হিমালয় দর্শন প্রশ্ন উত্তর নবম শ্রেণি বাংলা
হিমালয় দর্শন প্রশ্ন উত্তর নবম শ্রেণি বাংলা
হিমালয়দর্শন
বেগম রােকেয়া
এখানে হিমালয় দর্শন গল্পে গুরুত্বপূর্ণ বড় প্রশ্ন উত্তর এবং ছোট প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হয়েছে।
বিষয় সংক্ষেপ
হিমালয় দর্শন বিষয়বস্তু:
লেখিকা বেগম রােকেয়া যথাসময়ে শিলিগুড়ি পৌছে সেখান থেকে হিমালয়ান রেলগাড়িতে চড়ে রওনা হলেন। গাড়ি আঁকাবাঁকা পথ পাড়ি দিয়ে ওপরে উঠতে লাগল। পথের দু-পাশের দৃশ্য মনােরম। সমুদ্র সমতল থেকে তিন হাজার ফুট ওপরে ওঠার পরেও শীত করছে না। যেন মেঘের ভিতর দিয়ে চলেছেন। সাদা কুয়াশা-ঢাকা নীচের উপত্যকা নদীর মতাে দেখাচ্ছে। লতা, পাতা, ঘাস সবই মনােরম। চায়ের সবুজ খেত প্রাকৃতিক শােভাকে শতগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। শ্যামল নিবিড় বন বসুমতীর কেশগুচ্ছ বলে মনে হচ্ছে। পথগুলি যেন আঁকাবাঁকা সিঁথি।
রেলপথে যাওয়ার সময় অনেকগুলি ঝরনা লেখিকার চোখে পড়ে। তাঁর মনে হলাে প্রচণ্ড গতিতে প্রবাহিত ওই জলধারা কোথা থেকে এসে কোথায় চলে যাচ্ছে হিমালয়ের কঠিন পাথর ভেঙে। ওই জলধারার কোনাে একটি জানুবীর উৎস। একটি বড়ো ঝরনার ধারে তাদের রেলগাড়ি থেমে যায় জল নেওয়ার জন্য। তারা প্রাণভরে জলধারাটি দেখেন। চার হাজার ফুট ওপরে ওঠার পরেও তাঁদের শীত লাগছে না, তবে গরম থেকে রেহাই পেয়েছেন। অবশেষে ৪৮৬৪ ফুট উচ্চতায় কারসিয়াং স্টেশনে পৌঁছান। সেখান থেকে অল্প দূরের বাসায় লেখিকা উপস্থিত হন। কিন্তু ভুল করে তাঁদের ট্রাংকগুলি দার্জিলিং-এর ঠিকানায় বুক করা হয়েছিল সেগুলি পরে সন্ধ্যার ট্রেনে ফেরত আসে।
কারসিয়াং২-এ তখন না শীত না গ্রীষ্ম। যেন বসন্তকাল ওখানকার বাতাস স্বাস্থ্যকর। পানীয় জল খুব ভালাে নয় বলে ফিলটার করে পানের উপযােগী করে নেওয়া হয়। একমাত্র ঝরনা থেকে জল পাওয়া যায়। জল স্বচ্ছ, নির্মল ও দর্শনীয়। বাতাস পরিষ্কার ও হালকা। মেঘ আর বাতাসের লুকোচুরি চমৎকার দর্শনীয়। অস্তগামী সূর্য পাহাড়ের গায়ে যেন তরল সােনা ঢেলে দেয়। টুকরাে টুকরাে মেঘ সােনা রং মেখে ছােটাছুটি করতে থাকে। ওই তামাশাভরা দৃশ্য দেখে লেখিকা আত্মহারা হন। লেখিকার ধারণা ছিল চেঁকিশাক ছােটো ছােটো। ২০-২৫ ফুট উঁচু টেকি গাছ দেখে লেখিকার খুব আনন্দ হয়। তিনি ঘন বনে বেড়াতে ভালােবাসেন। ওই বনে বাঘ না থাকায় নির্ভয়ে বেড়ান। সাপ আর জোঁকের উপদ্রব থাকলেও সাপের দেখা পাননি, দু-তিনবার জোঁকে রক্ত খেয়েছে।
হিমালয় দর্শন বিষয় সংক্ষেপ
ওখানকার মেয়েরা জোককে ভয় পায় না। ওরা ঘাঘরার মতাে কাপড় পরে গায়ে জ্যাকেট ও মাথায় বিলিতি শাল জড়িয়ে পিঠে দু-এক মন জিনিসের ভার নিয়ে পাথরের উঁচুনীচু পথে অনায়াসে ওপরে ওঠে ও নীচে নামে। ওখানে ভুটিয়ানিরা অবলা নয়, তারা পুরষের চেয়েও পরিশ্রমী, পুরুষের চেয়েও বেশি ওজনের পাথর বইতে পারে। তারা পুরুষের সমান উপার্জন করে। তারা নিজেদের পাহাড়নি বলে পরিচয় দেয়। সমতল অঞ্চলের মানুষজনকে বলে নীচেকা আদমি’। তারা নিজেদের সভ্য মনে করে, নীচেকা আদমির মানুষকে অসভ্য ভাবে। নীচেকা আদমির সংস্পর্শে তারা সগুণ হারাচ্ছে। বলে তাদের বিশ্বাস।
লেখিকাদের বাসা থেকে মাইলখানেক দূরে এক বড়ােসড়াে ঝরনা আছে। তার জলস্রোত দুধের ফেনার মতাে সাদা। লেখিকা পাহাড়ে এসে বেশ খুশি। তিনি সেজন্য ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁর পাহাড় দেখার সাধ এখন পূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে তার দেখার সাধ পূর্ণ হয়নি। তাঁর দেখার পিপাসা শতগুণ বেড়েছে। লেখিকা ঈশ্বরের প্রতি ভক্তিপরায়ণা। ঈশ্বরের পর্বত সৃষ্টির মহিমা দেখে তিনি অভিভূত।
হিমালয় হিমালয় দর্শনের বড় প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ ‘ইহাৱা উদৱান্নের জন্য পুরুষদের প্রত্যাশী নহে।-ইছাৱা’ বলতে কারা? তারা উদৱাল্পের জন্য পুরুষদের প্রত্যাশী নয় কেন?
উত্তর : ইহারা বলতে ‘হিমালয় দর্শন’ ভ্রমণবৃত্তান্তের লেখিকা বেগম রােকেয়া ভূটিয়ানিদের কথা বলেছেন।
প্রত্যাশী না হওয়ার কারণ : ভূটিয়ানিরা স্বভাবত শ্রমশীলা ও কার্যপ্রিয় রমণী। তারা পিঠে দু-এক মন বােঝা নিয়ে পাহাড়ের উঁচুনীচু পাথরের টুকরাে বিছানাে পথে অনায়াসে ওপরে উঠতে ও নীচে নামতে পারে। এ ব্যাপারে পুরুষেরা তাদের সঙ্গে এটে ওঠে না। সাধারণত বাঙালি মহিলাদের অবলা বলা হয় কারণ তারা শারীরিক ক্ষমতায় পুরুষের থেকে দুর্বল। ভূটিয়ানিদের ক্ষেত্রে এই অবলা কথাটা প্রযােজ্য নয়। রাস্তা তৈরির কাজে পাথর বহনের মতাে গুরুভার কাজ করে ভুটিয়া মেয়েরা। সবল নামের পুরুষেরা তা পারে না। তারা রাস্তায় পাথর বিছানাের কাজ করে। কাজেই ভুটিয়া মেয়েরা তাদের পেট চালানাের মতাে জীবিকা অর্জনে পুরুষের ওপর নির্ভরশীল নয়। তারা স্বনির্ভর। তারা স্বাবলম্বী। পুরুষের উপার্জিত অর্থের প্রত্যাশায় তারা জীবন নির্বাহ করে না।
প্রশ্ন- ‘হিমালয় দর্শন’ ভ্রমণবৃত্তান্তের শেষাংশে লেখিকা বেগম রােকেয়াৱ ঈশ্বৱভক্তিৱ যে পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে তা আলােচনা করাে।
অথবা, “ঈশ্বৱই প্রশংসার যােগ্য। তিনিই ধন্য।’ উদ্ধৃতিৱ তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর: : ঈশ্বৱভক্তি : হিমালয় দর্শন’ ভ্রমণবৃত্তান্তের ‘ শেষাংশে প্রকাশিত হয়েছে লেখিকা বেগম রােকেয়ার ঈশ্বরভক্তি। কারসিয়াং-এর বাসা থেকে মাইলখানেক দূরের বড়ােসড়াে এক ঝরনার বিরামহীন কল্লোল গীতি শ্রবণে লেখিকার ঈশ্বরের প্রতি ভক্তির উচ্ছ্বাস দু-তিন গুণ বেগে ধাবিত হয়েছে। তাঁর মনে প্রশ্ন জেগেছে ‘প্রাণটাও কেন ঐ নিঝরের ন্যায় বহিয়া গিয়া পরমেশ্বরের চরণপ্রান্তে লুটাইয়া পড়ে না ? তিনি হিমালয়ে এসে পর্বতের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে অত্যন্ত সুখী। সেজন্য তিনি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ। হিমালয়ের অসীম সৌন্দর্য দর্শন তাঁর দর্শন পিপাসাকে যেন শতগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি কৃতজ্ঞচিত্তে বলেছেন, কিন্তু কেবল দুইটি চক্ষু দিয়াছেন, তাহা আর কত দেখিব ? প্রভু অনেকগুলি চক্ষু দেন নাই কেন ? পর্বতশৃঙ্গ ও ঝরনা দেখে চোখ যখন বিস্ময়-বিস্ফারিত, তখন সেই পর্বতশৃঙ্গ ও ঝরনা যেন ভূকুটি হেনে বলে, তাদের না দেখে তাদের যিনি স্রষ্টা সেই বিশ্বস্রষ্টা মহাশিল্পীকে যেন স্মরণ করা হয়। এই সত্যতা উপলব্ধি লেখিকার ভগবদ্ভক্তির অন্যতম পরিচয়। মানুষের চোখ, কান, মন, সবই তাে ঈশ্বরের দান। সেজন্য তাঁর গুণকীর্তন না করা কৃতঘ্নতার পরিচয়। মনপ্রাণ একাগ্র করে ঈশ্বর উপাসনায় তৃপ্তি আসে। নইলে টিয়াপাখির মতাে কতকগুলি শব্দ উচ্চারণে উপাসনা হয় না। উপাসনায় প্রাণের আবেগ থাকা চাই। “প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দর্শনকালে মন প্রাণ স্বতঃই সমস্বরে বলিয়া উঠে, “ঈশ্বরই প্রশংসার যােগ্য। তিনিই ধন্য।”
প্রশ্ন ) “ইহাদেৱ এই তামাশা দেখিতেই আমার সময় অতিবাহিত হয়।–“ইহাদেৱ’ বলতে কী? তাদেৱ তামাশাৱ বর্ণনা দাও।
উত্তর: ‘ইহাদের’ বলতে বায়ুভরে ইতস্তত ছুটে বেড়ানাে মেঘ।
খণ্ড খণ্ড মেঘেৱ তামাশা : কারসিয়াং-এর বাতাস যেমন পরিষ্কার তেমনি হালকা। বাতাস আর মেঘের লুকোচুরি খেলা দেখতে চমৎকার। মেঘ একদিকে তাে বাতাস তার উলটো দিকে। যেই বাতাস ধেয়ে এল, অমনি মেঘখণ্ড তাড়া খেয়ে চলতে লাগল। প্রতিদিন বেলা শেষে ওই পার্বত্যদেশে অপূর্ব দৃশ্যের ছবি তৈরি হয়। অস্তগামী সূর্য বাতাস আর মেঘ নিয়ে অতি মনােহর সৌন্দর্যের রাজ্য গড়ে তােলে। অস্তমান সূর্য পশ্চিম আকাশের গায়ে পাহাড়ে যেন তরল সােনা ঢেলে দেয়। আসলে অস্তায়মান সূর্যের রক্তরশ্মি পাহাড়ের গা-কে যেন তরল সােনায় রাঙিয়ে তােলে। আকাশে তখন খণ্ড খণ্ড শিশু মেঘের সমারােহ। তারা গায়ে সােনা রং মেখে নেয়। আর তখনই বাতাসের প্রবাহ তাদের তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। ফলে সােনামাখা মেঘখণ্ডগুলি এখানে-ওখানে ছােটাছুটি করতে থাকে। লেখিকার মনে হয় এ যেন বিচিত্র তামাশা। মেঘ ২ ও বাতাসের ওই বিচিত্র তামাশা দেখে লেখিকা সময় অতিবাহিত করেন। আত্মহারাও হন। তখন তাঁর পক্ষে কোনাে কাজ করা সম্ভব হয় না।
হিমালয় দর্শন বড় প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ ‘প্রাণটাও কেন ঐ নিঝৱেৱ ন্যায় বহিয়া গিয়া পরমেশ্বৱেৱ চৱণপ্রান্তে লুটাইয়া পড়ে না? –উদ্ধৃতিৱ প্রসঙ্গ নির্দেশসহ তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও। ‘এখন সে সাধও পূর্ণ হইল।’—কী সাধ কীভাবে পূর্ণ হলাে?
উত্তর : প্রসঙ্গ ও তাৎপর্য ; কারসিয়াং-এ লেখিকা বেগম রােকেয়ার বাসা থেকে মাইলখানেক দূরে একটা বড়ােসড়াে ঝরনা ছিল। বাসা থেকে ওই ঝরনার দুধের মতাে সাদা জলস্রোত দেখা যেত। স্রোতের কলগীতি দিনরাত্তির লেখিকার কানে আসত। ওই কল্লোল গীত শুনে ঈশ্বরের প্রতি লেখিকার ভক্তির আবেগ ও উচ্ছ্বাস দু-তিন গুণ বেগে প্রবাহিত হতাে। তার মনে প্রশ্ন জাগত ওই নিঝরের প্রবাহিত জলধারার মতাে প্রাণ কেন ধাবিত হয়ে ভূতলে পতিত জলধারার মতাে ঈশ্বরের চরণপ্রান্তে লুটিয়ে পড়ছে না। এখানে বেগবান জলধারার সঙ্গে প্রাণের এবং ভূমিতলে পতিত জলধারার সঙ্গে ঈশ্বরের চরণে লুটিয়ে পড়া প্রাণের তুলনা করা হয়েছে।
সাধ পূৱণ : লেখিকার সে সাধ হলাে হিমালয় দর্শনের সাধ। তিনি বঙ্গোপসাগর দেখেছেন। তাতে তাঁর সাগর দেখার সাধ পূর্ণ হয়েছে। তবে অপূর্ণ থেকেছে পাহাড় দেখার সাধ। সৌভাগ্যবশত হিমালয় দর্শনের সুযােগ এসে যায়। লেখিকা প্রয়ােজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যথাসময়ে শিলিগুড়ি স্টেশনে এসে যান। হিমালয়ান রেলগাড়ি চড়ে রওনা হওয়ায় তাঁর পাহাড় দেখার অপূর্ণ সাধ পূর্ণ হওয়ার পথে এগিয়ে চলে। কারসিয়াং-এর বাসায় অবস্থানকালে সেই সাধ পূরণের কথা তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন।
প্রশ্নঃ লেখিকা বেগম রােকেয়াৱ লেখা ‘হিমালয় দর্শন’ রচনাৱ ভ্রমণবৃত্তান্ত অনুসৱণে অৱণ্য প্রকৃতির বর্ণনা করাে।
