Class 8

আঞ্চলিক শক্তির উত্থান: ক্লাস 8 ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর সংক্ষিপ্ত

আঞ্চলিক শক্তির উত্থান: ক্লাস 8 ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি

সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলি

আঞ্চলিক শক্তির উত্থান এই অধ্যায়ের ছোট প্রশ্ন, MCQ প্রশ্ন উওর, অনুশীলনী প্রশ্ন উওর আলোচনা করা হয়েছে।

আঞ্চলিক শক্তির উত্থান ছোট প্রশ্ন

প্রশ্ন 1

marks 2

আঞ্চলিক-শক্তির-উত্থান-ক্লাস-8-ইতিহাস-দ্বিতীয়-অধ্যায়-প্রশ্ন-উত্তর-সংক্ষিপ্ত

প্রশ্ন 1. ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর কেন কৃষক বিদ্রোহ দেখা যায় ?

ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পরে ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা, মূলত জায়গিরদারি ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পরে। ভূমিরাজস্বের হিসাব ছাড়াও সাম্রাজ্যের আয়-ব্যয়ে নানা গরমিল দেখা দিলে চাপ সৃষ্টি হয় কৃষিব্যবস্থার ওপর। সেই চাপের প্রতিবাদেই একাধিক কৃষক বিদ্রোহ দেখা যায়।

প্রশ্ন 2. উত্থান ঘটে? মুঘল শাসনকালের শেষলগ্নে কীভাবে আঞ্চলিক শক্তিগুলির

● অভ্যন্তরীণ দুর্বলতার ফলে মুঘল শাসনকালে বহু আঞ্চলিক ও প্রায়স্বাধীন রাজ্য গড়ে ওঠে। এগুলির মধ্যে ছিল নিজাম-উল-মুলকের নেতৃত্বে হায়দরাবাদ, সাদাত খানের নেতৃত্বে অযোধ্যা এবং মুরশিদকুলি খানের নেতৃত্বে বাংলা। আঞ্চলিক ও প্রায়-স্বাধীন রাজ্যগুলি মৌখিকভাবে সম্রাটের আনুগত্য মেনে নিলেও তাদের স্বাধীন আচরণ বিচ্ছিন্নতাবাদকে মদত দিয়েছিল।

প্রশ্ন 3 অষ্টাদশ শতকে আঞ্চলিক শক্তির উত্থানের ফলে রাজনৈতিক দিক থেকে কী পরিবর্তন দেখা যায় ?

> অষ্টাদশ শতকে বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তির উত্থানের ফলে রাজনৈতিক ক্ষমতা বিকেন্দ্রীভূত হয়। তবে মুঘল শাসনব্যবস্থা সেই সময় দুর্বল হলেও, মুঘল রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে পড়েনি। বরং শক্তিগুলির মধ্যে দিয়ে তা টিকেছিল।

প্রশ্ন 4 “শেষদিকে মুঘল দুর্বলতাগুলি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল”—বিশ্লেষণ করো।

ঔরঙ্গজেবের উত্তরাধিকারীদের অযোগ্যতার ফলে মুঘল সামরিক ব্যবস্থার অবনতি ঘটে এবং সাম্রাজ্যের ভেতরে বিদ্রোহ দেখা দেয়। শিবাজির নেতৃত্বে মারাঠাদের আক্রমণ মুঘল শাসনকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। এভাবেই মুঘল সাম্রাজ্যের দুর্বলতাগুলি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

প্রশ্ন 5 *আঞ্চলিক শক্তিগুলি কি মুঘল কর্তৃত্বকে অস্বীকার করতলিক শক্তিগুলি কি মুঘল বিশ্লেষণ করো।

• আঞ্চলিক শক্তিগুলি সরাসরি মুঘল কর্তৃত্বকে অস্বীকার করেনি। তারা মৌখিকভাবে মুঘল কর্তৃত্বের বৈধতাকে মেনে চলত। এ ছাড়াও তারা নিজেদের শাসনকে মান্যতা দেওয়ার জন্য মুঘল সম্রাটের অনুমোদন চাইত।

প্রশ্ন 6. অষ্টাদশ শতকে বাংলায় দুজন প্রভাবশালী বণিকের নাম লেখো?

অষ্টাদশ শতকে বাংলায় দুজন প্রভাবশালী বণিক ছিলেন জগৎ শেঠ ও উর্মি চাঁদ। জগৎ শেঠদের মুদ্রা তৈরি, মহাজনি ব্যাবসা, ব্যাংক ব্যবস্থা প্রভৃতির কারবার ছিল। ঊর্মি চাদদের মহাজনি ব্যাবসা-সহ একাধিক ব্যাবসা ছিল।

প্রশ্ন 7 * মুঘল সম্রাটের সঙ্গে হায়দরাবাদ রাজ্যের শাসকদের সম্পর্কের স্বরূপ বিশ্লেষণ করো।

মুঘল প্রাদেশিক শাসক মুবারিজ খান প্রায় স্বাধীন শাসকের মতো হায়দরাবাদ শাসন করতেন। পরে আসফ ঝা (নিজাম-উল-মুলক) হায়দরাবাদে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন। আরও পরে (নিজাম-উল-মুলক) মুঘল কর্তৃত্বকে অস্বীকার না করেও স্বাধীনভাবেই হায়দরাবাদে শাসন করা শুরু করেন।

প্রশ্ন ৪. ‘দস্তক’ কী ?

‘দস্তক’ হল বিনা শুল্কে বাণিজ্য করার ছাড়পত্র। মুঘল সম্রাট ফারুকশিয়র ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে একটি ফরমান জারির মাধ্যমে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে দত্তক বা শুল্কহীন বাণিজ্য করার অধিকার দেন। এই ছাড়পত্র দেখিয়ে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় বিনা শুল্কে বাণিজ্য চালাতে থাকে।

প্রশ্ন 9 ফারুকশিয়রের ফরমানের দুটি শর্ত লেখো।

• ফারুকশিয়রের ফরমানের দুটি শর্ত হল —

[1] ব্রিটিশ কোম্পানি বছরে মাত্র ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে বাংলায় বাণিজ্য করতে পারবে। কিন্তু এই বাণিজ্যের জন্য কোম্পানিকে কোনো শুল্ক দিতে হবে না।

[2] বাংলার নবাবের মুরশিদাবাদ টাকশাল প্রয়োজনে কোম্পানি ব্যবহারের অধিকার পায়।

প্রশ্ন 10 ফারুকশিয়রের ফরমান কীভাবে কোম্পানিকে লাভবান করেছিল?

ফারুকশিয়রের ফরমানে বলা হয়েছিল কেবল ব্রিটিশ কোম্পানি পণ্যের ওপর শুল্ক ছাড় পাবে। এর ফলে কোম্পানি বিনা শুল্কে বাণিজ্যের মাধ্যমে অধিক পরিমাণে লাভ করার সুযোগ পায় ।

প্রশ্ন 11 *আলিনগরের সন্ধির শর্তগুলি কী ছিল ?

১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলার নবাব সিরাজ-উদদৌলা ও ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে আলিনগরের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। আলিনগরের সন্ধির শর্তানুযায়ী ঠিক হয় যে

[1] কলকাতায় ইংরেজ কোম্পানির দুর্গ নির্মাণে নবাব বাধা দেবেন না,
[2] কোম্পানির বিনা শুল্কে বাণিজ্যের অধিকার নবাব মেনে নেবেন,
[3] কলকাতা আক্রমণের ফলে কোম্পানির যে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল নবাব তার ক্ষতিপূরণ দেবেন এবং
[4] কোম্পানি কলকাতায় নিজের টাঁকশাল গঠন অর্থাৎ নিজস্ব মুদ্রা প্রবর্তনের অধিকার পাবে

প্রশ্ন 12 আলিনগরের সন্ধির ফল কী হয়েছিল?

আলিনগরের সন্ধির ফলে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তার বাণিজ্যিক অধিকারগুলি ফিরে পায়। পাশাপাশি নবাব ব্রিটিশ কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দেন। তা ছাড়া কলকাতায় ব্রিটিশ কোম্পানি দুর্গ তৈরি এবং নিজেদের সিক্কা (মুদ্রা) তৈরির করার ক্ষমতা পায়।

প্রশ্ন 13

পলাশির লুণ্ঠন কাকে বলে ? অথবা, ‘পলাশির লুণ্ঠন’ বলতে কী বোঝ ?

পলাশির যুদ্ধের পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বিভিন্ন অজুহাতে মিরজাফরের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা অর্থ আদায় করে। কোম্পানির তরফে এই অর্থ আত্মসাৎকে পলাশির লুণ্ঠন বলা হয় ।

আঞ্চলিক শক্তির উত্থান :

অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলি

প্রশ্ন 14 * কোন্ ঘটনার পরিণতি হিসেবে বাংলায় ব্রিটিশ কোম্পানির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে তুমি মনে কর?

সিরাজ-উদদৌলা বাংলার নতুন নবাব হলে তাঁর সঙ্গে ব্রিটিশ কোম্পানির সংঘাত বাঁধে। আমার ধারণায় এই সংঘাতের পরিণতি হিসেবেই বাংলায় ব্রিটিশ কোম্পানি কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

প্রশ্ন 15 _ * কেন ইংরেজ কোম্পানি মিরজাফরকে সরিয়ে মিরকাশিমকে বাংলার নবাব পদে বহাল করে ?

ক্লাইভ ইংল্যান্ডে চলে যাওয়ায় ব্রিটিশ কোম্পানির অনেক কর্তা বক্তি মিরজাফরকে ক্ষমতা থেকে সরাতে উদ্যোগ নেন। তা ছাড়া কোম্পানির অর্থনৈতিক দাবি পূরণে মিরজাফর অপারগ ছিলেন। তাই কোম্পানি মিরজাফরকে সরিয়ে তাঁর জামাই মিরকাশিমকে বাংলার নবাব পদে বহাল করে।

আঞ্চলিক শক্তির উত্থান অনুশীলনী :

নীচের বাক্যগুলির কোটি ঠিক কোটি ভুল লেখো

প্রশ্ন

1. নিজেদের শাসনকে মান্যতা দেওয়ার জন্য আঞ্চলিক শাসকেরা মুঘল সম্রাটের অনুমোদন চাইত না]

ভুল।

2. মুঘল আমলের শেষের দিকে ভূমিরাজস্বের হিসাবে গরমিলের ফলে সাম্রাজ্যের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

ঠিক।

3. অষ্টাদশ শতকের মুঘল সম্রাটরা বিশেষ কোনো সামরিক সংস্কার করেননি।

ঠিক

4. একজন বিখ্যাত আফগান শাসক ছিলেন নাদির শাহ ।

ঠিক।

5. মুরশিদকুলি সুবা বাংলার দেওয়ান ও নাজিম দুই-ই ছিলেন।

ঠিক।

6. সিরাজ-উদদৌলার প্রধান সেনাপতি ছিলেন মোহনলাল।

ভুল।

7. নবাব সিরাজ-উদ্ দৌলার ব্যক্তিগত দূত ছিলেন নারায়ণ দাস।

ঠিক।

৪. ফারুকশিয়রের ফরমান বাংলার নবাব ও ব্রিটিশ কোম্পানির মধ্যে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংঘাতের সূচনা করে ।

ঠিক

9. সফদর জং মারা যাওয়ার পর সুজা-উদ-দৌলা অযোধ্যার শাসক হন ।

ঠিক

10. মিরজাফরের মৃত্যুর পর মিরকাশিম বাংলার নবাব হন ।

ভুল।

11. বিদারার যুদ্ধ হয়েছিল ওলন্দাজ ও ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে।

ঠিক

 

সঠিক তথ্য: 1. নিজেদের শাসনকে মান্যতা দেওয়ার জন্য আঞ্চলিক শাসকেরা মুঘল সম্রাটের অনুমোদন চাইত । 6. সিরাজ-উদদৌলার প্রধান সেনাপতি ছিলেন মিরজাফর। 10. মিরজাফরের মৃত্যুর পর নজম-উদ্ দৌলা বাংলার নবাব হন।

ঠিক

শূন্যস্থান পূরণ করো

1. ভারতে পারসিক আক্রমণের নেতৃত্ব দেন ___

নাদির শাহ।

2. আহমেদ শাহ আবদালি ছিলেন •__

আফগান।

3. স্বাধীন বাংলা রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন—-মুরশিদকুলি খান/আলিবর্দি খান/সুজাউদ্দিন খান)।

মুরশিদকুলি খান

4. (ওয়েলেসলি/কর্নওয়ালিশ/বেন্টিঙ্ক) এর সময় বর্গি দস্যুদের দমন করা হয়েছিল।

বেন্টিঙ্ক

5. ১৭২২ খ্রিস্টাব্দে – –এর নেতৃত্বে অযোধ্যা একটি স্বশাসিত আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে গড়ে ওঠে।

সাদাৎ খান।

6. বার্ষিক ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে কোম্পানিকে বাংলায় নিঃশুল্ক বাণিজ্যের অধিকার প্রদান করা হয় ___ সালে। (১৬০৫/১৭০৭/১৭১৭/১৭৫৭)।

১৭১৭।

7. সিরাজের কলকাতা আক্রমণকালে ইংরেজ গভর্নর ছিলেন। ড্রেক/ক্লাইভ/ওয়েলেসলি)।

ড্রেক।

৪. কলকাতা দখল করে সিরাজ তার নাম দেন __

আলিনগর।

9. আলিনগরের সন্ধি হয়েছিল। (মিরজাফর ও ব্রিটিশ কোম্পানির মধ্যে/সিরাজ ও ব্রিটিশ কোম্পানির মধ্যে/ মিরকাশিম সিরাজ

সিরাজ ও ব্রিটিশ কোম্পানির মধ্যে।

একটি বাক্যে উত্তর দাও

[] 1. কবে থেকে মুঘল শাসনে সমস্যা দেখা দেয় ?

• সম্রাট জাহাঙ্গির ও শাহজাহানের শাসনকাল থেকেই মুঘল শাসন কাঠামোয় ছোটো-বড়ো সমস্যা দেখা দেয়।

2. ঔরঙ্গজেবের মৃত্যু ও পলাশির যুদ্ধের মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উত্থান—এই দুইয়ের মধ্যে ব্যবধান ছিল কত বছর ?

উওর:-

ঔরঙ্গজেবের মৃত্যু ও পলাশির যুদ্ধের মাধ্যমে ভারতীয় উপহাদেশে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উত্থান—এই দুইয়ের মধ্যে ব্যবধান ছিল ৫০ বছর।

3. কোন্ মুঘল সম্রাট মুরশিদকুলি খানকে ‘বাংলার দেওয়ান’ হিসেবে পাঠিয়েছিলেন?

মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব মুরশিদকুলি খানকে ‘বাংলার দেওয়ান’ হিসেবে পাঠিয়েছিলেন।

4. ১৭৫৬-৫৭ খ্রিস্টাব্দে কার আক্রমণে দিল্লি শহর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ?

Q ১৭৫৬-৫৭ খ্রিস্টাব্দে আহমদ শাহ আবদালির নেতৃত্বে আফগান আক্রমণে দিল্লি শহর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।

5. মুরশিদকুলির আমলে সুবা বাংলার অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কার হাতে ছিল ?

• মুরশিদকুলির আমলে সুবা বাংলার কোশাগার ও টাঁকশালের নিয়ন্ত্রণ পরোক্ষভাবে জগৎ শেঠের হাতেই ছিল।

6. খোজা ওয়াজিদ কে ছিলেন?

> খোজা ওয়াজিদ ছিলেন আঠারো শতকের মধ্যভাগে সুরা বাংলার একজন আর্মেনীয় ব্যবসায়ী।

7. জগৎ শেঠদের মূল ব্যাবসাটি কী ছিল ?

● জগৎ শেঠদের মূল ব্যাবসাটা ছিল মুদ্রা তৈরি ও মহাজনি ব্যাবসা।

৪. ‘বণিক রাজা’ কাদের বলা হয় ?

আঠারো শতকে সুবা বাংলায় উমিচাঁদ, খোজা ওয়াজিদ, জগৎ শেঠ প্রমুখ বণিকগণকে ‘বণিক রাজা’ বলা হয়।

9. মুরশিদকুলির পর সুবা বাংলার কার হাতে কীভাবে যায় ?

১৭২৭ খ্রিস্টাব্দে মুরশিদকুলির মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরাধিকারীদের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে গোলযোগ বাঁধে এবং সেই পরিস্থিতিতে জগৎ শেঠ ও কয়েকজন ক্ষমতাবান জমিদারের মদতে তাঁর সেনাপতি আলিবর্দি খান সুবা বাংলার ক্ষমতা দখল করেন।

10. আলিবর্দি খান কার সেনাপতি ছিলেন ?

● নবাব মুরশিদকুলি খানের সেনাপতি ছিলেন আলিবর্দি খান।

11. ‘মহারাষ্ট্র পুরাণ’ গ্রন্থটি কে রচনা করেছিলেন?

