ফরাসী বিপ্লবের কারণগুলি বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন ফরাসী বিপ্লবের কারণগুলি বিশ্লেষণ কর।
অথবা,
ফরাসী বিপ্লব আনয়নে অর্থনৈতিক কারণের ভূমিকা নির্ণয় কর।
ফরাসী বিপ্লবের সূচনায় ফরাসী রাজতন্ত্রের দায়িত্ব কি ছিল?
( অথবা, ১৭৮৯ খ্ৰীষ্টাব্দে ফ্রান্সে বিপ্লব সংগঠনে রাজা ষােড়শ লুই-এর দায়িত্ব কতখানি ছিল?
অথবা,
১৭৮৯ খ্রীষ্টাব্দে ফরাসী বিপ্লবের সূচনায় সামাজিক, অর্থনৈতিক বৈষম্য কতখানি দায়ী ছিল
ফরাসি বিপ্লবের কারণ গুলি বিশ্লেষণ করো:
ফরাসি বিপ্লবের কারণ :
উত্তর।
ফরাসী বিপ্লব ফ্রান্সের তথা ইওরােপের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। এই মহাবিপ্লবের ভিতর দিয়া অসাম্য ও অন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত প্রচলিত রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে শােষিত, নিপীড়িত জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ আত্মপ্রকাশ করিয়াছিল। আর্থসামাজিক বৈষম্য ও শােষণ রাজনৈতিক দুর্বলতা ও শাসনতান্ত্রিক নীতিহীনতার সঙ্গে যুক্ত হইয়া ১৭৮৯ খ্রীষ্টাব্দে এক বিস্ফোরক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। ঐতিহাসিক আলফ্রেড কোবান এই অবস্থাকে অসংখ্য ছােট বড় খরস্রোতা নদীর সংমিশ্রণে স্ফীতকায় বিধ্বংসী বন্যার সঙ্গে তুলনা করিয়াছেন।
ফরাসী বিপ্লব কোন আকস্মিক ঘটনা নহে বা কোন একটি কারণেও ইহা সংঘঠিত হয় নাই। রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, দার্শনিক প্রভাব ও অন্যান্য নানাবিধ কারণের একত্র সমাবেশের ফলেই এক যুগান্তকারী বিপ্লবের সূত্রপাত হইয়াছিল।
ফরাসী বিপ্লবের কারণগুলি:ফরাসি বিপ্লবের রাজনৈতিক কারণ ঃ
স্বৈরাচারী রাজতন্ত্র
অষ্টাদশ শতকে ফ্রান্সে স্বৈরাচারী রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছিল। রাজার ক্ষমতা ঈশ্বরপ্রদত্ত এবং তিনি ঈশ্বরের প্রতিনিধিস্বরূপ’এই মতবাদে বিশ্বাসী হইয়া শাসন-সংক্রান্ত সমস্ত ক্ষমতা তিনি নিজহস্তে কেন্দ্রীভূত করিয়ছিলেন। রাজা ছিলেন একাধারে শাসক, বিচারক ও আইনপ্রণেতা এবং প্রজাগণের ভাগ্যনিয়ন্তা। স্বৈরাচারী শাসনে ফ্রান্সে ব্যক্তিস্বাধীনতা বলিয়া কিছুই ছিল না। জনসাধারণের আশা-আকাঙক্ষা পদদলিত করিয়া রাজা নিজের খেয়াল-খুশি অনুয়ায়ী শাসনকার্য নির্বাহ করিতেন।
দায়িত্বহীন রাজশক্তি :
চতুর্দশ লুই স্বৈরাচারী হইয়াও প্রজাবর্গের কল্যাণসাধানের চেষ্টা করিতেন, কিন্তু পঞ্চদশ লুই শাসনকার্যে সম্পূর্ণ উদাসীন থাকিয়া বিলাসব্যসনে মগ্ন থাকিতেন। যােড়শ লুই ব্যক্তিগত জীবনে চরিত্রবান ও প্রজাবর্গের কল্যাণের ভার্সাই রাজপ্রাসাদের জন্য আগ্রহশীল ছিলেন, কিন্তু তাহার চারিত্রিক দৃঢ়তার অভাব থাকায় তিনি তাহার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবে রূপায়িত করিতে পারেন নাই। ফরাসী রাজগণ পুরুষানুক্রমে তাহাদের সামরিক আকাঙক্ষা ও বিলাসব্যসন চরিতার্থ করিবার জন্য দেশের অপরিমিত অক্ষয় করিয়াছিলেন। প্রজাগণের শুভাশুভর সমাধির উপর রচিত হইয়াছিল ঐশ্বর্যের
প্রাধান্য ও অত্যাচার ইন্দ্রপুরী ও বিলাস নিকেতন ভার্সাই রাজপ্রাসাদ। রাজশক্তির এই দুর্বলতার সুযােগে দুর্নীতিপরায়ণ অভিজাত আমলাশ্রেণী নিজেদে প্রাধান্যবিস্তারে সচেষ্ট হইল। তাহারা নিজেদের স্বার্থোদ্ধারের জন্য ইনটেনডেন্টদের (Intendent) সাহায্যে দেশশাসনের নামে শোষণ কবি, অভিজাত ও আমলাতন্ত্রের লাগিল। তাহারা রাজার অজ্ঞাতে রাজকীয় গ্রেপ্তারী পরােয়ান (Letter de Cachet) ব্যবহার করিয়া নিজেদের শদিগকে কারারুদ্ধ করিতে লাগিল। ইনটেনডেন্টগণও নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য অত্যাচারী হই। উঠিল। ফ্রান্সের জনগণের নিকট তাহারা ‘অর্থলােলুপ নেকড়ে অর্থলােলুপ নেকড়ে বাঘ বাঘ’ আখ্যা লাভ করিল।
> > প্রসঙ্গত বলা যায়, ফরাসী সম্রাট ষােড়শ লুই পরিস্থিতির জটিলতা সম্পর্কে পূর্ণমাত্রায় সচেতন ছিলেন। ১৭৭৪ খ্রীষ্টাব্দে তিনি ক্ষমতায় আসিয়া এক সংস্কারমূলক কর্মসূচী গ্রহণ করেন। শােচনীয় আর্থিক সংকট নিরসনের জন্য তুর্গো, নেকার, কালােন ও দ্য ব্রিয়েন প্রমুখ মন্ত্রীগণ ব্যয়সংকোচ, রাজস্বব্যবস্থার পুর্নবিন্যাস প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ গৃহীত হইল, কিন্তু প্রভাবশালী অভিজাতগােষ্ঠীর তীব্র বিরােধীতার ফলে এই সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। রাজস্বসংকট থেকে মুক্তি পাবার আশায় ষােড়শ লুই স্টেটজেনারেল নামক প্রতিনিধি সভার আহ্বান করিতে বাধ্য হইলেন। এইভাবে রাতন্ত্রের সংস্কারে ব্যর্থতার বিপ্লবের দ্বার উন্মুক্ত করিল। ঐতিহাসিক কবাণ যথার্থই মন্তব্য করিয়াছেন-“The dawn of reform was to open the day of Revolution.”
ফরাসী বিপ্লবের কারণগুলি আলোচনা কর,
ফরাসি বিপ্লবের সামাজিক কারণ ঃ
সমাজজীবনে বৈষম্য ও দুর্নীতি:
ফরাসী বিপ্লবের পশ্চাতে অন্যতম কারণ ছিল সমাজজীবনে বৈষম্য ও দুর্নীতি। ফ্রান্সের জনসমাজ প্রধানত তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত ছিল। অভিজাত ও যাজক সম্প্রদায় ছিল প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত এবং অধিকারচ্যুত মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত সম্প্রদায় লইয়া গঠিত ছিল তৃতীয় শ্রেণী। প্রথম দুই শ্রেণী সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে যাবতীয় ক্ষমতা ও সুযােগ-সুবিধা ভােগ করিত। কিন্তু জনসাধারণের অধিকাংশ লইয়া গঠিত তৃতীয় শ্রেণী অর্থাৎ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত সম্প্রদায় রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে সমস্ত অধিকার হইতে বঞ্চিত ছিল। রাষ্ট্র ও সমাজজীবনে সমস্ত অধিকারচ্যুত হইয়াও ইহারা করদান হইতে রেহাই পাইত না। অথচ প্রথম দুই শ্রেণী সমস্ত সুযােগ-সুবিধা পাইয়াও করদানের দায় হইতে অব্যাহতি লাভ করিত। তৃতীয় শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত কৃষিজীবীসম্প্রদায়ের দুঃখ-দুর্দশার সীমা ছিল না, সমাজজীবনে ইহাদের মর্যাদা ছিল না। জমিদারগণের জমিতে ইহারা কাজ করিত। ইহাদের কোন স্বাধীন সত্তা ছিল না। জমিদারগণের অনুগ্রহের উপর নির্ভর করিয়াই ইহাদিগকে দিনাতিপাত করিতে হইত। দারিদ্র্যে জর্জরিত হইয়াও ইহারা করদান হইতে অব্যাহতি পাইত না।
ফরাসি বিপ্লব
শিক্ষিত ও অর্থশালী মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের অসন্তোষ:
মধ্যবিত্তসম্প্রদায়ের মধ্যে উচ্চশিক্ষিত ও অর্থশালী লােকের অভাব ছিল না। শিক্ষাদীক্ষার দিক হইতে উন্নত হইয়াও তাহারা রাষ্ট্র ও সমাজজীবনে কোন মর্যাদা লাভ করিতন না। এই কারণে বৈষম্য ও দুর্নীতিপূর্ণ প্রচলিত রাষ্ট্র ও সমা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তাহাদের মনে বিক্ষোভ জাগিয়া উঠিল।
ফরাসি বিপ্লবের অর্থনৈতিক কারণ :
অর্থনৈতিক জীবনে বৈষম্য ও অনাচার:
ফ্রান্সের অর্থনৈতিক জীবনে অসাম্য ও অনাচার ফরাসী বিপ্লবের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল। সমগ্র অষ্টাদশ শতাব্দী ধরিয়া ফ্রান্সে জনসংখ্যা বিপদজনকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং ফ্রান্সের জনসংখ্যা ১৭৮৯ খ্রীষ্টাব্দে আড়াই কোটিতে পৌছায়। অন্যদিকে উৎপাদন ব্যবস্থার উন্নতি না ঘটায় অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ফরাসী অর্থনীতিকে আচ্ছন্ন করে। খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের আয়ের তিন চতুর্থাংশ খাদ্য ক্রয়ের জন্য ব্যয় হইতে লাগিল। অষ্টাদশ শতকে ফ্রান্সের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল বৈষম্যমূলক, অসংগতিপূর্ণ। সমাজের প্রথম দুই শ্রেণী বিত্তশালী অভিজাত ও যাজক সম্প্রদায় সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে যাবতীয় সুযােগ-সুবিধা লাভ করিত। তাহারা করদান হইতে অব্যাহতি লাভ করিত এবং নানা প্রকারের অনুগ্রহ লাভ করিত। কিন্তু যাহাদের লইয়া দেশের জনসাধারণের বিরাট অংশ গঠিত ছিল, সেই দারিদ্র্য-জর্জরিত তৃতীয় শ্রেণী অর্থাৎ, কৃষকসম্প্রদায় সমস্ত অধিকার হইতে বঞ্চিত ছিল। অথচ, রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্যপালনের সর্বাধিক দায়িত্ব ইহাদের উপর চাপানাে হইয়াছিল।
ফরাসী বিপ্লবের কারণগুলি আলোচনা কর
ফরাসি বিপ্লবে কৃষদের দুরাবস্থা:
চরম দারিদ্র্যের মধ্যে কালাতিপাত করিয়াও ইহারাই সর্বাধিক পরিমাণে করভারে জর্জরিত ছিল। ইহাদের আয়ের এক-দশমাংশ চার্চকে ধর্মকর ” (Tithe) হিসাবে দিতে হইত। ইহা ছাড়া, সামন্ত-প্রথা অনুযায়ী ‘টেইলী’ (Teille) নামক এক প্রত্যক্ষ কর ও লবণকর (Gabelle) দেওয়ার পর ইহাদের আয়ের যাহা অধীনে অবশিষ্ট থাকিত, তাহাতে ইহাদের গ্রাসাচ্ছাদন হইত না। তদুপরি জমিদারদের বেগার খাটিয়া ইহাদিগকে করভি (Corvee) বা মকর দিতে হইত। এইভাবে করভারে জর্জরিত হওয়ায় কৃষকগণের আর্থিক জীবনে চরম বিপর্যয় দেখা দিল ইহা ভিন্ন ১৭৮৭-১৭৮৯ এই দুই বৎসরে মূল্যবৃদ্ধি মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং ইহার ফলে আয়ের তিন-চতুর্থাংশ শুধুমাত্র রুটি সংগ্রহের জন্য ব্যয় হইতে লাগিল।
