 

উত্তর : জয় গােস্বামী রচিত ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় মােট তিনটি স্তবক আছে।

 

প্রশ্ন ) ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় মােট কতগুলি চরণ রয়েছে?

 

উত্তর : ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় প্রথম স্তবকে পাঁচটি, দ্বিতীয় স্তবকে ছ-টি, তৃতীয় স্তবকে সাতটি মােট ১৮টি চরণ রয়েছে।

 

প্রশ্ন ) অস্ত্রের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কবির গতিপ্রকৃতি কেমন?

 

উত্তর : আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কবিসক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসেন, উঠে দাঁড়ান। গানের বর্ম গায়ে পরে হাত নাড়িয়ে বুলেট তাড়ান।

 

 

প্রশ্ন ) কবিতায় কোন্ কোন্ পাখির নাম আছে?

 

উত্তর : ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’কবিতায় সরাসরি তিনটি পাখির নাম আছে। যথা—শকুন, চিল ও কোকিল। এছাড়া পরােক্ষভাবে ময়ূরের নামও আছে।

 

প্রশ্ন ) ‘অস্ত্র ফ্যালাে’–এই শব্দটি কবিতায় বারবার ব্যবহৃত হয়েছে কেন?

 

উত্তর : ‘অস্ত্র’ কবিতায় মােট তিনবার ব্যবহৃত হয়েছে। কবি এই সামান্য উচ্চারণের তির্যক প্রকাশে, জীবনের ওপর অস্ত্রের নিষ্ঠুর অভিঘাতকে নিষিদ্ধ ঘােষণা করেছেন।

 

প্রশ্নঃ। “তােমার নিয়ে বেড়াবে গান’-গান কাদের নিয়ে  কোথায় বেড়াবে?

 

উত্তর : যে সমস্ত মানুষ মানবতা ও শান্তির ধর্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে অস্ত্র ত্যাগ করেছে, গান তাদের উদার-উন্মুক্ত পরিবেশে নিয়ে যাবে। অর্থাৎ নদীতে, দেশ-গাঁয়ে যাবে।

 

 

 

প্রশ্ন ) ‘গানের বর্ম আজ পরেছি গায়ে’—কবি কেন গানের বর্ম গায়ে পরেছেন?

 

উত্তর : অস্ত্রনির্ভর মানুষের আস্ফালনে পৃথিবী আজ সংকটাপন্ন। এই দুঃসময়ে নিজেকে এবং পৃথিবীকে রক্ষার স্বার্থেকবি গায়ে গানের বর্ম পরেছেন।

 

প্রশ্ন )) হাত নাড়িয়ে বুলেট তাড়াই’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

 

উওর : গানের হাতিয়ার হাতে নিয়ে কবি সংঘবদ্ধ শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। এই সংঘবদ্ধ শক্তির কাছে বুলেট পরাজিত, মশা-মাছির মতাে তুচ্ছ, এ কথাই বলতে চেয়েছেন। –

 

প্রশ্ন ) ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় ‘অস্ত্র’ ও ‘গান’ শব্দ দুটি মােট কত বার করে আছে?

 

উত্তর : কবি জয় গােস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’কবিতায় ‘অস্ত্র’ শব্দটি ছয় বার এবং ‘গান’ শব্দটি সাত বার ব্যবহার করা হয়েছে।

 

— প্রশ্ন ) ‘মাথা কত শকুন বা চিল-শকুন বা চিল’ কথাটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

 

অথবা, ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় চিল, শকুন কীসের প্রতীক?

 

উত্তর : কবি জয় গােস্বামী ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’কবিতায় শকুন বা চিল’ বলতে বুঝিয়েছেন স্বার্থান্ধ, নিষ্ঠুর, লােভী, ধূর্ত, অস্ত্রনির্ভর মানুষগুলিকে।

 

প্রশ্ন । ‘আঁকড়ে ধরে সে-খড়কুটো’-কবি খড়কুটো বলতে কী বুঝিয়েছেন? –

 

উত্তর : খড়কুটো বলতে বােঝায় বিচালি বা শুকনাে ঘাসকে। তাবে এখানে শব্দটি তুচ্ছার্থে অর্থাৎ, সামান্য কিছু বােঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। কবি খড়কুটোর মতােই দু-একটি গানের ওপর নির্ভরশীল।

 

– প্রশ্ন ) রক্ত মুছি – কবি কোথায় রক্ত মােছেন?

 

উঃ : ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি রক্ত মােছেন শুধু গানের গায়ে। তার্থাৎ সংগীতের মাধুর্যে তাস্ত্রকে ভোতা করে দেন।

 

 

প্রশ্ন ।  ‘আমার শুধু একটা কোকিল’-‘শুধু একটা কোকিল’ বলা হয়েছে কেন?

 

উত্তর : অস্ত্রনির্ভর হিংস্র মানুষের নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদে সামান্য সংগীত অসামান্য ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে, এই কথাই কবি ‘শুধু একটা কোকিল’কথাটির মাধ্যমে বুঝিয়েছেন।

 

প্রশ্ন। ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি কী আঁকড়ে ধরতে চান?

 

উত্তর : কবি জয় গােস্বামী তাঁর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় অস্ত্রের আস্ফালন প্রতিরােধ করতে তার জানা দু-একটা গানকেই খড়কুটোর মতাে আঁকড়ে ধরতে চান।

 

প্রশ্ন ) গান তাে জানি একটা দুটো’–একটা দুটো’ শব্দ ব্যবহার করে কবি কী ইঙ্গিত দিয়েছেন?

 

উত্তর : কবি জয় গােস্বামী ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’কবিতায় একটা দুটো’ শব্দটি প্রয়ােগ করে বুঝিয়েছেন যে তিনি অল্প গানই জানেন। এই অল্প গানের শক্তিতেই অস্ত্রের আস্ফালন প্রতিরােধ করবেন।

 

– প্রশ্ন ) বর্ম খুলে দ্যাখাে আদুড় গায়ে’—এখানে বর্ম কথাটির অর্থ কী?

 

উত্তর : বর্ম বলতে সাধারণত সৈনিকের দেহরক্ষার কঠিন আবরণকে বােঝায়। তবে এখানে শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে অস্ত্রনির্ভর ক্ষমতার আস্ফালন বা ক্ষমতার দম্ভকে বােঝাতে।

 

প্রশ্নঃ) ‘রক্ত মুছি শুধু গানের গায়ে-গানের গায়ে মোছার অর্থ কী?

 

উ : গানের গায়ে রক্ত মােছার অর্থ হলো অস্ত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ না করে সংগীতের মাধুর্যে শুভ চেতনা জাগ্রত করে অস্ত্রাঘাতকে নিষ্ক্রিয় করা। অর্থাৎ সুরমাধুর্যে অন্তরলােক আলােকিত করা।

 

– প্রশ্ন ) বর্ম খুলে দ্যাখাে আদুড় গায়ে’—‘আদুড় গায়ে কথাটি কী অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে?

 

উত্তর : ‘আদুড় গায়ে’ কথাটির সরলার্থ হলাে অনাবৃত শরীরে কিন্তু উদ্ধৃতাংশে পদমর্যাদাগত অহংকার বা ক্ষমতার দম্ভ বােঝাতে কথাটি ব্যবহৃত হয়েছে।

 

প্রশ্ন । ‘গান দাঁড়াল ঋষিবালক’-ঋষিবালকের মাথায় কী গোজা?

 

উত্তর : কবি জয় গােস্বামী ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা গানকে ঋষিবালকের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এই বালকের মাথা ময়ূরপালক গোঁজা।

 

প্রশ্ন । ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি কীসের সপক্ষতা করেছেন?

 

উত্তর : ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি অস্ত্রের বিরুদ্ধতা ও গানের অর্থাৎ, শান্তির সপক্ষতা করেছেন।

 

প্রশ্নঃ।। ‘রক্ত মুছি শুধু গানের গায়ে’–এর অর্থ কী?

 

উত্তর : কবি বিক্ষত অনুভবের রক্তকে গানের প্রশান্তি, বা প্রতিকারপরায়ণ ভাবের মধ্যে মুছে ফেলতে চান।

 

 

প্রশ্ন ।। কবি জয় গােস্বামীর কয়েকটি কাব্যের নাম করাে।

 

. উত্তর: কবি জয় গােস্বামীর কয়েকটি কাব্য হলাে—‘প্রত্নজীব’, ‘উন্মাদের পাঠক্রম’, ‘ভুতুমভগবান’, ‘ঘুমিয়েছ ঝাউপাতা’, ‘বজ্রবিদ্যুম্ভর্তি খাতা’, ‘পাগলী তােমার সঙ্গে প্রভৃতি। 

 

প্রশ্ন ) জয় গােস্বামী কোন্ শতকের কবি?

 

উত্তর : জয় গােস্বামী বাংলা সাহিত্যের কুড়ি-একুশ শতকের কবি।

 

প্রশ্নঃ।। অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’—এটি কী জাতীয় কবিতা?

 

উত্তর : কবি জয় গােস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’—একটি গীতিকবিতা।

 

প্র ) গানের দুটি পায়ে অস্ত্র রাখাে বলতে কী বলা হয়েছে?

 

উত্তর : গানের মতাে শান্তি ও আনন্দের কাছে স্ত্রবাজকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

 

 

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান

 

প্রশ্ন । ‘গানের বর্ম আজ পরেছি গায়ে-গানের বর্ন পরিধান করে কবি কোন্ কাজ করতে পারেন?

 

 

উত্তর : গানের বর্ম পরিধান করে কবি হিংসার বিরুদ্ধে সৌন্দর্য ও মানবতার অর্থাৎ, প্রাণের সৃষ্টিশীল ধর্মকে তুলে ধরতে চান।

 

প্রশ্ন) ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতাটি কবির কোন্ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?

 

উত্তর : কবি জয় গােস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতাটি তর ‘পাতার পােষাক’কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়েছে। কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে।

 

প্রশ্ন ) ‘অস্ত্র ফ্যালাে’-কবি অস্ত্র ফেলে দিতে বলেছেন – কেন?

 

উত্তর : অস্ত্র হিংসা, হানাহানি, রক্তপাত তথা ধ্বংসের প্রতীক মানুষকে নিষ্ঠুর, হিংস্র, নৃশংস করে তােলে অস্ত্র। তাই কবি মানুষে তথা পৃথিবীর কল্যাণার্থে অস্ত্র ফেলে দিতে বলেছেন।

 

প্রশ্ন ) ‘আমি এখন হাজার হাতে পায়ে’—হাজার হাতে পায়ে কথাটির অর্থ কী?

 

উত্তর : অস্ত্রের বিরুদ্ধে গানকে হাতিয়ার করে কবি শুভ চেতনসম্পন্ন মানুষদের সংঘবদ্ধ করে যে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরােধ গ. তুলেছেন উদ্ধৃতাংশে, তারই কথা বলেছেন।

 

প্রশ্ন ) ‘অস্ত্র ফ্যালাে, অস্ত্র রাখাে’—কোথায় অস্ত্র ফেলব কথা বলা হয়েছে? 

 

উত্তর : ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় মানবতাবাদী কবি জয় গােস্বামী মানবের কল্যাণার্থে গানের দুটি পায়ে অস্ত্র রাখতে বলেন অর্থাৎ প্রেম-মানবতার মন্ত্রে দীক্ষা নিয়ে অস্ত্র ত্যাগ করতে বলে।

 

প্রশ্ন ) ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি হাত নাড়িয়ে কী তাড়ান?

 

উত্তর : কবি জয় গােস্বামী তার ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতা জানিয়েছেন যে, তিনি হাত নাড়িয়ে বুলেট তাড়ান অর্থাৎ, নিরস্ত্রভাবে অস্ত্র প্রতিরােধ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *