অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতা mcq প্রশ্ন উত্তর
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতা mcq প্রশ্ন উত্তর
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতা
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতা এর গুরুত্বপূর্ণ mcq saq প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হয়েছে
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান
জয় গোস্বামী
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতা: ১ সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো
১.১ ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’—কবিতাটি কার লেখা?
(ক) জয় গোস্বামী (খ) শঙ্খ ঘোষ
(গ) শক্তি চট্টোপাধ্যায় (ঘ) সুভাষ মুখোপাধ্যায়
১ ২ জয় গোস্বামীর একখানি কাব্যের নাম-
(ক) একদা
(খ) পদাতিক
(গ) ভুতুমভগবান
(ঘ) মুখ ঢেকেছে বিজ্ঞাপনে
১.৩ ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’—কী ধরনের গান?
(ক) শান্তির গান
(গ) সুরের গান
(খ) অভয়ের গান
(ঘ) ফুলের গান
১.৪ ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতাটি কবির যে মূল কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে সেটি হলো—
(ক) পাগলি তোমার সঙ্গে
(খ) ঘুমিয়েছো ঝাউপাতা (গ) সন্ধ্যাফেরি
(ঘ) পাতার পোষাক
১.৫ ‘অস্ত্র ফ্যালো’—অস্ত্র কোথায় ফেলতে বলা হয়েছে ? (ক) নদীতে (গ) পায়ে (খ) আস্তাকুঁড়ে (ঘ) সমুদ্রে
১.৬ ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি হাত নাড়িয়ে যা তাড়ান তা হলো
(ক) বুলেট
(গ) চিল শকুন
(খ) মশা মাছি
(ঘ) কোকিল
১.৭ ‘আজ পরেছি গায়ে’—কী?
(ক) পুজোর জামা
(খ) গানের বর্ম (ঘ) শীতের পোশাক
(গ) পাতার পোশাক
১.৮ ‘গান তো জানি’–কবি গান জানেন(ক) কুড়ি-পঁচিশটি (খ) দু-তিনটি (গ) একটা-দুটো (ঘ) প্রচুর
১.৯ ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় মোট স্তবক আছে
(ক) ১টি
(গ) ৩টি
(খ) ২টি
(ঘ) ৪টি
১.১০ ‘আঁকড়ে ধরে সে-খড়কুটো’—এখানে খড়কুটো হলো
(খ) অস্ত্র (ক) বিষয় সম্পত্তি
(গ) গান
(ঘ) টাকা-পয়সা
১.১১ ‘রক্ত মুছি শুধু’—কবি রক্ত মোছেন—
(ক) জামায়
(গ) রুমালে
(খ) গানের গায়ে
(ঘ) প্যান্টে
১.১২ ‘মাথায় কত শকুন বা চিল’—কবি শকুন বা চিল বলতে বুঝিয়েছেন—
(ক) অস্ত্রধারীদের
(খ) স্বার্থান্ধ নৃশংস মানুষদের (গ) মিথ্যেবাদীদের
(ঘ) সুযোগসন্ধানী নিষ্ঠুর মানুষদের
mcq প্রথম ভাগের উত্তর
১.১ (ক) জয় গোস্বামী। ১.২ (গ) ভুতুমভগবান। ১.৩ (ক) শান্তির গান। ১.৪ (ঘ)পাতার পোষাক।১.৫(গ) পায়ে। ১.৬ (ক) বুলেট। ১.৭ (খ) গানের বর্ম। ১.৮ (গ) একটা-দুটো। ১.৯ (গ) ৩টি। ১.১০ (গ) গান। ১.১১ (খ) গানের গায়ে। ১.১২ (ঘ) সুযোগসন্ধানী নিষ্ঠুর মানুষদের।
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতা: দ্বিতীয় ভাগ mcq প্রশ্ন উত্তর
১.১৪ ‘গান দাঁড়াল’—কী রূপে?
ক) রাখাল বালক (গ) ঋষিবালক
(খ) কিশোর বালক (ঘ) দুরন্ত বালক
১.১৩ ‘আমার শুধু একটা — শূন্যস্থান পূরণ করো
ক) কোকিল (গ) চিল ‘ (খ) শকুন (ঘ) অস্ত্র
১.১৫ ঋষিবালকের মাথায় কী গোঁজা?
ক) আমের পল্লব
(গ) গাঁদা ফুল
(খ) ময়ূরপালক
(ঘ) জবা ফুল
১.১৬ ‘তোমায় নিয়ে বেড়াবে গান’—কোথায় বেড়াবে?
(খ) মাঠে মাঠে (ক) বনে-জঙ্গলে
(গ) ঘাটে ঘাটে
(ঘ) নদীতে, দেশগাঁয়ে
১.১৭ ‘গান বাঁধবে সহস্ৰ উপায়ে’—কে গান বাঁধবে?
(ক) ঋষিবালক
(গ) কোকিল
(খ) শকুন
(ঘ) গীতিকার
১.১৮) ‘রাখো গানের দুটি পায়ে’—গানের দুটি পায়ে রাখতে বলা হয়েছে
(ক) অস্ত্র
(গ) বর্ম
(খ) ময়ূরপালক
(ঘ) খড়কুটো
১.১৯> কোকিল গান বাঁধবে—
(ক) শত উপায়ে
(গ) অজস্র উপায়ে
(খ) সহস্ৰ উপায়ে
(ঘ) একটি উপায়ে
১.২০ ‘বর্ম খুলে দ্যাখো আদুড় গায়ে’—‘আদুড় গায়ে’ কথাটির অর্থ হলো
(ক) আর্দ্র শরীরে (খ) আবৃত শরীরে
(গ) অনাবৃত শরীরে ঘ) আদরমাখা শরীরে
১.২১ ‘এগিয়ে আসি, উঠে দাঁড়াই’—কবি কীভাবে উঠে আসেন?
(ক) দু-হাত তুলে (খ) সক্রোধে (গ) হাজার হাতে পায়ে (ঘ) ধীরস্থিরভাবে
১.২২ ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি অস্ত্রকে কোথায় রাখতে বলেছেন(খ) অস্ত্রাগারে (ক) গানের দুটি পায়ে (গ) ঈশ্বরের বেদিতে (ঘ) শাসকের পদতলে
১.২৩ ‘তোমায় নিয়ে বেড়াবে গান’—এখানে তোমায় বলতে বোঝানো হয়েছে?
(ক) অস্ত্রধারী যুদ্ধবাজকে (খ) অস্ত্রহীন শান্তিপ্রিয় মানুষকে (গ) সৈনিককেঘ) ঋষিবালককে
১.২৪ কবি ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় গানকে তুলনা
(ক) খাবারের সঙ্গে (খ) বর্মের সঙ্গেগ) পশুর সঙ্গে (ঘ) সেনার সঙ্গে
১.২৫ ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কোন্ পালকের কথা আছে?
(ক) হাঁস
(গ) পায়রা
(খ) মুরগি
(ঘ) ময়ূর
১.২৬ আঁকড়ে ধরে সে-খড়কুটো—এখানে কে খড়কুটো আঁকড়ে ধরেন?
(ক) বালক
(গ) কবিতার কথক
(খ) ঋষিবালক
ঘ) নায়ক
১.২৭ কবিতায় ক-টি পাখির নামের উল্লেখ আছে?
(ক) দুটি (গ) পাঁচটি
(খ) তিনটি
(ঘ) ছয়টি
১.২৮ ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় ঋষিবালক রয়েছে—
(ক) কথক হিসেবে
(খ) নায়ক হিসেবে
(গ) রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে
(ঘ) পরিত্রাতা হিসেবে
১.২৯ ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতার চরণ সংখ্যা—
(ক) ১০টি
(খ) ১৪টি
(গ) ১৬টি
(ঘ) ১৮টি
১.৩০ কোটি জয় গোস্বামীর লেখা কাব্যগ্রন্থ?
(ক) বাবরের প্রার্থনা (গ) রূপসীবাংলা
(খ) অগ্নিবীণা
(ঘ) পাতার পোষাক
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতা
উত্তরগুলি দেওয়া হল দ্বিতীয় ভাগ
১.১৩ (ক) কোকিল। ১.১৪ (গ) ঋষিবালক। ১.১৫ (খ) ময়ূরপালক। ১.১৬ (ঘ) নদীতে, দেশগাঁয়ে। ১.১৭ (গ) কোকিল।১.১৮(ক) অস্ত্র ১.১৯ (খ) সহস্র উপায়ে।১.২০(গ) অনাবৃত শরীরে। ১.২১ (গ) হাজার হাতে পায়ে। ১.২২ (ক) গানের দুটি পায়ে। ১.২৩ (গ) অস্ত্রহীন শান্তিপ্রিয় মানুষকে। ১.২৪ (খ) বর্মের সঙ্গে। ১.২৫ (ঘ) ময়ূর। ১.২৬ (গ) কবিতার কথক। ১.২৭ (খ) তিনটি। ১.২৮ (ঘ) পরিত্রাতা হিসেবে। ১.২৯ (ঘ) ১৮টি। ১.৩০ (ঘ) পাতার পোষাক।
Saq প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি কী আঁকড়ে ধরতে চান?
উত্তর : কবি জয় গোস্বামী তাঁর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় অস্ত্রের আস্ফালন প্রতিরোধ করতে তাঁর জানা দু-একটা গানকেই খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরতে চান।
প্রশ্ন ‘গান তো জানি একটা দুটো’—‘একটা দুটো’ শব্দ ব্যবহার করে কবি কী ইঙ্গিত দিয়েছেন?
উত্তর : কবি জয় গোস্বামী ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় ‘একটা দুটো’ শব্দটি প্রয়োগ করে বুঝিয়েছেন যে তিনি অল্প গানই জানেন। এই অল্প গানের শক্তিতেই অস্ত্রের আস্ফালন প্রতিরোধ করবেন।
প্রশ্ন ) ‘বর্ম খুলে দ্যাখো আদুড় গায়ে’—এখানে বর্ম কথাটির অর্থ কী?
উত্তর: বর্ম বলতে সাধারণত সৈনিকের দেহরক্ষার কঠিন আবরণকে বোঝায়। তবে এখানে শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে অস্ত্রনির্ভর ক্ষমতার আস্ফালন বা ক্ষমতার দম্ভকে বোঝাতে।
প্রশ্ন ‘বর্ম খুলে দ্যাখো আদুড় গায়ে’—‘আদুড় গায়ে’ কথাটি কী অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে?
উত্তর: ‘আদুড় গায়ে’ কথাটির সরলার্থ হলো অনাবৃত শরীরে। কিন্তু উদ্ধৃতাংশে পদমর্যাদাগত অহংকার বা ক্ষমতার দম্ভ বোঝাতে কথাটি ব্যবহৃত হয়েছে।
প্রশ্ন ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় মোট কতগুলি স্তবক আছে?
উত্তর : জয় গোস্বামী রচিত ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় মোট তিনটি স্তবক আছে।
প্রশ্ন ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় মোট কতগুলি চরণ রয়েছে?
উত্তর : ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় প্রথম স্তবকে পাঁচটি, দ্বিতীয় স্তবকে ছ-টি, তৃতীয় স্তবকে সাতটি মোট ১৮টি চরণ রয়েছে।
প্রশ্ন অস্ত্রের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কবির গতিপ্রকৃতি কেমন?
উত্তর : আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কবি সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসেন, উঠে দাঁড়ান। গানের বর্ম গায়ে পরে হাত নাড়িয়ে বুলেট তাড়ান।
প্রশ্ন অস্ত্র ধরার পরিবর্তে কবি কী নিতে বলেছেন?
উত্তর : কবি অস্ত্র ধরার পরিবর্তে উদাত্ত কণ্ঠে তুলে নিতে বলেছেন গানের অস্ত্র, যা অতি শান্তিময় ও সুখ ৷
প্রশ্ন কবিতায় কোন্ কোন্ পাখির নাম আছে?
উত্তর : ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় সরাসরি তিনটি পাখির নাম আছে। যথা—শকুন, চিল ও কোকিল। এছাড়া পরোক্ষভাবে ময়ূরের নামও আছে।
প্রশ্ন ‘অস্ত্র ফ্যালো’–এই শব্দটি কবিতায় বারবার ব্যবহৃত হয়েছে কেন?
উত্তর : ‘অস্ত্র’ কবিতায় মোট তিনবার ব্যবহৃত হয়েছে। কবি এই সামান্য উচ্চারণের তির্যক প্রকাশে, জীবনের ওপর অস্ত্রের নিষ্ঠুর অভিঘাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
উত্তর : কবি জয় গোস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতাটি তাঁর ‘পাতার পোষাক’কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়েছে। কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে।
প্রশ্ন ‘অস্ত্র ফ্যালো’—কবি অস্ত্র ফেলে দিতে বলেছেন কেন?
উত্তর : অস্ত্র হিংসা, হানাহানি, রক্তপাত তথা ধ্বংসের প্রতীক। মানুষকে নিষ্ঠুর, হিংস্র, নৃশংস করে তোলে অস্ত্র। তাই কবি মানুষের তথা পৃথিবীর কল্যাণার্থে অস্ত্র ফেলে দিতে বলেছেন।
প্রশ্ন ‘আমি এখন হাজার হাতে পায়ে’—হাজার হাতে পায়ে কথাটির অর্থ কী?
উত্তর : অস্ত্রের বিরুদ্ধে গানকে হাতিয়ার করে কবি শুভ চেতনাসম্পন্ন মানুষদের সংঘবদ্ধ করে যে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন উদ্ধৃতাংশে, তারই কথা বলেছেন।
প্রশ্ন ‘অস্ত্র ফ্যালো, অস্ত্র রাখো’—কোথায় অস্ত্র ফেলার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় মানবতাবাদী কবি জয় গোস্বামী মানবের কল্যাণার্থে গানের দুটি পায়ে অস্ত্র রাখতে বলেছেন। অর্থাৎ প্রেম-মানবতার মন্ত্রে দীক্ষা নিয়ে অস্ত্র ত্যাগ করতে বলেছেন।