বিগত এক শতাব্দীর অধিককাল ধরিয়া ক্রমাগত যুদ্ধবিগ্রহে লিপ্ত থাকায়, ফ্রান্সের অপরিমিত অর্থক্ষতি হইয়াছিল। রাষ্ট্রের কর্ণধারগণ এই অর্থক্ষতি পূরণ করিবার জন্য কোন ব্যবস্থাই অবলম্বন করেন নাই। দেশের শিল্প বাণিজ্যের উন্নতির জন্যও তাহাদের কোন চেষ্টা ছিল না। তাহারা শুধু জনসাধারণের করভার বৃদ্ধি করিয়া শাসনকার্যের ব্যয় নির্বাহের চেষ্টা করিতেন। কিন্তু তাহাদের করনীতি অসাম্য ও দুর্নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। এই ত্রুটিপূর্ণ ও বৈষম্যমূলক নীতির ফলে ফ্রান্সের অর্থনৈতিক বনিয়াদ ভাঙ্গিয়া পড়িবার উপক্রম হইল।
ফরাসী বিপ্লবের কারণগুলি আলোচনা কর।
বােড়শ লুই কর্তৃক স্টেটস জেনারেল আহ্বান ও ফরাসি বিপ্লবের সূচনা:
দেশের অর্থনৈতিক জীবনে যখন এই দুর্যোগ দেখা দিল, তখন আমেরিকার স্বাধীনতাসংগ্রামে আমেরিকানগণকে সামরিক সাহায্য দান করিবার ফলে ফ্রান্সের প্রচুর অর্থক্ষয় হইল। যােড়শ লুই-এর আমলে রাজকোষ প্রায় নিঃশেষিত হইয়া পড়িল। ফ্রান্সে ঋণের বােঝা ভয়াবহ আকার ধারণ করিল। ১৭৮৯ খ্রীষ্টাব্দে জাতীয় ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় আড়াইশাে কোটি । এদিকে রাজস্ব-সংক্রান্ত সংস্কার সাধন করিয়া অর্থনৈতিক অবস্থাকে স্থিতিশীল করা যােড়শ লুই ও তঁাদের মন্ত্রীদের সাধ্য ছিল না। একমাত্র সুবিধাভােগী শ্ৰেণীদের উপর করভার চাপাইয়া শূন্য রাজকোষ পূরণ করা যাইত, কিন্তু প্রভাবশালী অভিজাতশ্রেণী সুষ্ঠু করবন্টন নীতির তীব্র বিরােধিতা করেন। অধ্যাপক গুডউইন মনে করেন যে, অভিজাতশ্রেণীর বিরােধিতা ফরাসী বিপ্লবের আগমন অনিবার্য করিয়া তুলিয়াছিল। তাহারা নিতে সুবিধাসুযোেগ হ্রাস করিতে প্রস্তুত ছিলেন না এবং বুরবন রাজতন্ত্রের অর্থনৈতিক সংস্কার প্রচেষ্টাকে বানচাল করিয়া দেন। অভিজাতশ্রেণীর সহযােগিতা পাইলে ষােড়শ লুই আর্থিক সঙ্কট হইতে নিষ্কৃতি পাইতেন এবং বিপ্লব প্রতিহত করা সম্ভব হইত। কিন্তু অন্য কোন উপায় না দেখিয়া যােড়শ লুই বাধ্য হইয়া স্টেট জেনারেলের (States General) অধিবেশন আহ্বান করিলেন। রাজা কর্তৃক স্টেট জেনারেলের অধিবেশন আহ্বানে প্রকারান্তরে স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রের পতনের সূচনা দেখা দিল। সমগ্রভাবে ফ্রান্সের অর্থনৈতিক জীবনের বিপর্যয় ফরাসী বিপ্লবের গতিকে ত্বরান্বিত করিয়াছিল।
অর্থনৈতিক কারণ ফরাসী বিপ্লবের আগমনে কতটা দায়ী সে সম্পর্কে বিস্তর তর্ক বিতর্ক আছে। মিশলে (Michelet) এর ধারণা হইল পুরাতন ব্যবস্থার নিপীড়নের সঙ্গে দুঃসহ দারিদ্র্য বিপ্লবের দ্বার উন্মুক্ত করিয়াছিল। অন্যদিকে তকভিল (Tocquville) মনে করেন যে কৃষকদের আর্থিক উন্নতি হইয়াছিল বলিয়াই তাহারা বিশেষ অধিকার ও অসাম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ায়। অধ্যাপক লাব্রুস (Labrousse) অন্যভাবে অর্থনৈতিক কারণের স্বরূপ বিশ্লেষণ করিয়াছেন। তাহার বক্তব্য হইল ১৭৩০ থেকে ১৭৮০ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত অর্থনীতিতে অগ্রগতির ছোঁয়া লাগিয়াছিল। কিন্তু ১৭৮০ খ্রীষ্টাব্দের পর অবনতির পর্যায় শুরু হয়।১৭৮৮ খ্রীষ্টাব্দের শস্যহানি ও খাদ্যাভাব সংকটকে তীব্র করিয়া তােলে। জনতা বিক্ষোভ ও হিংসার পথে অগ্রসর হয়।
ফরাসী বিপ্লবের কারণগুলি আলোচনা কর।