প্রচলিত বাংলা প্রবাদ বচন অবলম্বনে বাক্য রচনা part – 1 Teacj Sanjib
প্রচলিত বাংলা প্রবাদ বচন অবলম্বনে বাক্য রচনা part – 1 Teacj Sanjib
প্রবাদ বচন
প্রচলিত প্রবাদ অবলম্বনে বাক্য রচনা
প্রবাদ-প্রবচন : ১
প্রবাদ-প্রবচন
◆ অতি বুদ্ধির [ চালাকির ] গলায় দড়ি (অতি বুদ্ধি দেখাতে গেলে পরিণামে ঠকতে হয়)—বেশী লাভের আশায় তখন লবণ মজুত করলে, এখন দেখছ তাে সব গলে জল হয়ে যাচ্ছে, একেই বলে ‘অতি বুদ্ধির গলায় দড়ি’।
◆ অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ (অতি বিনয়ের ছদ্মবেশে স্বার্থ সিদ্ধির দুরভিসন্ধি) – যতীন বড়াে সাহেবের বাড়িতে ঘন ঘন যাতায়াত করছে, নিশ্চয়ই প্রােমােশনের ব্যাপার আছে, কথায় বলে না ‘অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ।
◆ অতিলােভে তাঁতি নষ্ট (অতিরিক্ত লােভই সর্বনাশের মূল)—বেশ তাে চাকরী করে দিন কাটছিল, টাকার লােভে ব্যবসায় নেমে সমস্ত পুঁজি খােয়ালে— একেই বলে অতি লােভে তাঁতি নষ্ট।
◆ অতি দর্পে হত লঙ্কা (অহঙ্কারই পতনের মূল)— ক্লাসের পরীক্ষায় প্রথম হয়েছ বলে অত অহঙ্কার কোরাে না, জান তাে অতি দর্পে হতা লঙ্কা।
◆ অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট (লােক বেশী হলে কাজ পন্ড হয়)। রান্নার ভার দুএকজনের ওপর দাও, সবাই মিলে রাঁধতে গেলে শেষ পর্যন্ত পিকনিকের খাবার হােটেল থেকে আনাতে হবে, কথায় আছে না অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট।
◆ অনভ্যাসের ফোঁটা কপালে চড় চড় করে (অনভ্যস্ত কর্মে প্রারম্ভিক অস্বস্তি)—চিরকাল। কোটপ্যান্ট পরে অভ্যাস, আজ হঠাৎ বিয়ের জন্য ধুতি পাঞ্জাবী পরলে তাে খানিকটা অস্বস্তি হবেই, কথায় বলে ‘অনভ্যাসের ফেঁটা কপালে চড় চড় করে।
◆ আপনি ভালাে তাে জগৎ ভালাে (আপনি অন্তরের সদিচ্ছায় সকলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন)— আমি যদি কাউকে না ঠকাই তবে আমাকে কে ঠকাবে, আমার বাপু ঐ কথা—আপনি ভালাে তাে জগৎ ভালাে।
◆ আপনি বাঁচলে বাপের নাম (আত্মরক্ষাই প্রধান কর্তব্য)—দাঙ্গা শুরু হতেই আমি ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে এলাম, কী করব বল—“আপনি বাঁচলে বাপের নাম।
বাংলা প্রবাদ বচন:
◆ আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শিখাও (অন্যকে উপদেশ দানের পূর্বে উপদেষ্টাকে সেই উপদেশানুরূপ আচরণ করতে হবে)—নিজেরা থাকবে বিলাসের মধ্যে, আর দেশবাসীকে বলবে কষ্ট করাে’—তা তাে আর হয় না ; ‘আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শিখাও।
◆ উঠন্তী মূলাে পত্তনে চেনা যায় (পরিণতির পূর্বাভাস)—ছেলেবেলায় ওর রকমসকম দেখেই বুঝেছিলাম বড় হলে ও পাকা চোর হবে, উঠন্তী মূলাে পত্তনে চেনা যায়।
◆ এক হাতে তালি বাজে না (বিবাদে দুই পক্ষেরই কিছু অংশ থাকে)—তােমরা দুজনেই দোষ করেছ, এক হাতে কখনাে তালি বাজে না।
◆ একে মা মনসা তায় আবার ধুনাের গন্ধ (যে যাতে রুষ্ট হয়, তার কাছে তাই করা)—জ্যাঠামশাই নভেল পড়া পছন্দ করেন না, তুমি আবার তারই টেবিলে চরিত্রহীন’ ফেলে এসেছ! একে মা মনসা, তায় আবার ধুনাের গন্ধ।
◆ কাজের বেলায় কাজী, কাজ ফুরালে পাজী (অকৃতজ্ঞতা)—যে বীরেনবাবু তােমার বিপদে এত করলেন আজ তারই তুমি বিরুদ্ধতা করছ? ‘কাজের বেলায় কাজী, কাজ ফুরালে পাজী!
◆ কারও পৌষমাস কারও সর্বনাশ (একই ঘটনা কারও পক্ষে সুখকর, কারও পক্ষে দুঃখজনক)—দাঙ্গার সময় কারও পৌষমাস, কারও সর্বনাশ’—কেউবা লুটের মাল ঘরে তােলে কারও বা সর্বস্ব খােয়া যায়।
◆ গাঁয়ে মানে না, আপনি মােড়ল (অন্যর স্বীকৃতি ছাড়াই নিজের প্রাধান্য বিস্তার)- নরেশকে কেউ গ্রাহ্য করে না, অথচ সব ব্যাপারেই ওর কথা বলা চাই—যাকে বলে গাঁয়ে মানে না, আপনি মােড়ল’।
◆ গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল [ গাছে না উঠেই এক কাদি ] (ভবিষ্যতের দুরাশায় উদগ্রীব হওয়া)—লটারির টিকিট কিনেই ভাবতে শুরু করেছ ঐ টাকায় কী কী করবে, তােমার দেখছি ‘গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল।
◆ গেঁয়াে যােগী ভিখ পায় না (পরিচিত গুণীর আদর হয় না)—বিশুবাবুকে পাড়ায় কেউ আমল দেয় না, কিন্তু বিদেশে ওঁর খুব নামডাক কথায় বলে, ‘গেঁয়াে যােগী ভিখ পায় ।
বাংলা প্রবাদ ও বচন:
◆ ঘরপােড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায় (পূর্ব-বিপদের আশঙ্কায় সন্ত্রস্ত হওয়া)—তার বড় ছেলেটা দুদিনের জ্বরেই মারা গেল, তাই অসুখ-বিসুখের সূচনা দেখলেই সে এখন দেরি করে ডাক্তারকে ডাকে ; কথায় বলে ‘ঘরপােড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়।
◆ ঘরের খেয়ে বনের মােষ তাড়ানাে (বিনা দক্ষিণায় পরের জন্য অযথা পরিশ্রম) —তােমার আর কী, সংসারের ঝামেলা নেই, তাই অনায়াসে ‘ঘরের খেয়ে বনের মােষ তাড়াতে পারছ।
◆ ঘুঘু দেখেছ ফাঁদ দেখনি (উচিত শিক্ষা দেবার শাসানি)—টাকার জোরে এতদিন সবার মুখ বন্ধ করে রেখেছিলে, এবার তােমায় কে বাঁচায় তাই দেখি, বাছাধন, তুমি ‘ঘুঘু দেখেছ। কিন্তু ফাঁদ দেখনি।
প্রবাদ বচন
◆ খুঁটে পােড়ে গােবর হাসে (যে বিপদ সকলের হতে পারে, তা দেখে আনন্দ প্রকাশের মতাে অপরিণাম দর্শিতা)রামবাবুর মেয়ের বিয়েতে যৌতুক নিয়ে গােলমাল হওয়ায় আড়ালে
অনেকে হাসাহাসি করেছে, কিন্তু কেউ ভেবে দেখল না ‘ঘুটে পােড়ে গােবর হাসে।
◆ চোরে চোরে মাসতুতাে ভাই (দুষ্ট ব্যক্তির বন্ধুও দুষ্ট হয়)—চোরাকারবারীর সঙ্গে তাে মজুতদারের যােগাযােগ থাকবেই, চোরে চোরে মাসতুতাে ভাই।
◆ চোরের সাক্ষী গাঁটকাটা (অসৎ ব্যক্তি অসৎ ব্যক্তিকেই সমর্থন করে)—তােমার মতাে চোরাকারবারীতাে মধুর মতাে ভেজালদারের গুণগান করবেই, কথায় বলে চোরের সাক্ষী গাঁটকাটা।
◆ চোরের উপর বাটপাড়ি (দুষ্ট লােক কর্তৃক অপর দুষ্ট লােককে প্রতারণা)—এ তাে দেখছি চোরের উপর বাটপাড়ি, দোকানদার খদ্দেরকে ভেজাল মাল দিয়েছে, খদ্দের আবার দোকানীকে যে নােটটা দিয়েছে সেটা জাল।
◆ চোরা না শােনে ধর্মের কাহিনী (মন্দ লােককে সদুপদেশ দেওয়া বৃথা)—ওকে অনেক বলেছি মদ ছেড়ে দিতে, কিন্তু একেবারেই কথা শােনে না—‘চোরা না শােনে ধর্মের কাহিনী।
◆ চেনা বামুনের পৈতে লাগে না (পরিচিত ব্যক্তির পরিচয় নিষ্প্রয়ােজন)—সভার সকলেই আপনাকে চেনে, আপনার আর পরিচয় দেব কী? ‘চেনা বামুনের পৈতে লাগে না।
◆ ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি (চরম অস্বস্তিকর অবস্থা)—-ভীড় বাসে উঠে আমার অবস্থা যাকে বলে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’–না পারি সােজা হয়ে দাঁড়াতে, না পারি বাস থেকে নামতে।
প্রচলিত প্রবাদ অবলম্বনে বাক্য রচনা
◆ জলে কুমীর ডাঙায় বাঘ (উভয় সঙ্কট)—আমার এখন জলে কুমীর ডাঙায় বাঘ’, চাকরি ছাড়লে খেতে পাব না, চাকরি না ছাড়লে মান থাকে না।
◆ ঝড়ে বক মরে, ফকিরের কেরামতি বাড়ে (অকারণ কৃতিত্ব দাবী করা)—ছেলেটা এমনিতেই সেরে উঠল, আর ওঝা বলছে ওর ঝাড়ফুঁকেই নাকি ভালাে হয়েছে, ঝড়ে বক মরে, ফকিরের কেরামতি বাড়ে।
◆ ঢাল নেই তরােয়াল নেই নিধিরাম সর্দার (উপকরণ ছাড়াই কাজের আড়ম্বর)—টাকা নেই, লােক নেই, তুমি ফাংশান করতে চাইছ, ‘ ঢাল নেই তরােয়াল নেই নিধিরাম সর্দার।
◆ ঢিলটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয় (অন্যকে জব্দ করতে গেলে নিজেই জব্দ হতে হয়)—কেমন ওর পিছনে লাগতে গিয়েছিলে, এখন দিয়েছে তাে দু’ঘা বসিয়ে! ‘ ঢিলটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়।
◆ ঢেঁকি স্বর্গে গিয়েও ধান ভানে (স্বভাব বা অভ্যাস সর্বত্র অপরিবর্তিত থাকে)—দুদিনের জন্য বেড়াতে এসেছি, এখানেও ডাক্তারি করতে হবে? দেখছি ‘ঢেঁকি স্বর্গে গিয়েও ধান ভানে।
◆ দশচক্রে ভগবান ভূত (মন্দলােকের চক্রান্তে সৎলােকের অকারণ শাস্তি ভােগ)প্রফুল্লবাবুকে সবাই স্বার্থত্যাগী বলে জানত, কিন্তু রাজনীতি করতে গিয়ে তাঁর খুব বদনাম হয়েছে, দশচক্রে ভগবান ভূত’।
◆ দশের লাঠি একের বােঝা (একতাই বল)—যে কাজ পাঁচজন লােকে করত, সেই কাজ এখন একা অসিতবাবুর ঘাড়ে চাপায় তিনি হিমসিম খেয়ে যাচ্ছেন, দশের লাঠি একের বােঝা।
◆ দশে মিলি করি কাজ,হারি জিতি নাহি লাজ (সম্মিলিত কর্মের ব্যর্থতা লজ্জার নয়)—সবাই মিলে একটা পুকুর কাটা যাক, পারলে ভালাে না পারলে ক্ষতি নেই ; দশে মিলি করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ। ;
◆ ধরি মাছ না ছুই পানি (বিনা কষ্টে কার্যোদ্ধার)—ভবতােষবাবুর নীতি হচ্ছে ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’—বেড়াতে যাবেন অথচ খরচটা যথাসম্ভব অন্যের ঘাড়ে চাপাবেন।
◆ নুন আনতে পান্তা ফুরায় (সাংসারিক অনটন)—অতগুলি পােষ্য নিয়ে সুশীলবাবুর একেবারে নাজেহাল অবস্থা, সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়।
◆ নেইমামার চেয়ে কানা মামা ভালাে (কিছুনা থাকার চেয়ে সামান্য কিছু থাকাও ভাল)—গরম সােয়েটার নেইতাে এই সুতীর চাদরটাই সঙ্গে নাও, ‘নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভালাে।
◆ নিজের পায়ে কুড়ুল মারা (নিজের সর্বনাশ করা)—ওই জমিতে খেলার মাঠ করতে দিয়ে নিজের পায়ে কুড়ুল মেরেছি, ছেলেরা আর ছাড়তে চাইবে না।
◆ পেটে খেলে পিঠে সয় (উপযুক্ত পারিশ্রমিক পেলে কষ্ট করা যায়)—এই বর্ষার রাতে শহরে গিয়ে ওষুধ আনতে হবে, তা বাপু গােটা পঞ্চাশেক টাকা দিতে হবে বলে রাখছি ; ‘পেটে খেলে পিঠে সয়’।
◆ পাপের ধন প্রায়শ্চিত্তে যায় (অসদুপায়ে অর্জিত অর্থ ভােগ করা যায় না)—বেণীবাবু চোরাকারবারে অনেক টাকা করেছিলেন বটে, তবে রাখতে পারলেন না, মােকদ্দমায় সব খরচ হয়ে গেল—’পাপের ধন প্রায়শ্চিত্তে যায়।
◆ বরের ঘরের মাসি কনের ঘরের পিসি (যে একজনের গােপন কথা আর একজনের কাছে প্রকাশ করে দেয়)—ওকে বিশ্বাস কোরাে না, ওতাে বরের ঘরের মাসি কনের ঘরের পিসি’; এর কথা তাকে, তার কথা একে লাগাতে ওর জুড়ি নেই।
বাংলা প্রবাদ বাক্য
◆ বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড় (বড়র চেয়ে ছােটর তেজ বেশী)—আশুবাবুর চেয়ে তার ছেলের চোটপাটই বেশী দেখা যাচ্ছে, বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড়’।
◆ বাঘে ছুঁলে আঠারাে ঘা (বেকায়দায় পড়লে নিষ্কৃতি পাওয়া কঠিন)—কেউই পুলিশী হাঙ্গামায় পড়তে চায় না, কেননা ‘বাঘে ছুঁলে আঠারাে ঘা’।
◆ বেল পাকলে কাকের কী (অনধিকারীর বৃথা আশা)—মােটরগাড়ির দাম কমলে আমার তাে গরিব কেরানীর কী এসে যায় ? ‘বেল পাকলে কাকের কী’?
◆ ভাগের মা গঙ্গা পায় না (ভাগাভাগির কাজ সুসম্পন্ন হয় না)—ঠাকুর সেবার দায় এখন চ ভাইয়ের উপর, ফলে কোনদিন মন্দিরের দোর খােলে, কোনদিন বা খােলে না, ভাগের মা
◆ ভিক্ষার চাল কাড়া আর আকাড়া (অনুগ্রহের উৎকর্ষ বিচার করা চলে না)—লাইব্রেরীর জন্য বা ডােনেশান পাওয়া গেছে তাই-ই ভালাে, ও নিয়ে আর খুঁত খুঁত কোরাে না ; ‘ভিক্ষার চাল তা আর অকাড়া।
◆ মরা হাতী লাখ টাকা (দক্ষ ব্যক্তি সর্ব-অবস্থাতেই আদৃত হয়)বয়স হয়েছে বেশী খাটতে পারে না, তবু রমেশ পাল যে প্রতিমা গড়ে আজও তার জুড়ি মেলা ভার, হাজার হলেও মরা হত তাৰ টকা’।
◆ মশা মারতে কামান দাগা (সামান্য ব্যাপারে বিশাল আয়ােজন)—এ যে দেখছি মশা রতে মন দাগা’! সামান্য গরুর উপর রচনা লিখতে একেবারে জিওলজির বই নিয়ে বসেছ।
◆ মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন (প্রাণপণ সঙ্কল্প)—দেশের স্বাধীনতার জন্য নেতাজীর ল্প মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।
◆ মােল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত (সীমাবদ্ধ ক্ষমতা)—মুখে অত আস্ফালন করলেও সে হলে কিছুই পাবে না, জানি তাে মােল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত।
◆ নুখে মধু বুকে বিব—সমার্থক ‘ মিছরির ছুরি।
বাংলা প্রবাদ বচন ব্যাকরণ
◆ যাকে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা (অপ্রিয় ব্যক্তির সব কিছুতেই দোষ ধরা পড়ে) —পুরে সব কিছুতেই খুঁত ধরে, যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা।
◆ য নহি ভারতে তা নহি ভারতে (বহু ব্যাপক)—মহাভারত এমন মহাকাব্য, যাতে সাহিত্য, হতি, অনতি, বাতি—সব কিছুরই সন্ধান মেলে, কথায় বলে “যা নাই ভারতে
◆ যার ধন তার ধন নয় নেপােয় মারে দৈ (একের ন্যায্য অংশ অন্য জনে ভােগ করার অসঙ্গতি)—জীবেনবাবু সারা জীবন কষ্ট করে এত টাকা জমালেন, কিন্তু আত্মীয়স্বজন সেই টাকা নিয়ে
◆ যেমন বুনাে ওল তেমনি বাঘা তেঁতুল (উপযুক্ত প্রতিবিধান)—হারু মস্তানের উৎপাতে এ তল্লাটে কারাে স্বস্তি ছিল না, থানার নতুন দারােগাটির জন্য এখন সব ঠান্ডা, একেই বলে যেমন বুনাে ওল, তেমনি বাঘা তেঁতুল।
◆ যেমন কুকুর তেমন মুগুর—সমার্থক, ‘ ঢিলটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়। ]
◆ লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন (অন্যের অর্থে অপরিমিত ব্যয়)—আরে, চলই না দুদিন পুরীতে বেড়িয়ে আসি, সঙ্গে তাে কুমারসাহেব থাকছেন, ‘লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন।
◆ লাখ কথার এক কথা (শ্রেষ্ঠ উক্তি)—“জীবে প্রেম করে যেইজন সেই জন সেবিছে। ঈশ্বর’–এটা হলাে’ লাখ কথার এক কথা।
◆ যাঁড়ের শত্রু বাঘে খাওয়া (শত্রুর দ্বারা শত্ৰুনিপাত হওয়া)—গুণ্ডাটাকে পুলিশ ধরতে পারছিল না, অন্য দলের গুণ্ডারা তাকে সাবাড় করেছে ; ভালােই হলাে, ষাঁড়ের শত্রু বাঘে খেল।
◆ সস্তার তিন অবস্থা (সুলভ মূল্যে ক্রীত জিনিস উৎকৃষ্ট হয় না)—সত্তা হবে বলে ফুটপাত থেকে জুতাে কিনেছ, এবার, বার বার মেরামত করাে, ‘সস্তার তিন অবস্থা।
◆ সবুরে মেওয়া ফলে (ধৈর্য ধরলে সুফল মেলে)—দরখাস্ত করা মাত্রই কি আর চাকরী পাওয়া যায় ? দুদিন ধৈর্য ধরতে হয়, সবুরে মেওয়া ফলে।
বাংলা প্রবাদ বচন competitive exm
◆ সাপের হাঁচি বেদেয় চেনে (অভিজ্ঞ ব্যক্তি লক্ষণ দেখেই প্রকৃত পরিচয় জানতে পারে)—ও
যে টাকা ধার করতেই এসেছে, তা ওর কথার ধরন দেখেই বুঝেছি। সাপের হাঁচি বেদেয় চেনে।
◆ সুখে থাকতে ভুতে কিলায় (স্বেচ্ছায় কষ্ট বরণ)—নিজের বাড়ি থাকতে, বলছ ভাড়া বাড়িতে যাবে, তােমারে সুখে থাকতে ভূতে কিলােয়’, না?
◆ হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র মন্ত্রী (নির্বোধ লােকের নির্বোধ উপদেষ্টা)—যেমন হয়েছে বড়ােসায়েব, তেমনি হয়েছে তার অ্যাসিস্ট্যান্টটি—হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র মন্ত্রী।
◆ হাতি ঘােড়া গেল তল, ভেড়া বলে কত জল (ক্ষুদ্র ব্যক্তির হাস্যকর উচ্চাভিলাষ)—কত বড়াে বড়াে ডাক্তার পারল না রােগ সারাতে, আর তুমি বলছ কি না তুমি পারবে? হাতি ঘােড়া গেল তল, ভেড়া বলে কত জল।