● ‘মহারাষ্ট্র পুরাণ’ গ্রন্থটি রচনা করেছিলেন কবি গঙ্গারাম।

12. বাংলায় বর্গি আক্রমণকালে বাংলার নবাব কে ছিলেন?

বর্গি আক্রমণকালে বাংলার নবাব ছিলেন আলিবর্দি খান।

13. বর্গি আক্রমণ কাকে বলে ?

১৭৪২ থেকে ১৭৫১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বাংলা ও উড়িষ্যার বিভিন্ন অঞ্চলে মারাঠাদের লুঠতরাজ ও আক্রমণকে বর্গি আক্রমণ বলে।

14. আলিবর্দি খান কবে মারা যান?

• ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে আলিবর্দি খান মারা যান।

15. ১৭২৪ খ্রিস্টাব্দে কে হায়দরাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন ?

চিন কুলিচ খান মুঘল সম্রাট ফারুকশিয়রের কাছ থেকে নিজাম-উলমুলক এবং সম্রাট মহম্মদ শাহের কাছ থেকে আসফ ঝা উপাধি নিয়ে ১৭২৪ খ্রিস্টাব্দে হায়দরাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।

16. চিন কুলিচ খান কে ছিলেন?

] ● মুঘল দরবারে এক শক্তিশালী অভিজাত, তথা হায়দরাবাদ রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মির কামার উদ্‌দিন সিদ্দিকি এবং সম্রাট ঔরঙ্গজেব তাঁকে চিন কুলিচ খান উপাধি দেন।

17. আনুষ্ঠানিকভাবে হায়দরাবাদ যে মুঘল কর্তৃত্ব স্বীকার করেছিলেন তার একটি প্রমাণ দাও।

● আনুষ্ঠানিকভাবে হায়দরাবাদ যে মুঘল কর্তৃত্ব স্বীকার করেছিল, তার একটি প্রমাণ হল সেখানে মুঘল সম্রাটের নামে মুদ্রার প্রচলন। 18. ফারুকশিয়র কাদের অনুকূলে ফরমান দিয়েছিলেন ?

● ফারুকশিয়র ব্রিটিশ বণিক কোম্পানির অনুকূলে ফরমান দিয়েছিলেন।

19. কেন বাংলায় দেওয়ান মুরশিদকুলির ফারুকশিয়রের ফরমান নাকচ করার অধিকার ছিল না ?

• মুরশিদকুলি সুবা বাংলায় প্রায় স্বাধীনভাবে শাসন করলেও তিনি মুঘল সম্রাটের অধীনে ছিলেন এবং তাই কোম্পানিকে দেওয়া ফারুকশিয়রের ফরমান মুরশিদকুলি নাকচ করতে পারতেন না ।

20. ব্রিটিশ কোম্পানির বণিকরা কীভাবে ফারুকশিয়রের ফরমানে দেওয়া দস্তকের অপব্যবহার করে ?

• ফারুকশিয়রের ফরমান অনুযায়ী শুধু ব্রিটিশ কোম্পানি পণ্যের ওপর শুল্ক ছাড় পাবে, কিন্তু কোম্পানির বণিকরা ব্যক্তিগত ব্যাবসাতেও দস্তকের অপব্যবহার করে নবাবের শুল্ক ফাঁকি দিত ।

21. ১৭৪৪ খ্রিস্টাব্দে মারাঠা আক্রমণের সময় আলিবর্দি খান ব্রিটিশ কোম্পানির কাছ থেকে কত লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন ?

১৭৪৪ খ্রিস্টাব্দে মারাঠা আক্রমণের সময় আলিবর্দি খান ব্রিটিশ কোম্পানির কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন।

22. বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব ছিলেন কে

স্বাধীন নবাব ছিলেন মুরশিদকুলি খান ।

23. বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব কে ?

[ > বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন সিরাজ-উদদৌলা।

24. অন্ধকূপ হত্যাকে কে অতিরঞ্জন বলে প্রমাণ করেছিলেন ?

● অন্ধকূপ হত্যাকে অক্ষয় কুমার মৈত্র অতিরঞ্জন বলে প্রমাণ করেছিলেন।

25. কোন্ সন্ধির ফলে ইংরেজ কোম্পানি তার বাণিজ্যিক অধিকারগুলি ফিরে পায় ?

● আলিনগর সন্ধি (১৭৫৭ খ্রি.)-র ফলে ইংরেজ কোম্পানি বাংলায় তার বাণিজ্যিক অধিকারগুলি ফিরে পায়।

26. আলিনগরের সন্ধি কবে স্বাক্ষরিত হয় ?