উত্তর : : অৱণ্য প্রকৃতির বিশেষ ভূমিকা : সুখ্যাত লেখিকা বেগম রােকেয়ার ‘হিমালয় দর্শন’ রচনায় লেখিকাদের শিলিগুড়ি রেলস্টেশন থেকে কারসিয়াং পর্যন্ত হিমালয়ান । রেলগাড়িতে ভ্রমণবৃত্তান্ত বর্ণিত হয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘পথের দুই ধারে মনােরম দৃশ্য—কোথাও অতি উচ্চ চূড়া, কোথাও নিবিড় অরণ্য। পার্বত্য অঞ্চলে অরণ্য প্রকৃতির বিশেষ ভূমিকা আছে।
ধৱিত্ৰীৱ কেশপাশ : ভ্রমণযাত্রী লেখিকার চোখে ‘তরু, লতা, ঘাস, পাতা, সকলই মনােহর। নিবিড় শ্যামল বন যেন ধরিত্রীর কেশপাশ, আর তার মাঝ দিয়ে পায়ে হাঁটা পথ যেন আঁকাবাঁকা সিঁথি।
কাৱসিয়াং-এৱ অৱণ্য প্রকৃতি : কারসিয়াং-এ থাকার এ সময় অরণ্য প্রকৃতির সঙ্গে লেখিকার সরাসরি পরিচয় হয়। ২০/২৫ ফুট উঁচু চেঁকি গাছ দেখে তাঁর ভারী আনন্দ হয়। কারসিয়াংএর কোনাে কোনাে জায়গায় খুব ঘন বন দেখেন। বনে বেড়ানাে ছিল বেশ নির্ভয়। কারণ ওই বনে বাঘ নেই। নির্জন বনপথে বেড়াতে লেখিকা ভালােবাসতেন। বনে অবশ্য সাপ ও জোঁক ছিল। সাপের সঙ্গে লেখিকাদের সাক্ষাৎ হয়নি। জোঁক দু-তিন বার রক্ত শোষণ করেছে।
প্রশ্ন ) কাৱসিয়াং-এর বাসায় লেখিকা কিছু সময়ের – জন্য গৃহসুখ থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন কেন এবং এ ব্যাপারে তাঁর অভিজ্ঞতাই বা কী? সেখানকার জলবায়ু সম্পর্কে লেখাে।
উত্তর :
গৃহসুখ থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণ :এ ব্যাপারে তার অভিজ্ঞতা : কারসিয়াং রেলস্টেশনে নেমে লেখিকা বেগম রােকেয়া কিছুটা দূরে বাসায় পৌঁছেছিলেন। ভুল করে তাঁদের আসবাবপত্রের ট্রাংক দার্জিলিং-এর ঠিকানায় চলে যাওয়ায় তাঁরা কিছু সময় গৃহসুখ থেকে বঞ্চিত হন। অবশ্য সন্ধ্যার গাড়িতে ট্রাংকগুলি ফিরে আসে। তখন সেগুলি যথারীতি বাসায় পৌঁছায়। তারপর গৃহসুখ অনুভব করতে পারেন। লেখিকার মনে হয়, তাঁরা দার্জিলিং যাওয়ার আগে তাঁদের জিনিসপত্র দার্জিলিং-এর বায়ু সেবন করে নিজেদের চরিতার্থ করে। এই ঘটনা থেকে লেখিকার অভিজ্ঞতা হলাে যে, কেবল বাস করার আশ্রয় পেলেই বাস করা সুখের হয় । প্রয়ােজনীয় জিনিসপত্র আসবাব সরঞ্জাম থাকলে তবেই গৃহে সুখপ্রাপ্তি পূর্ণতা পায় ।
জলবায়ু : লেখিকা যে সময়ে গিয়েছেন সেখানে তখন না শীত না গ্রীষ্ম। পার্বত্য বসন্তকাল বলা যায়। অবশ্য সূর্যকিরণ প্রখর। একদিন সামান্য বৃষ্টিও হয়েছে। বায়ু খুব স্বাস্থ্যকর। জল নাকি ভালাে নয়। সেজন্য লেখিকারা জল ফিলটার করে ব্যবহার করছেন। জল দেখতে স্বচ্ছ। জলের সরবরাহ কূপ ও নদী থেকে নয়, ঝরনা থেকে। জল ঠান্ডা, বাতাসও ঠান্ডা, তাতে প্রাণ জুড়ায়।
হিমালয় দর্শন প্রশ্ন উত্তর mcq
প্রশ্ন ) ভুটানি রমণীরা কীভাবে নীচেকা আদমি’ দেৱ কাছ থকে অসৎ বিষয় শিখছে ?
উত্তর : ভুটানি রমণীরা নীচেকা আদমি’-দের কাছ থেকে শিখছে বাজারের পয়সা চুরি করা ও দুধে জল মেশানাে।
প্রশ্নঃ বড়াে ঝরনাৱ কল্লোল গীতি শুনে ঈশ্বৱভক্তিতে উচ্ছ্বসিত হয়ে লেখিকা কী বলতে চাইলেন?
উত্তর : লেখিকা বলতে চাইলেন যে, প্রবহমান নিঝরের মতাে প্রাণটাও ঈশ্বরের পদপ্রান্তে কেন লুটিয়ে পড়ে না।
প্রশ্ন ) পাহাড়ে এসে লেখিকা কী মনে করছেন?
উত্তর : পাহাড়ে এসে লেখিকা নিজেকে সুখী ও ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ মনে করছেন।
প্রশ্ন ) প্রতিটি উচ্চশৃঙ্গা ও প্রতিটি ঝৱনা প্রথম দর্শনে কী বলে?
উত্তর : প্রতিটি উচ্চশৃঙ্গ ও প্রতিটি ঝরনা প্রথম দর্শনে বলে আমায় দেখ, আমায় দেখ।
প্রশ্ন ) ঈশ্বৱেৱ সৃষ্ট মহাবিশ্বের তুলনায় হিমালয় লেখিকার কাছে কী মনে হয়েছে ?
উত্তর : মহাবিশ্বের তুলনায় লেখিকার কাছে মনে হয়েছে অতি ক্ষুদ্র বালুকণার চেয়েও ক্ষুদ্র।
প্রশ্ন ) চক্ষু কর্ণ মন নিয়ে স্রষ্টা ঈশ্বৱেৱ গুণকীর্তন না করলে কী করা হয় বলে লেখকা মনে করেন?
উত্তর; চক্ষু কর্ণ মন নিয়ে স্রষ্টা ঈশ্বরের গুণকীর্তন না করলে লেখিকা মনে করেন কৃতঘ্নতার পরিচয় দেওয়া হয়।
প্রশ্ন উপাসনার জন্য কী চাই বলে লেখিকা মনে করেন?
উত্তর: উপাসনার জন্য প্রাণের আবেগ থাকা চাই বলে লেখিক মনে করেন।
প্রশ্নঃ মেঘখণ্ডকে কে তাড়িয়ে নিয়ে চলল?
উত্তর : কারসিয়াং-এর আকাশে ঘুরে বেড়ানাে মেঘকে ইতস্ত, বাতাস একদিক থেকে অন্যদিকে তাড়িয়ে নিয়ে যায় ।
প্রশ্ন ) সৌন্দর্যের রাজ্য রচনা করে কী?
উত্তর : কারসিয়াং-এ প্রতিদিন অস্তগামী সূর্যের সােনারােদ-। মাখা মেঘকে নিয়ে লুকোচুরি খেলাতেই সেখানে সৌন্দর্যে রাজ্য রচিত হয়।
প্রশ্নঃ লেখিকা কোন্ গ্রন্থে কী পাঠ করেছিলেন?
উত্তর : লেখিকা ‘ভূতত্ত্ব’ গ্রন্থে পাঠ করেছিলেন কারবনিফেরাস যুগে বড়াে বড়াে টেকিতরু ছিল। যে,
প্রশ্ন ) নির্জন বনের মধ্যে লেখিকা কী দেখতে পলেন?
উত্তর : নির্জন বনের মধ্যে লেখিকা ছিনে সেঁক দেখতে পেলেন, কিন্তু সাপ দেখলেন না।
প্রশ্ন ) প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার সময় মন প্রাণ স্বতঃই কী বলে উঠে?
উত্তর: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার সময় মনপ্রাণ নিজের থেকে বলে ওঠে, ঈশ্বর প্রশংসার যােগ্য ও তিনি ধন্য।
প্রশ্ন ) লেখিকাদেৱ ভুটিয়া চাকরানিটির নাম ও পােশাক কী ছিল?
উত্তর: লেখিকাদের ভুটিয়া চাকরানিটির নাম ছিল ভালু ও পােশাক ছিল পরনে সাতগজ কাপড়ের তৈরি ঘাঘরা, কোমরে জড়ানাে এক খণ্ড কাপড় এবং গায়ে জ্যাকেট।
প্রশ্ন ) কাকে নদী বলে মনে হয়?
উত্তর : কারসিয়াং যাওয়ার সময় নীচের উপত্যকার সাদা কুয়াশা দেখে নদী বলে মনে হয়েছে লেখিকার।
প্রশ্ন ) ৱেল পথে যাওয়ার সময় জলপ্রপাত বা ঝরনা দেখে লেখিকার কী মনে হলাে?
উত্তর : লেখিকার মনে হলাে জলপ্রপাত ও ঝরনার সৌন্দর্য বর্ণনার অতীত, তা ছাড়া ভীমবেগে প্রবাহিত জলধারা পাষাণ হৃদয় বিদীর্ণ করছে।
প্রশ্ন ) কীভাবে লেখিকার মনােৱথ পূর্ণ হলাে?
উত্তর : রেলগাড়ি একটি বড়াে ঝরনার কাছে ইঞ্জিনে জল নেওয়ার জন্য থেমে যাওয়ায় লেখিকার ঝরনা দেখার মনােরথ পূর্ণ হয়।
প্রশ্নঃ চার হাজার ফুট উচ্চতায় ওঠার পরেও লেখিকা কী অনুভব করলেন না?
উত্তর : চার হাজার ফুট উচ্চতায় ওঠার পরেও লেখিকা শীত অনুভব করলেন না।
প্রশ্ন ) লেখিকাৱা বাসায় হাজির হয়েও গৃহসুখ অনুভব করতে পারলেন না কেন?
উত্তর : গৃহসুখ অনুভব করতে পারলেন না, কারণ ভ্রমক্রমে তাঁদের ট্রাংকগুলি দার্জিলিং-এ -এর ঠিকানায় চলে যায়।
প্রশ্নঃ আসবাবপত্র ফিরে আসায় গৃহসুখে থেকে লেখিকাৱ কী উপলব্দি হলাে?
উত্তর : গৃহসুখে থেকে লেখিকার এই উপলব্ধি হলাে যে, আশ্রয় পেলেই গৃহসুখ আসে না, সেজন্য প্রয়ােজনীয় আসবাব সরঞ্জামও চাই।
প্রশ্নঃ প্রাকৃতিক শােভা কীসের জন্য শতগুণ বৃদ্ধি পয়েছে ?
উত্তর : সবুজ চা-বাগানগুলির জন্য পার্বত্য অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন শতগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রশ্ন ) কাকে ধৱণীৱ সীমান্তের মতাে দেখায়?
উত্তর : দূর থেকে সারিবদ্ধ চা-বাগানের মধ্য দিয়ে মানুষের চলার সরু পথগুলিকে ধরণীর সীমান্তের মতাে দেখায়।
প্রশ্ন ) ‘হিমালয় দর্শন’ ৱচনাংশে লেখিকা কীসেৱ সৌন্দর্যকে বর্ণনাতীত বলেছেন?
উত্তর : লেখিকা হিমালয়ান রেলপথ ধরে কারসিয়াং যাওয়ার সময় কতকগুলি জলপ্রপাত দেখেছিলেন, সেগুলির সৌন্দর্যকে..তি, বর্ণনাতীত বলেছেন।
প্রশ্নঃ লেখিকাৱা যে সময়ে কারসিয়াং-এ গেছেন সে সময়কার আবহাওয়া কেমন?
উত্তর ; কারসিয়াং-এর তখনকার আবহাওয়া হলো না। গ্রীষ্ম, লেখিকার অভিমত অনুযায়ী পার্বত্য বসন্তকাল।
প্রশ্ন ) কাৱসিয়াং-এর জল ভালাে না থাকায় লেখিকাৱা ব্যবহারের জন্য কী করতেন?
– উত্তর : কারসিয়াং-এর জল ভালাে না থাকায় লেখিক ব্যবহারের জন্য জল ফিলটারে হেঁকে নিতেন।
প্রশ্ন ) বায়ু তাে খুবই স্বাস্থ্যকর, কোন স্থানের বায়ু স্বাস্থ্যকর?
উঃ পার্বত্য কারসিয়াং-এর বায়ু খুবই স্বাস্থ্যকর।
প্রশ্ন ) কাৱসিয়াং-এ লেখিকাৱা ঝরনার জল কীভাবে ব্যবহার করতেন?
উত্তর : কারসিয়াং-এ বেগম রােকেয়ারা পানীয় জল ফিলটা হেঁকে ব্যবহার করতেন।
প্রশ্ন ) ‘কেবল ভূ-তত্ত্ব গ্রন্থে পাঠ করিয়াছিলাম’ ভূতত্ত্ব গ্রন্থে লেখিকা কী পাঠ করেছিলেন?
উত্তর : কেবল ভূতত্ত্ব গ্রন্থে লেখিকা বেগম রােকেয়া পাঠ করেছিলেন যে, কারবনিফেরাস যুগে বড়াে বড়াে পেঁকিগাছ ছিল।
প্রশ্ন ) ‘মেঘখণ্ডকে তাড়াইয়া লইয়া চলিল। মেঘখণ্ডকে কে তাড়িয়ে নিয়ে চলল?
উত্তর; বাতাস ও মেঘের লুকোচুরি খেলায় উলটো দিক থেকে বয়ে আসা বাতাস মেঘখণ্ডকে তাড়িয়ে নিয়ে চলল।
প্রশ্ন ) কাৱসিয়াং-এ লেখিকার কী দেখে আনন্দ হলাে?
উত্তর : কারসিয়াং-এ কারবনিফেরাস যুগের পেঁকিগাছ দেখে লেখিকা বেগম রােকেয়ার ভারী আনন্দ হলাে।
উত্তর : লেখিকা হিমালয়ান রেলপথ ধরে কারসিয়াং যাওয়ার
প্রশ্ন ) কাদেৱ কী তামাশা দেখে লেখিকা সময় অতিবাহিত করেন?
উত্তর : অস্তগামী সূর্যের সােনারােদ মেখে সুকুমার মেঘগুলি বায়ু ভরে ইতস্তত ছােটাছুটি করে, সেই তামাশা দেখে লেখিকা সময় কাটান।
প্রশ্ন ) ‘হিমালয় দর্শন’ রচনাংশে কোন জিনিসটিকে লেকা বেশ সুন্দর (দংরলে মনে করেছেন?
উত্তর : হিমালয়ান রেলগাড়িগুলিকে খেলনা গাড়ির মতো সুন্দর দৈখায় বলে লেখিকা মনে করেছেন।
> প্রয় ) হিমালয়ান রেলগাড়ি আকৃতিতে, উচ্চতায় ও গাততে কেমন?
: উত্তর : হিমালয়ান রেলগাড়ি আকারে ছােটো খেলনা গাড়ির মতাে, উচ্চতা খুব নীচু, গতি কম, অনায়াসে ওঠা-নামা সম্ভব।
প্রশ্ন ) বেলগাড়ি কীভাবে চলতে লাগল?
উত্তর : রেলগাড়ি অনেক আঁকাবাঁকা পথ পাড়ি দিয়ে আস্তে আস্তে ওপরে উঠতে লাগল।
প্রশ্ন ) পথের দু-পাশের দৃশ্য কেমন
উত্তর : পথের দু-পাশে মনােরম দৃশ্য—কোথাও খুব উঁচু পর্বতশৃঙ্গ, কোথাও নিবিড় বন।
প্রশ্ন ) বেশ সুন্দর দেখায়। এখানে লেখিকা কোন্ দৃশ্যের কথা বলেছেন?
উত্তর : হিমালয়ান রেলগাড়ির ছােটো গাড়িগুলি খেলনার মতাে বেশ সুন্দর, লেখিকা বেগম রােকেয়া সেই দৃশ্যের কথা বলেছেন।
প্রশ্ন ) পথের দুই ধাৱে মনােরম দৃশ্য—– মনােরম দৃশ্যটি লেখাে।
উত্তর : লেখিকা বেগম রােকেয়ার দেখা পথের দু-ধারে মনােরম দৃশ্যটি হলাে কোথাও অতি উচ্চ পর্বতচূড়া, কোথাও নিবিড় বন।
প্রশ্ন ) ‘এখনও শীত বােধ হয় না,”—কত উচ্চতায়। অবস্থান কৱে লেখিকা শীত বােধ করছেন না?
উত্তর : লেখিকা বেগম রােকেয়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থান করা সত্ত্বেও শীত বােধ করছেন না।
প্রশ্নঃ লেখিকাৱা তিন হাজার ফুট উঁচুতে উঠেও কী অনুভব করলেন না?
উত্তর : লেখিকারা ক্রমে সমুদ্রতল থেকে তিন হাজার ফুট উচ্চতায় উঠেও শীত অনুভব করলেন না।
প্রশ্নঃ লেখিকা নীচের উপত্যকাকে কেমন দেখলেন?
উত্তর ; লেখিকা নীচের উপত্যকায় দেখলেন সাদা কুয়াশা এবং তা দেখে হঠাৎ তার নদী বলে মনে হলো।
প্রশ্ন ) চায়ের খেতগুলি দেখে বেগম রােকেয়ার কী মনে হলাে?
উতর; চায়ের হরিৎবর্ণ খেতগুলি দেখে বেগম রােকেয়ার মনে হলাে সেগুলি প্রাকৃতিক শোভাকে শতগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
প্রশ্ন ) ‘সহসা নদী বলিয়া ভ্রম জন্মে।-নদী বলে কাকে ভ্ৰম জন্মায়?
উত্তর : নীচে উপত্যকায় নির্মল শ্বেত কুয়াশা দেখে লেখিকা বেগম রােকেয়ার ভ্ৰম জন্মায়।
প্রশ্ন ) ‘দূৱ হইতে সারি সারি চাৱাগুলি বড়াে সুন্দৱ বােধ হয়।—কীসের চাৱাকে কাৱ সুন্দৱ বোধ হয়?
উত্তর : দূর থেকে চায়ের সারি সারি চারাগুলি লেখিকা বেগম রােকেয়ার সুন্দর বােধ হয়।
হিমালয় দর্শন প্রশ্ন উত্তর saq
– প্রশ্ন ) ‘ধৱণীৱ সীমন্তের ন্যায় দেখায়। ধরণীর সীমন্তের মতাে দেখায় কাকে?
উত্তর : শ্যামল নিবিড় বনের মাঝে মানুষের চলবার সংকীর্ণ পথগুলি ধরণীর সীমন্তের মতাে দেখায়।
প্রশ্ন ) একথা সহসা বিশ্বাস হয় কি? কোন্ কথা বিশ্বাস কৱাৱ কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তর : রেলপথ থেকে দৃশ্যমান জলপ্রপাত বা নিঝরের মধ্যে কোনাে একটি বিশালকায় জাহ্নবীর উৎস, এ কথা বিশ্বাস করার কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ) লেখিকা শ্যামল বন ও আঁকাবাঁকা পথগুলিকে কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তর : লেখিকা নিবিড় শ্যামল বনকে ধরিত্রীর মাথার কেশদামের সঙ্গে ও আঁকাবাঁকা পথগুলিকে সিঁথির সঙ্গে তুলনা করেছেন।
প্রশ্নঃ লেখিকা কখন ভেবেছেন যে তিনি মেঘের ভিতর দিয়ে চলেছেন?
উত্তর : রেলগাড়িতে কারসিয়াং যাওয়ার সময় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন হাজার ফুট ওপরে লেখিকা ভেবেছেন যেন তিনি মেঘের ভিতর দিয়ে চলেছেন।
প্রশ্নঃ লেখিকা কীসে ঢেঁকিশাকের কথা পড়েন এবং ঢেঁকিশাক সম্পর্কে কী জানতেন?
উত্তর : লেখিকা মহিলা পত্রিকায় পেঁকিশাকের কথা পড়েন এবং টেকিশাক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বলেই তিনি জানতেন।
প্রশ্ন ) চাক্ষুষ চেঁকিশাক দর্শনে লেখিকার কী অনুভূতি হয়?
উত্তর : ২০/২৫ ফুট উঁচু পেঁকিশাকের গাছগুলি দেখে লেখিকা ভারী আনন্দ অনুভব করেন।
প্রশ্ন ) একটা বড়াে ঝৱনাৱ নিকট ট্রেন থামার কারণ কী?
উত্তর : লেখিকা যে ট্রেনটি চড়ে কারসিয়াং যাচ্ছিলেন তার জল পরিবর্তনের জন্য ঝরনার কাছে ট্রেনটি থামল।
প্রশ্ন ) লেখকাৱা নির্ভয়ে বনে বেড়াতেন কেন?
উত্তর : লেখিকারা অর্থাৎ, বেগম রােকেয়ারা নির্ভয়ে বনে বেড়াতেন, কারণ বনে বাঘ কিংবা বিপজ্জনক ভয় ছিল না।
প্রশ্ন ) বনের সাপ ও জেক সম্পর্কে লেখিকাৱ অভিজ্ঞতা কী?
উত্তর : বনের সাপ ও জোক সম্পর্কে লেখিকার অভিজ্ঞতা হলাে যে, সাপ দেখেননি, জোঁক দু-তিন বার ধরেছে।
প্রশ্ন ) কাৱসিয়াং-এর ভুটিয়া মেয়েৱা জোককে ভয়। পায় না কেন?
উত্তর ; ভয় পায় না, কারণ জেঁকে ক্ষতি করে না, রক্ত শােষণের কাজ শেষ হলে চলে যায়।
প্রশ্ন ) লেখিকা শীঘ্রই কোথায় এসে পৌঁছােলেন?
: উত্তর : কারসিয়াং স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত লেখিকার নতুন বাসায় এসে পৌছােলেন।
প্রশ্ন ) ভুটিয়া মেয়েদের পােশাক কেমন?
উত্তর ; : পােশাক হলাে পরনে সাত গজ কাপড়ের ঘাঘরা, কোমরে টুকরাে কাপড় জড়ানাে, গায়ে জ্যাকেট, মাথা ঢাকা বিলিতি শালে।
প্রশ্ন ) ভুটিয়ানিরা নিজেদেৱ কী বলে পরিচয় দেয় আর পাহাড়ের নীচের মানুষদেৱ কী বলে?
উত্তর : ভুটিয়ানিরা নিজেদের পাহাড়নি’ বলে পরিচয় দেয় আর পাহাড়ের নীচের মানুষজনকে বলে ‘নীচেকা আদমি’।
প্রশ্ন ) ভুটানি মেয়েরা কীৱকম স্বভাবের মেয়ে?
উত্তর : ভুটানি মেয়েরা শ্রমশীলা, কার্যপ্রিয়, সাহসী ও সত্যবাদী স্বভাবের।
হিমালয় দর্শন ছোট প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন ) রচনাংশে কোন স্থানের বায়ুকে স্বাস্থ্যকর বলা হয়েছে ?
উত্তর ; ‘হিমালয় দর্শন’ রচনাংশে কারসিয়াং শহরের বায়ুকে স্বাস্থ্যকর বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ) নিঝৱেৱ জলকে কেন সবে ধন বলা হয়েছে?
উত্তর : কারসিয়াং-এ নলকূপ, নদী বা পুকুর না থাকায় জলপ্রপাতের জলই একমাত্র পানীয়। তাই একে সবে ধন বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ) লেখিকা ঢেঁকি শাকের কথা কোথায় পড়েছেন?
উত্তর : লেখিকা বেগম রােকেয়া চেঁকি শাকের কথা ‘মহিলা নামক পত্রিকায় পড়েছিলেন।
প্রশ্ন ) পার্বত্য অঞলে নির্ভয়ে বেড়াতে পাৱাৱ কথা লেখিকা কেন বলেছেন?
উত্তর : পার্বত্য অঞলে লেখিকা বেগম রােকেয়া নির্ভয়ে বেড়াতে পারার কথা বলেছেন, কারণ কারসিয়াং- এর বনে বাঘ নেই।
প্রশ্ন ) ‘পুরুষেরা বেশি বােঝা বহন করে না। কোন পুরুষের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : লেখিকা বেগম রােকেয়ার লেখা ‘হিমালয় দর্শন’ প্রবন্ধে ভুটিয়া পুরুষের কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ) ইহাৱা ক্রমশ সগুণরাজি হাৱাইতেছে। -কোন্ সগুণৱাজিৱ কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : ভুটিয়া রমণীদের শ্রমশীলতা, কার্যপ্রিয়, সাহসী ও সত্যবাদী সগুণরাজির কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ) ভুটিয়া মেয়েরা পেটেৱ ভাতের জন্য পুরুষের প্রত্যাশী নয় কেন?
উত্তর : কারণ ভুটিয়া মেয়েরা পুরুষের সমান উপার্জন করে, এমনকি অনেক মেয়ে পুরুষের চেয়ে বেশি পরিশ্রম করে।
প্রশ্ন ) ভুটানি মেয়েরা কী কাৱণে সদগুণরাজি হাৱাচ্ছে ?
উত্তর : ভুটানি মেয়েরা ‘নীচেকা আদমি’-দের সঙ্গে মেলামেশার ফলে ক্রমশ তাদের সদ গুনরাজি হারাচ্ছে।