বুদ্ধিবাদের মুখ্য প্রতিপাদ্য বিষয় গুলি আলোচনা করো Teacj Sanjib
বুদ্ধিবাদের মুখ্য প্রতিপাদ্য বিষয় গুলি আলোচনা করো Teacj Sanjib
বুদ্ধিবাদের মুখ্য প্রতিপাদ্য বিষয়:
বুদ্ধিবাদের মুখ্য প্রতিপাদ্য বিষয় (Main Tenets of Rationalism)
বুদ্ধিবাদের মুখ্য প্রতিপাদ্য বিষয়- বিভিন্ন বুদ্ধিবাদী দার্শনিকের মত আলােচনার পরিপ্রেক্ষিতে দেখা গেছে যে, তাদের মধ্যে কোনাে কোনাে বিষয়ে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পার্থক্য দেখা গেলেও, কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের ব্যাপারে তাঁরা সকলেই একমত হয়েছেন। এই ঐকমত্যের পরিপ্রেক্ষিতে যে সমস্ত বিষয় লাভ করা গেছে, সেগুলিকেই বুদ্ধিবাদের মুখ্য প্রতিপাদ্য বিষয়রূপে অভিহিত করা হয়।
বুদ্ধিপ্রসূত সামান্য ধারণাই সমস্ত জ্ঞানের উৎস:
জ্ঞান সম্পর্কিত বিষয়ে বুদ্ধিবাদের মুখ্য প্রতিপাদ্য বিষয় হল— বুদ্ধিই জ্ঞানলাভের মুখ্য উপায়। বুদ্ধি বা প্রজ্ঞা ছাড়া কখনােই যথার্থ বা প্রকৃত জ্ঞান লাভ করা যায় না। বুদ্ধি হল একটি স্বতন্ত্র মানসিক বৃত্তি, যার দ্বারা আমরা ধারণা’গঠন করতে সমর্থ হই। এই ধারণা থেকেই আমরা সমস্ত প্রকার জ্ঞান লাভ করি। বুদ্ধি ছাড়া ইন্দ্রিয় সংবেদনের বিষয়টিও হয়ে পড়ে অর্থহীন।
বুদ্ধিলব্ধ জ্ঞান সার্বিক এবং অভ্রান্ত:
বুদ্ধিবাদীরা দাবি করেন যে, একমাত্র বুদ্ধিদীপ্ত জ্ঞানই হল সার্বিক এবং অভ্রান্ত জ্ঞান (universal and infallible)। বুদ্ধিবাদীরা আরও দাবি করেন যে, জ্ঞান বলে যা দাবি করা হয়, তার এই দুটি বৈশিষ্ট্য থাকা অত্যন্ত জরুরি। কারণ তা না হলে, জ্ঞান ব্যক্তিগত বিশ্বাসের পর্যায়ে সংকুচিত হয়ে পড়ে। তাঁদের মতে, ইন্দ্রিয় সংবেদনলব্ধ জ্ঞান কখনােই সার্বিক এবং অভ্রান্ত নয়, এগুলি অবশ্যই আপতিক। কিন্তু প্রকৃত জ্ঞান যা তা অবশ্যই সর্বকালীন এবং সর্বক্ষেত্রে সমানভাবে সত্য।
জ্ঞানের মূল উৎস হিসেবে সহজাত ধারণা:
বুদ্ধিবাদী দার্শনিকেরা কতকগুলি সহজাত বা অন্তর ধারণাকে স্বীকার করেছেন এবং এও স্বীকার করেছেন যে, এই সহজাত ধারণাই হল সমস্ত প্রকার সুনিশ্চিত জ্ঞানের মূল উৎস। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যায় যে, নিত্যতার ধারণা, অসীমের ধারণা, পূর্ণতার ধারণা এবং পরমসত্তা তথা ঈশ্বরের ধারণা প্রভৃতি হল অন্তর ধারণা। এই সমস্ত ধারণাকে আমরা কখনােই অভিজ্ঞতার মাধ্যমে পেতে পারি , এগুলি একমাত্র বুদ্ধি বা প্রজ্ঞার দ্বারাই লভ্য।
যৌক্তিক সত্যতার প্রাপ্তি:
বুদ্ধিবাদী দার্শনিকেরা দাবি করেন যে, বুদ্ধির মাধ্যমে আমরা যে সত্যতা লাভ করি, তা হল—যৌক্তিক সত্যতা (logical truth)। এই যৌক্তিক সত্যতা ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার মাধ্যমে লভ্য নয়। ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আমরা যে সত্যের সন্ধান পাই, তা হল—আপতিক সত্য (contingent truth)। এগুলি অভিজ্ঞতার জগতে কখনও সত্য আবার কখনও মিথ্যা হতে পারে। যৌক্তিক সত্যতা কেবলমাত্র বুদ্ধির মাধ্যমেই পাওয়া যায়।
পদ্ধতি হিসেবে অবরােহ পদ্ধতি:
বুদ্ধিবাদীরা দাবি করেন যে, দর্শনের উদ্দেশ্য হল যথার্থ জ্ঞানলাভ এবং এই যথার্থ জ্ঞানলাভের প্রকৃত পদ্ধতি হল অবরােহ পদ্ধতি (deductive method)। বুদ্ধিবাদীরা আরও স্বীকার করেন যে, কতকগুলি স্বতঃসিদ্ধ নিয়মকে (axioms) বিনা বিচারে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত স্বতঃসিদ্ধ থেকে অবরােহ পদ্ধতির মাধ্যমে অপরাপর অনুসিদ্ধান্তগুলি পাওয়া যায়। ফলত সেক্ষেত্রে কোনােপ্রকার সন্দেহের অবকাশ থাকে না। অনুরূপভাবে, দর্শনতত্ত্বের ক্ষেত্রেও স্বতঃসিদ্ধরূপী সহজাত ধারণাসমূহকে স্বীকার করা হয় এবং এই সমস্ত স্বতঃপ্রমাণিত সত্য থেকে অবরােহ পদ্ধতিতে নিঃসন্দেহ জ্ঞানকে সিদ্ধান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
পূর্বতসিদ্ধ সংশ্লেষক বচন:
বুদ্ধিবাদীদের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিপাদ্য বিষয় হল পূর্বতসিদ্ধ সংশ্লেষক বচনের (synthetic a-priori proposition) প্রতিষ্ঠার প্রয়াস। অভিজ্ঞতাবাদীদের মতে, এই ধরনের বচন একেবারেই অসম্ভব। বুদ্ধিবাদীদের মতে, আমরা ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতায় যে জ্ঞান লাভ করি তা হল—‘পরতসিদ্ধ সংশ্লেষক’ (synthetic a-posteriori)। আবার অন্যদিকে আমরা বিশুদ্ধ বুদ্ধিলব্ধ যে সত্যজ্ঞান লাভ করি, হল ‘পূর্বতসিদ্ধ বিশ্লেষক’ (analytica-priori)। অনেক নরমপন্থী বুদ্ধিবাদী দার্শনিক জ্ঞানের তৃতীয় প্রকার তথা ‘পূর্বতসিদ্ধ সংশ্লেষক’ (synthetic a-priori) বচনকে স্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে, এই ধরনের বচন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই প্রকৃত জ্ঞান লাভ করা যেতে পারে।
অধিবিদ্যক জ্ঞান:
বুদ্ধিবাদীরা বস্তুসমূহের দুটি রূপ স্বীকার করেন। এদের মধ্যে একটি হল তার বাহ্যরূপ বা তাবভাস এবং অপরটি হল তার প্রকৃত সত্তা | বিজ্ঞান যেখানে অবভাসিত রূপের জ্ঞান দান করে, অধিবিদ্যা সেখানে প্রকৃত বস্তুসত্তার জ্ঞান দান করে। এই বস্তুসত্তা শুধুমাত্র বুদ্ধি বা প্রজ্ঞার দ্বারাই জানা সম্ভব, অভিজ্ঞতার মাধ্যমে নয়।
মানসিক প্রবণতা হিসেবে বুদ্ধি:
বুদ্ধিবাদীরা মনে করেন যে, মানুষ জন্মগ্রহণ করার সময় কোনাে স্পষ্ট বা
স্বচ্ছ জ্ঞান বা ধারণা নিয়ে জন্মগ্রহণ না করলেও, স্পষ্ট এবং প্রাঞ্জল ধারণা বা জ্ঞান লাভের একপ্রকার মানসিক
প্রবণতা বা সামর্থ্য (ability) নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। মানুষের এই জন্মগত প্রবণতা বা সামর্থ্যকে স্বীকার না করলে, মানুষের জ্ঞানের ক্ষেত্রে বিভেদকে ব্যাখ্যা করা যায় না।
বুদ্ধিবাদের সমালােচনা (Criticism of Rationalism)
জ্ঞানতাত্ত্বিক মতবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বুদ্ধিবাদের বিরুদ্ধে নীচের সমালােচনাগুলি এক ধরনের নির্বিচারবাদ: জ্ঞানের উৎপত্তি সংক্রান্ত মতবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বুদ্ধিবাদ এক ধরনের নির্বিচারবাদী (dogmatic) দার্শনিক তত্ত্বে পর্যবসিত হয়েছে। কারণ, বুদ্ধিবাদী দার্শনিকরা শুধুমাত্র বুদ্ধি বা প্রজ্ঞার ওপরই গুরুত্ব আরােপ করেছেন এবং অভিজ্ঞতাকে একেবারেই বর্জন করেছেন। কিন্তু শুধুমাত্র বুদ্ধির ওপর নির্ভর করেই আমাদের সমস্ত প্রকার জ্ঞান সম্ভব নয়। জ্ঞানের ক্ষেত্রে ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতারও যে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে—তা অস্বীকার করা যাবে কী করে? ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতাকে অস্বীকার করে, শুধুমাত্র বুদ্ধিবৃত্তির ওপর গুরুত্ব আরােপ করার কারণে বুদ্ধিবাদ’ নামক মতবাদটিকে একদেশদর্শী বলা চলে।
জ্ঞানের সীমানা সংকোচনকারী:
বুদ্ধিকেই জ্ঞানের একমাত্র উৎসরূপে অভিহিত করার মধ্য দিয়ে বুদ্ধিবাদের মাধ্যমে জ্ঞানের সীমাকেই সংকুচিত করা হয়। কারণ, শুধুমাত্র বুদ্ধির মাধ্যমে জ্ঞানের প্রকৃত অগ্রগতি সম্ভব নয়। জ্ঞানের ক্ষেত্রে অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন জ্ঞানরাজ্যে নতুন নতুন জ্ঞানের প্রবেশাধিকার ঘটে। জ্ঞানের এই নতুনত্ব আসে অভিজ্ঞতা থেকেই, বুদ্ধি থেকে নয়। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা জ্ঞানের ভাণ্ডারে নতুন নতুন সম্পদের জোগান দেয়। এর মূল্যকে অস্বীকার করা যায় না। কারণ, জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে সেটা হবে আত্মঘাতী।
অভিতাল জ্ঞানমাত্রই ভ্রান্ত বল। এক ধরনের কুপমণ্ডুকতা: বুদ্ধিবাদীরা বলেন যে, অভিজ্ঞতাল সমস্ত প্রকার জ্ঞানই ভ্রান্ত, কারণ তা স্থান, কাল এবং পাত্রভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। কিন্তু বুদ্ধিবাদীদের এই অভিযোেগ সার্বিকভাবে গ্রহণযােগ্য নয়। এও এক ধরনের চরমপন্থী মতবাদ এবং সে কারণেই তা পরিত্যাজ্য। অভিজ্ঞতালব্ধ বহু জ্ঞানই সত্য জ্ঞান এবং তা মানুষের জ্ঞানের ভাণ্ডার পূর্ণ করে।
নবজাত ধারণার সর্বজনীনতার অভাব
বুদ্ধিবাদের মূলতত্ত্বটি সহজাত ধারণা বা অন্তর ধারণার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু সহজাত ধারণাও কোনাে সন্দেহাতীত ধারণারূপে পরিগণিত হতে পারে না। প্রখ্যাত অভিজ্ঞতাবাদী দার্শনিক জন লক (Locke) সহজাত ধারণার বিরুদ্ধে কঠোর সমালােচনা করেছেন। তার মতে, সহজাত বা অন্তর ধারণা যদি থাকতই, তাহলে সেগুলিকে সবাই সমানভাবে গ্রহণ করত এবং সেগুলি সম্পর্কে সকলেই সমানভাবে সচেতন হত। কিন্তু আমরা এমন কোনাে ধারণা পাই না, যা সকলের ক্ষেত্রে সমভাবে গ্রহণীয়।
ও সাবির্ক ধারণাই সহজাত না; আবার সকলের মধ্যে কোনাে ধারণা উপস্থিত থাকলেই যে তা সহজাত ধারণারূপে গৃহীত হবে, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যায় যে, জল, বায়ু প্রভৃতির ধারণা সকলের মধ্যেই রয়েছে। এক্ষেত্রে বলা যায়, জল হল তরল পদার্থ এবং তা তৃষা নিবারণ করে, বায়ু হল বায়বীয় পদার্থ এবং তা শ্বাস-প্রশ্বাসে সহায়ক ইত্যাদি। এই বিষয়গুলি সকলেই জানে কিন্তু তাই বলে এগুলিকে সহজাত বলা সংগত নয়। এর কারণ হল, এগুলি সার্বিক হলেও সকলের মধ্যে সম্পূর্ণ সমভাবে উপস্থিত নয়। সহজাত হতে গেলে এই ধারণাগুলি সকলের মধ্যে অবশ্যই সমভাবে থাকতে হবে।
গাণিতিক পদ্ধতি প্রয়োগের ব্যর্থতা:
বুদ্ধিবাদী দার্শনিকেরা দর্শনের ক্ষেত্রে যে গাণিতিক পদ্ধতি প্রয়ােগ করেছে, তাও সম্পূর্ণভাবে গ্রহণযােগ্য নয়। কারণ দর্শনের ক্ষেত্রে আমরা যে জ্ঞানলাভ করি সেই ধরনের জ্ঞান িগণিতের ক্ষেত্রে আমরা লাভ করি না। গাণিতিক জ্ঞান হল সংখ্যাবাচক এবং অমূর্ত (numerical and abstract) কিন্তু দর্শনের মাধ্যমে প্রাপ্ত জ্ঞান জীবন ও জগৎ সম্পর্কে মূর্তজ্ঞান বা যথার্থ উপলদ্ধিগত জ্ঞান। সুতরাং দর্শনের পদ্ধতি এবং গণির পদ্ধতি এক হওয়া উচিত না। গণিতের ক্ষেত্রে অবরােহ পদ্ধতিতে অনুসন্ধান করা যথার্থ দর্শন জীবন ও জগৎকে যেভাবে জানতে চায়, তাতে অবরােহ পদ্ধতিকে গ্রহণ করলে জ্ঞানের গতি বুদ্ধ হয়ে পড়ে।
বুদ্ধিবাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম সমালােচনার সুযােগ থাকলেও বুদ্ধিবাদের কোনােরুপ মূল্য নেই, কোনাে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেই—এমন কথা কখনােই বলা যায় না।
বুদ্ধিবাদ প্রথম স্বীকৃত মতবাদ :
জ্ঞানতাত্ত্বিক মতবাদ হিসেবে বুদ্ধিবাদই হল প্রথম স্বীকৃত মতবাদ। বুদি জ্ঞানতত্ত্বকে দর্শনচর্চার ক্ষেত্রে স্বমহিমায় উপস্থিত করেছে। তা ছাড়াও বলা যায় যে, জ্ঞানের উৎপত্তির ব্যাপারে যে বুদ্ধির কোনাে ভূমিকাই নেই—এমন দাবিও করা যায় না। বরং বলা যেতে পারে যে, জ্ঞানােপত্তির ক্ষেত্রে বুদ্ধির অনবদ্য ভূমিকাকে কখনােই অস্বীকার করা যায় না।
বুদ্ধি দ্বারা ব্যাখ্যাত জ্ঞানই জ্ঞান পদবাচ্য:
ইন্দ্রিয় সংবেদন দ্বারা অনেক সময় জ্ঞান পাওয়া যায় ঠিকই কিন্তু ইন্দ্রিয় সংবেদন দ্বারা প্রাপ্ত জ্ঞান যদি বুদ্ধির দ্বারা ব্যাখ্যাত না হয়, তবে তা কখনােই অজ্ঞান-পদবাচ্য হতে পারে না। বুদ্ধিবাদ এই দিকটির ওপর সঠিকভাবেই আলােকপাত করেছে।
বুদ্ধির দ্বারাই আকার লাভ সম্ভব:
জ্ঞানের ক্ষেত্রে যে দুটি বিষয় বিদ্যমান—একটি হল তার উপাদান (matter) এবং অপরটি হল তার আকার (form)। জ্ঞানের প্রথম উপাদানটি আমরা পাই ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার সাহায্যে, কিন্তু দ্বিতীয় উপাদানটি পাই বুদ্ধির মাধ্যমে। নিছক ইন্দ্রিয় সংবেদনকে কখনােই জ্ঞানরূপে অভিহিত করা যায় না, যদি না বুদ্ধি তার বৌদ্ধিক ক্ষমতাবলে তাকে আকার প্রদান করে। জ্ঞানের উপাদান তাই বুদ্ধির দ্বারা আকারপ্রাপ্ত হয়েই ‘জ্ঞান’ রূপে মূর্ত হয়ে ওঠে। এখানেই বুদ্ধিবাদের সার্থকতা।
বুদ্ধির দ্বারাই সার্বিক ও শাশ্বত জ্ঞানলাভ সম্ভব:
জ্ঞানােপত্তির ক্ষেত্রে বুদ্ধির অবদান আছে বলেই মানুষ সার্বিক এবং শাশ্বত জ্ঞান লাভ করতে সমর্থ হয়। সুতরাং বলা যায় যে, বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি সত্ত্বেও বুদ্ধিবাদ জ্ঞানের উৎপত্তির ক্ষেত্রে একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই মতবাদের প্রাসঙ্গিকতা আজও যথেষ্ট।