আলিনগরের সন্ধি ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে স্বাক্ষরিত হয়।

27. বাংলার প্রথম গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন ?

● বাংলার প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন ওয়ারেন হেস্টিংস।

28. পলাশির যুদ্ধ কবে হয় ?

১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জুন ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও বাংলার নবাব সিরাজ-উদদৌলার মধ্যে পলাশির যুদ্ধ হয়েছিল।

29. পলাশির যুদ্ধের পর সিরাজের কলকাতা আক্রমণের অজুহাতে কোম্পানি কত টাকা ক্ষতিপূরণ নেয় ?

• পলাশির যুদ্ধের পর সিরাজের কলকাতা আক্রমণের অজুহাতে কোম্পানি ১ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ নেয় ।

30. বাংলায় ব্রিটিশ বণিক ও বাণিজ্য কোম্পানি ছাড়া দুটি বিদেশি বণিক ও কোম্পানির নাম লেখো। [দিনহাটা হাই স্কুল]

বাংলায় ব্রিটিশ বণিক ও বাণিজ্য কোম্পানি ছাড়া দুটি বিদেশি বণিক কোম্পানির নাম হল—ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং আর্মেনীয় বণিক কোম্পানি।

31. ঢাকা নগরটি কী নামে পরিচিত ছিল ?

● ঢাকা নগরটি জাহাঙ্গিরনগর নামে পরিচিত ছিল।

32. মিরকাশিম কে ? [ফণিন্দ্রদেব ইনস্টিটিউশন]

● মিরকাশিম ছিলেন সুবা বাংলার শেষ স্বাধীনচেতা নবাব তথা মিরজাফর-এর জামাই।

আঞ্চলিক শক্তির উত্থান mcq:

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :

প্রশ্ন
1. মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব মারা যান

A ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে ® ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে © ১০৭৭ খ্রিস্টাব্দে © ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে

১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে

2. কত সালে নাদির শাহের নেতৃত্বে পারসিকরা দিল্লি শহর আক্রমণ করে? ¬ ১৭০৭-০৮ খ্রিস্টাব্দে ® ১৭৬৫-৬৬ খ্রিস্টাব্দে © ১৭৩৮-৩৯
খ্রিস্টাব্দে © ১৭৫৭-৫৮ খ্রিস্টাব্দে

১৭৫৭-৫৮ খ্রিস্টাব্দে ।

3. আঞ্চলিক শক্তির মধ্যে তিনটি প্রধান শক্তি ছিল—বাংলা, হায়দরাবাদ এবং–@ অযোধ্যা ® লখনউ © মহীশূর © দিল্লি

অযোধ্যা।

4. ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে মুরশিদকুলি খান ছিলেন বাংলার–@ দেওয়ান ® ফৌজদার © নবাব © জমিদার

দেওয়ান।

5. মুঘল সম্রাটের নিকট থেকে ‘জগৎ শেঠ’ উপাধি পান
উমিচাঁদ ® মানিকচাঁদ © ফতেচাঁদ D খোজাওয়াজেদ ®

উমিচাঁদ

6. মুরশিদাবাদের কাটরা মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন – ওয়াজেদ আলি ® সিরাজ-উদদৌলা © আলিবর্দি খান © মুরশিদকুলি খান

মুরশিদকুলি খান

7. আসফ ঝা উপাধি পেয়েছিলেন– আদিলবর্দি খান ® সাদাৎ খান © নিজাম-উল-মুলক © মিরজাফর ।

নিজাম-উল-মুলক।

৪. সফদর জং মারা যাওয়ার পর অযোধ্যার শাসক হন—@ সাদাত খান ® সুজা-উদ্‌ দৌলা © ওয়াজিদ আলি শাহ © বুরহান-উল-মুলক

সুজা-উদ্‌ দৌলা।

9. নিজাম-উল-মুলক হায়দরাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন A ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে ® ১৭২৪ খ্রিস্টাব্দে © ১৭২৮ খ্রিস্টাব্দে © ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে

১৭২৪ খ্রিস্টাব্দে

10. আলিবর্দি খানের সেনাপতি ছিলেন— মিরকাশিম ® মিরজাফর © সফদর জং © সিরাজ-উদ্ দৌলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *